পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদ-াদেশ বহাল রাখার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, এ রায়ে আজ আমরা কিছুটা হলেও ভারমুক্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে রায়ের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি একথা বলেন। নিজামীর পরবর্তী আইনী ধাপের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, দ-িত ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। এছাড়া এখন আর কোনো পথ নেই। রিভিউ আবেদনের রায় বের হতে বেশি সময় লাগবে না। রায় প্রকাশ হতে যেটুকু সময় লাগবে সেটুকুই পাবেন তিনি। এর আগে এসব মামলায় যেভাবে ফাঁসির অন্য রায়গুলো কার্যকর হয়েছে, সেভাবে এ রায়টিও কার্যকর হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিল তা থেকে ধীর ধীরে আমরা আইনের শাসনের সংস্কৃতিতে ফিরে যাচ্ছি। এ রায় সেটারই একটা জলজ্যান্ত প্রমাণ।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আইনের শাসনের সংস্কৃতিই এ রায় জলজ্যান্ত প্রমাণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যারা দেশ স্বাধীন করেছেন, তাদের কাছে ঋণ শোধ করার জন্য কিছু পাচ্ছি। তিনি বলেন, নিজামীর শান্তির শেষ ধাপের রায়ও আমরা পেয়েছি। এ বিচারের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীরা ও দেশের জনগণ বুঝতে পেরেছে, যারা অপরাধ করেছে তারা বিচারের বাইরে থাকবে না। অপরাধ করলে শাস্তি হবে, এটাই হচ্ছে আইনের শাসনের সবচেয়ে বড় মাপকাঠি। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে এ ধরনের অপরাধীকে এতটা ধাপ প্রমাণ করতে বা সুযোগ দেয়া হয় না। আমরা তাদেরকে (অপরাধীদের) সব ধরনের আইনী লাভের সুযোগ দিয়েছি। তিনি বলেন, আমার কাছে রায়গুলো ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ইমোশনাল ব্যাপার। কারণ ১৯৭১ সালে এদের যে দাম্ভিকতার বিচার হয়ে সাজা হচ্ছে, সেটা দেখতেও ভালো লাগছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।