Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনে থাকা নির্ভর করছে সরকার ও ইসির ওপর রুটিন কাজের জন্য নির্বাচনকালীন সরকারের

বাম জোটের ইশতেহার ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভুমিকার উপর নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তারা বলেন, এখনো সকলের জন্য সমান সুযোগের ক্ষেত্র তৈরী হয়নি। সরকারি দল বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের প্রচারে বাধা দিচ্ছে, হামলা চালাচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না। গতকাল নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা তাদের ৩২ দফা ইশতেহারে বলেছেন, বামপন্থীরা জয়ী হলে রুটিন কাজের জন্য নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান সংবিধানে যুক্ত করা হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর সংস্থা হিসাবে গড়ে তুলতে সংবিধানের ১১৮(১) ধারা মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইন প্রনয়ণসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তারা।
পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম। এসময় সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, সিপিবি সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কমিউনিস্ট লীগের নেতা নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইশতেহার ঘোষণা করে জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের শ্রমজীবী মানুষের উপার্জিত সম্পদ এক ভাগ লুটেরারা ভোগ করছে। জোট-মহাজোটের প্রতিনিধিরা ওই একভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। এর বিপরীতে বাম জোট নিরানব্বইভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ নিরানব্বইভাগ এর প্রতিনিধিরা কাস্তে, মই ও কোদাল মার্কায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এজন্য নেতৃবৃন্দ বাম জোটের প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
বাম জোটের ইশতেহারে বলা হয় বাম জোটের প্রাথীরা জয়ী হলে সংসসদের ভেতরে বাইরে তারা এ (ইশতেহারের বর্ণিত) বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করবেন। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালুসহ জোটের ৫৪দফা সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমুল সংস্কার করবে তারা। না ভোটের বিধানও চালু করবেন তারা। ভোটদানে বাঁধা দিলে শাস্তির বিধান করবে বলেও ইশতেহারে রয়েছে। মেহনতি ও দরিদ্র প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক বাধাগুলি দুর করবে তারা। পর্যায়ক্রমে সব প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের প্রচারণা কাজে সরকারি অর্থে ও ব্যবস্থপনায় পরিচালনা করবে। এছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনসহ বনাঞ্চল সংরক্ষণে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সুন্দরবন এলাকায় শিল্প-কারখানা নির্মাণ বন্ধ করা, সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করবে তারা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ