পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের রফতানি আয়ে সুবাতাস অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দিকে মন্দা থাকলে ছয় মাসের মাথায় রফতানি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে ফিরে এসেছে। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রফতানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২ শতাংশ বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ, যা অর্থের হিসাবে প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের বেশি।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, একক মাস হিসাবে এপ্রিলে রফতানি আয় ডাবল ডিজিটে পৌঁছেছে। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এপ্রিল মাসে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি রফতানি আয় হয়েছে।
ইপিবি প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে রফতানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৯ দশমিক ২২ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি।
হিসেব অনুসারে, অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা রফতানি করে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ৭২ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ। এ সময়ে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৭১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সেদিক থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫২ কোটি ৮২ লাখ ডলার বেশি রফতানি আয় হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা এই বিষয়ে বলেছেন, দেশের বাইরে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। ধারাবাহিক রফতানি প্রবৃদ্ধি তার প্রমাণ। বছরের শুরুতে বিভিন্ন কারণে যেসব ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন বলে চিন্তা করছিলেন, তারা সবাই এখন বাংলাদেশ থেকে পণ্য কিনছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কর্মপরিবেশের উন্নতি করায় রফতানি আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
ইপিবির সর্বশেষ হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে এপ্রিলে ২৩৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রফতানি আয় হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি। এপ্রিলে ২৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলার লক্ষ্যেমাত্রার বিপরীতে এ আয় হয়েছে ২৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রফতানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাকে রফতানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ খাত থেকে মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৮২ ভাগ এসেছে। এ সময়ে নিট পোশাক খাতে এসেছে ১ হাজার ৭৩ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। আর ওভেন পোশাক খাতে রফতানি আয় এসেছে ১ হাজার ১৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। সুতরাং, ছয় মাসে নিট খাতে ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ওভেন খাতে ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এদিকে, ইপিবি সূত্র জানায়, রফতানিতে বড় ধরনের মন্দায় চলতি অর্থবছর শুরু হয়েছিল। জুলাই মাসে আগের বছরের চেয়ে রফতানি কমেছিল ১২ শতাংশ। আগস্ট মাসে রফতানি বাড়ে প্রায় ২৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে রফতানি কমে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। চতুর্থ মাসে এসে আবার ঘুরে দাঁড়ায় রফতানি খাত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।