Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে দুই বছর সময় চান ব্যবসায়ীরা

প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগামী জুলাই থেকে নতুন যে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে তা অধিকাংশ ব্যবসায়ী বুঝেন না বলে দাবি করে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আর এটা বুঝতে হলে যথাযথ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। আর মাত্র এক মাস পর জুলাই মাস থেকে এ আইন বাস্তবায়ন হলে তা কিভাবে সম্ভব? এছাড়াও নতুন আইনের প্যাকেজ ভ্যাট সংযোজনসহ ৭টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। এরও কোনো সমাধান হয়নি। তাই ব্যবসায়ীদের এ আইন সম্পর্কে জানা ও পরিপালনের সক্ষমতা তৈরি করা দরকার। এ জন্য আরো দুই বছর পর এ আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দর ট্রাস্ট মিলনায়তনে ভ্যাট আইনের অধীন ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক আদায় বিষয়ক সেমিনারে ব্যবসায়ীদের পক্ষে এ দাবি জানান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালক হেলাল উদ্দিন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এনবিআরের সদস্য (মূসক : নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা) মো. রেজাউল হাসান, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট-এর কমিশনার মো. মাসুদ সাদিকসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্মকর্তারা।
এসময় অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই আইনটিতে কিছু জটিলতা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন না হলে এর সমস্যাগুলো বুঝা যাবে না। তাই আইনটি বাস্তবায়ন হলে এর দুর্বলতা জানা যাবে একই সঙ্গে তা সমাধান করা যাবে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ৭টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব প্রস্তাবনার বিষয়ে আগামী বাজেটের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, আর এক মাস পর আইন বাস্তবায়ন হলে আজকে কেন ভ্যাট আইন বুঝানো ও তা জানানোর বিষয়ে এ সেমিনার হচ্ছে। এটা আরো এক/দুই বছর আগে থেকে হয়নি কেন? এক মাসে ব্যবসায়ীরা কিভাবে আইন বুঝবে। তাই নতুন আইন সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের জানাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার বলে মনে করেন আব্দুর রাজ্জাক।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত কমিশনার শওকত হোসেন। তিনি বলেন, নতুন আইনে মূল্য ঘোষণার বিধান নাই। ব্যবসায়ী প্রকৃত বাজার মূল্যে পণ্য বিক্রিয় করতে পারবে। এছাড়াও এ আইনে আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং উৎপাদনকারীর বার্ষিক ৩০ লাখ টাকার নিচে লেনদেনে কোনো ধরনের কর প্রদান করতে হবে না। একই সঙ্গে বার্ষিক লেনদেন ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত মাত্র ৩ শতাংশ কর প্রদান করতে হবে। তবে এ সুবিধা সম্পূরক শুল্ক প্রদানকারী যেমন টোবাকো ব্যবসায়ীরা পাবেন না।
এ আইনে চলতি হিসেবের জটিলতা থাকছে না। প্রতি একমাস অন্তর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। নতুন আইনে কর রেয়াতের পরিধি বাড়ানো হয়েছে, তাই দ্রব্যমূল্য বাড়বে না। ভ্যাট অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। নতুন আইনে মূসক ব্যবস্থা হওয়ায় ব্যবসার খরচ কমবে ও পরিপালন সহজ হবে বলেও জানান শওকত হোসেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে দুই বছর সময় চান ব্যবসায়ীরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ