Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনাবাহিনী নামছে ২৪ ডিসেম্বর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ইসির বৈঠক আজ

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে এ বৈঠক শুরু হবে। বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোট গ্রহণের আগে ও পরে ভিন্ন মেয়াদের জন্য সেনা, র‌্যাব ও পুলিশসহ অন্য বাহিনী মোতায়েন করতে যাচ্ছে ইসি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ২৪ ডিসেম্বর মাঠে নামবেন। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন। বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। ২৯ ডিসেম্বর ৩০০ আসনে সবমিলে ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামবেন। তারা ভোটের পর দুই দিনসহ সবমিলে চারদিন মাঠে থাকবেন বলে জানা গেছে।
ইসির কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনে ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় সাধারণ এলাকা, মেট্টোপলিটন এলাকা এবং উপকূলীয়, দুর্গম ও পার্বত্য এলাকার ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য পৃথক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। দশম জাতীয় নির্বাচনের আদলে এবারো আইন-শৃঙ্খলায় থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা ছক। ধারণা পাওয়া গেছে, ভোটকেন্দ্র পাহারার ক্ষেত্রে সাধারণ কেন্দ্রে একজন পুলিশসহ ১৪ জন, মেট্টোপলিটন এলাকার কেন্দ্রে তিনজন পুলিশসহ ১৫ জন এবং দুর্গম ও উপকূলীয় এলাকার কেন্দ্রে দুইজন পুলিশসহ ১৪ জন র্ফোস রাখার বিষয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনা রেখেছে ইসি। তবে, ভোটকেন্দ্র সুরক্ষিত রাখতে বাইরে থাকবে সামরিক-আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে স্ট্রাইকিং র্ফোস হিসেবে মাঠে থাকবে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। আর র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ভ্রাম্যমান ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহল দেবেন। কিন্তু কেন্দ্রে প্রবেশে অনুমতি লাগবে রিটার্নিং ও বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার। এছাড়া নির্বাচনের বিধি-ভঙ্গ, প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য, চরিত্রহনের অপচেষ্টা প্রতিরোধে মাঠে থাকবে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা। ইসির কার্যপত্রের তথ্যনুযায়ী, এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সব মিলিয়ে প্রায় ৭লাখের কাছাকাছি মোতায়েন হবে আইন-শৃঙখলা রক্ষাকারীর বাহিনী। এসব বাহিনী ৩০০ সংসদীয় আসনের ৪০ হাজার ১৮০টি কেন্দ্র পাহারা ও ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটারের নির্বিঘ্নে ভোটদানে সহায়তা দিতে কাজ করবে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, আইন-শৃঙ্খলার ছবে খুব একটা বেশি পরিবর্তন নেই। তবে, কেন্দ্র বাড়ায় র্ফোসের সংখ্যা বাড়বে। এ নির্বাচনে সব বাহিনী থাকবে, যার ছক নির্ধারণ হবে কাল (আজ বৃহস্পতিবার)। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোট গ্রহণের আগে ও পরে ভিন্ন মেয়াদের জন্য সেনা, র‌্যাব ও পুলিশসহ অন্য বাহিনী মোতায়েন করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ২৪ ডিসেম্বর মাঠে নামবেন। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন।
কমিশনের যুগ্ম-সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ বেশি হলেও ভিআইপি, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, থানা-প্রশাসন শূন্য করে সব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে এ কাজে যুক্ত করা যাবে না। বৈঠকে, কিভাবে র্ফোস মোতায়েন হলে সবকূল বজায় থাকবে সেটিও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও একইভাবে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করেছিল ইসি। তবে ২০০৮ সালে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে সেনা মোতায়েন করা হয়।



 

Show all comments
  • Johir Raj ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৭ এএম says : 0
    এখনই নামার দরকার ছিল। তবে নেমেও কি হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Sheikh Mosharaf Hossain ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৮ এএম says : 0
    আশা করি, জনগণের শেষ ভরসা জাতির শ্রেষ্ট সন্তান সেনাবাহিনী কারো পক্ষ গ্রহণ করে নিজেদেরকে কলঙ্কিত করবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazim Uddin ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৮ এএম says : 0
    আরও আগে নামাতে পারলে দেশ ও জন গনের উপকার হইত।
    Total Reply(0) Reply
  • Shamim Reza ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৯ এএম says : 0
    Jatio nirbachon fair korte minimum 2 weeks army thaka uchit..tahole every candidate promotion korte parbe
    Total Reply(0) Reply
  • Kamruzzaman Mazumder ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১০ এএম says : 0
    বিএনপি বলবে সেনাবাহিনীও নৌকার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে। আসলে তাদের চোখে দেশের সকল শিক্ষিত ও সচেতন নাগরিকরা নৌকার নীল নকশা বাস্তবায়নের কাজ করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Kamruzzaman Mazumder ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১০ এএম says : 0
    বিএনপি বলবে সেনাবাহিনীও নৌকার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে। আসলে তাদের চোখে দেশের সকল শিক্ষিত ও সচেতন নাগরিকরা নৌকার নীল নকশা বাস্তবায়নের কাজ করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • তাবিব ওয়াসিত ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১১ এএম says : 0
    ৩১ ডিসেম্বর নামলে ভাল হবে!!
    Total Reply(0) Reply
  • Umer Farooque ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১২ এএম says : 0
    এতো দেরিতে কেন এর আগেই তো সব তছনছ হয়ে যাবে!!!! আরো আগে দরকার তারা যে মারমুখি মনে হচ্ছে দেশের মালিক তারা ইজারাদার তারা!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Shadat Ctg ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১২ এএম says : 0
    পুলিশের আন্ড়ারে নাকি ম্যাজিস্ট্রেটি ক্ষমতায়
    Total Reply(0) Reply
  • Hawladar Mamun ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৩ এএম says : 0
    বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না । হাসিনা নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে দিবেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • S M Iqbal Hosain ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৪ এএম says : 0
    মেজেস্ট্রি পাওয়ার হলে ভাল
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৫ এএম says : 0
    এত বিলম্বিত!? ততদিনেতো নির্বাচন আর দেশের ১২ টা বেজে যাবে!
    Total Reply(0) Reply
  • Md Hafizur Rahman ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৫ এএম says : 0
    যত কিছুই হোউক না কেন, সশস্ত্র বাহিনী যেন বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • ইবনে খালেক ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৬ এএম says : 0
    ততক্ষনে বিএনপির নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া/জেলে ঢুকানো শেষ।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৬ এএম says : 0
    সারা দেশে অরাজকতা শুরু হয়েছে, এখনি নামানো জরুরী ।
    Total Reply(0) Reply
  • আহসান ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৫৯ এএম says : 0
    সেনা বাহিনী হলো অনন্ত নিজের ভোট টা দেওয়া যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • 012379 ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৫৭ এএম says : 0
    ভালোই হলো।
    Total Reply(0) Reply
  • মুফতী আব্দুস সবুর ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৫৮ এএম says : 0
    সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে বিএনপির নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করার পর৷ (নীল নকশা)
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ