পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার
নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত যথেষ্ট নিরপেক্ষ ভূমিকায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো- চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনভুক্ত চারটি সংস্থাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো- চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।
গতকাল বুধবার বিকালে নির্বাচন ভবনে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরি ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট নিরপেক্ষ ও নির্মোহ রয়েছে। কয়েকটি জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। পটুয়াখালী, ময়মনসিংহের ফুলপুর, মানিকগঞ্জের সিংগাইর, পাবনার শাহাজাদপুর ও নরসিংদী জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করেছে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সতর্ক করলাম এসব ঘটনায় দায়িদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিতে আমরা কমিশনকে অনুরোধ করেছি। অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক। এইচ টি ইমাম বলেন, সব অভিযোগের বিষয়ে কমিশন জানত না। আমরা তাদের অবহিত করলাম। আলোচনা করে তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। জবাবে ইসি আমাদের বৃহত্তম দল হিসেবে আমাদের দায়িত্বের বিষয়টি উল্লেখ করলে আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি বলে জানিয়েছি। আমরা বলেছি, আমাদের আক্রমণ করলে রক্ষা তো আপনাদেরই করতে হবে। সেক্ষেত্রে কমিশনও তাদের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন এসব বিষয়ে সংষ্টি এলাকায় নির্দেশ দেবেন এবং যথাবিহীত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। সারাদেশে যেসব হামলা ও সহিসতা হয়েছে মোটামুটিভাবে তার বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের উপর হয়েছে। আমাদের দুইজন সদস্য নিহত হয়েছেন। যারা তৃণমুলে নির্বাচনী কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন। বেছে বেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর আক্রমণ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। সে বিষয়টি আমরা কমিশনকে অবহিত করেছি। বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঠাঁকুরগাওয়ে হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে গুলশান ও নয়পল্টন অফিসে মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে যে তুমুল তোলপাড় হয়েছিল, সেটার বহি:প্রকাশ ঠাঁকুরগাওয়ে হয়েছে। তারা নিজেরা মারামারি করেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের কেউ ছিল না। তিনি যে সেখানে যাবেন সেটি পুলিশকে জানাননি। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটতে পারে। সে বিষয়ে আমরা সকলেই তৎপর। নোয়াখালীর সেনবাগে যুবলীগকর্মী নিহতের ঘটনাকে ২০১৪ সালের সহিংসতা ও মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার সঙ্গে তুলনা করে তিনি। এছাড়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটি সংস্থাকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব না দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ইসিতে নিবন্ধিত এই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে দলটি বলেছে- এরা যদি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকে, এদের যদি নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে বিপর্যয় ঘটতে পারে।
এইচ টি ইমাম বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে দেশি ও বিদেশিরা কাজ করেন। দেশীয় যে ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে এদের মধ্যে চারটি সংস্থা একেবারেই দলীয়। এরা হলো- ডেমোক্রেসি ওয়াচ, খান ফাউন্ডেশন, লাইট হাউস ও বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ।
এরমধ্যে ডেমোক্রেসি ওয়াচের প্রধান হচ্ছেন তালেয়া রেহমান। যিনি বিএনপির বড় নেতা ও সাংবাদিক লেখক শফিক রেহমানের স্ত্রী। খান ফাউন্ডেশন চালান বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের স্ত্রী। লাইট হাউসের পেছনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন তারেক রহমান। আর বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদের নেপথ্যে এখন রয়েছেন আদিলুর রহমান খান। যার প্রতিষ্ঠান অধিকারের নিবন্ধন কয়েকদিন আগেই ইসি বাতিল করেছে। তিনি বলেন, এরা যদি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকেন, এদের যদি নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে বিপর্যয় ঘটতে পারে।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।