Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনের বিন্দুমাত্র পরিবেশ নেই

সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

দেশে নির্বাচনের বিন্দুমাত্র কোন পরিবেশ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, সারাদেশে নির্বাচনের অসমতল ভূমি। লেভেল প্লেয়িং কোন ফিল্ড নেই। তবে যতই নির্যাতন করুক আমরা শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকব।তিনি গণমাধ্যমকে পর্যবেক্ষণ করতে দাবি জানিয়েছেন। গতকাল (বুধবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নোয়াখালী-৫ নিজের আসনে নির্বাচনী পরিবেশের কথা তুলে ধরে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী হিসেবে সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। সাত-আটটা গাড়িসহ শতাধিক মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে সরকারি সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে ক্ষমতা এবং প্রভাব দেখিয়ে তিনি সর্বত্র ঘুরে বেড়ান। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে মাইক ব্যবহার করে উনি বক্তব্য রাখেন। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন সরকারের নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন মওদুদ।
তিনি বলেন, রিটার্নি অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, পুলিশের এসপি ও ওসির কাছে বার বার অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। আমি লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে টেলিফোনে আলাপ করেছি। তাতে কোনো লাভ হয়নি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের’ বদলে এখন ‘আন-লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধিতে মন্ত্রীর মতো সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের কর্মসূচিতে না জড়ানোর কথা বলা আছে। এতে বলা হয়েছে। মন্ত্রীরা প্রচারের সময় সরকারি গাড়ি, সরকারি প্রচারযন্ত্র ব্যবহারসহ অন্য সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। মওদুদ আহমেদ অভিযোগ করেন, নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে ধানের শীষের প্রচার চালাতে না পেরে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে।
তিনি বলেন, গতকাল অনুমতি থাকা সত্তে¡ও আমাকে কবিরহাটে নির্বাচনী সভায় না যেতে ডিসি সাহেব (রিটার্নিং কর্মকর্তা) জানিয়ে দেন; এসপি সাহেব, যিনি আইনশৃঙ্খলার কর্তা, দুজনই আমাকে টেলিফোনে বলেছেন, কবিরহাটে আমার যাওয়া ঠিক হবে না, আমি যেন না যাই। তাহলে এটা কী নির্বাচন? অর্থাৎ একজন প্রার্থী, আমার মতো প্রার্থী যদি নির্বাচনী সভা করতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসে। অর্থাৎ এর অর্থ হলো এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কবিরহাটের স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি সত্তে¡ও সরকারি দলের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের লাঠিসোঁটা, চাপাতি ও বন্দুক নিয়ে হামলা করলে সভাস্থলেই শতাধিক নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন গুরুতর অবস্থায় ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ব্যারিস্টার মওদুদ দাবি করেন, নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা থেকে ক্ষমতাসীন দল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আমরা জোরের সাথে বলতে চাই, আমরা শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে থাকব। যতই অত্যাচার-নির্যাতন হোক আমাদের উপরে, যতই তারা বিধি লঙ্ঘন করুন, যতই তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করুক। এবার ধানের শীষের যে জোয়ার উঠেছে, এই জোয়ার আওয়ামী লীগ ঠেকাতে পারবে না। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, নিলোফার চৌধুরী মনি, মুনির হোসেন প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ