পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী মাঠকে অশান্ত ও রক্তাক্ত করে তুলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে ধানের শীষের প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের ওপর বেপরোয়া হামলা চালিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা, এলাকা ছাড়ার হুমকি, হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আহত করা ও গ্রেফতারসহ নানামূখী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এসব নিপীড়ণ-নির্যাতন ও অত্যাচারে সারাদেশে নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বলতে কিছু নেই। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রতিনিয়ত বিএনপি প্রার্থীদের উপর হামলা করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, বিএনপির অফিস ও নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা করছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চলছে, অগ্নিসংযোগ করছে। টানা দুঃশাসনে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত সারাদেশে সহিংসতা চালাচ্ছে। ভোটারশুণ্য নির্বাচন করতে ফ্যাসিবাদ সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। জনগণকে নির্বাচনী মাঠ থেকে বিতাড়িত করতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে আওয়ামী লীগ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলাসহ ১৮টি জেলায় বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করার পর, নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের পর বুধবারও দেশের বিভিন্নস্থানে নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। টার্গেট করে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা, হত্যা, আঘাত ও শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরাতেই এসব হামলা হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে আতংকজনক অবস্থা বিরাজ করছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ঘর থেকে বের হলেই হামলা চলছে, ঘরের ভিতর থাকলেও গ্রেফতার করা হচ্ছে, পার্টি অফিস থেকে গ্রেফতার করছে অপর পক্ষে পুলিশ প্রটোকলে প্রচারণা চালাচ্ছে আওয়ামী প্রার্থীরা। বাংলাদেশের মানুষ এমন অদ্ভূত নির্বাচন আগে কখনও দেখেনি। এহেন সহিংসতার মাত্রা বিস্তারে সেনাবাহিনী দ্রুত মোতায়েন ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের প্রটৌকলে প্রচারণা চালানোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রীরা রাষ্ট্রীয় প্রটৌকল নিয়ে তারা নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন যা সম্পূর্ণরুপে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা দেশটাকে নিজেদের জমিদারী মনে করে বলেই তাঁরা গায়ের জোরে এধরণের কর্মকান্ডে লিপ্ত আছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৫ ডিসেম্বর তারিখ পরিবর্তন করে সেনা মোতায়েন আগামী ২৩ ডিসেম্বর তারিখ নাকি ধার্য্য হয়েছে। আমরা শুনতে পেয়েছি এই তারিখটিও আরও পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা করার জন্যই সেনাবাহিনী মোতায়েনে বিলম্ব করছে। সরকারের মদদে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর নগ্ন হামলা চলাকালে সেনাবাহিনী মোতায়েনের তারিখ পেছানো ষড়যন্ত্রমূলক। চলমান নির্বাচনী সহিংসতা ও সন্ত্রাস দমনে আজ থেকেই সারাদেশে সেনা মোতায়েনের জোর দাবি জানান তিনি।
প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যত বাধা হামলা হোক না কেন নির্বাচনী মাঠ থেকে বিএনপিকে সরানো যাবে না, বরং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে, ইউনিয়ন, ইউনিয়নে, থানায় থানায় সাধারণ জনগণকে নিয়ে বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরদেরকে সকল বাধা অতিক্রম করে নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রাখার আহবান জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।