পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমুল নির্বাচন অনুষ্টানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এ ধরনের অপতৎপরতা এবং আওয়ামী সন্ত্রীদের দ্বারা আক্রমন অবিলম্বে বন্ধের ইসির নির্দেশ প্রদানের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করেন। সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা রহমান বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সঠিক পদক্ষেপ নিলে আমরা নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি তিনি (সিইসি) অসহায়। তিনি বিব্রত বোধ করছেন, এটা সত্যি। কারণ তিনি কিছু করতে পারছেন না। তবুও আমরা আশা রাখি, সিইসি যেহেতু এবার একটি সুযোগ পেয়েছেন, তিনি যদি সঠিকভাবে পদক্ষেপ নেন। তাহলে কিন্তু আমরা এই নির্বাচনকে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হিসেবে প্রমাণ করতে পারব।
তিনি বলেন, ১০ তারিখ থেকে প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রচারণার পর পরই আমাদের মহাসচিবের গাড়ি বহরে আক্রমনণ করা হয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রচারণায় বার বার হামলা করা হচ্ছে। মঈণ খানের এলাকায় হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী ও যুবলীগ মিলে এই হামলা করছে।
সেলিমা রহমান বলেন, যারা জামিনে আছেন তাদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা গ্রেফতার হচ্ছেন তাদের জামিন দেয়া হচ্ছে না। জামিনে থাকা সত্বেও নাটোরে বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস দুলুকে আটক করা হয়েছে। যাদের নামে মামলা নেই অজ্ঞাতনামা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে আমাদের এমন নেতা-কর্মীদের।
তিনি বলেন, তারা চাইছে আমরা যেন নির্বাচনে প্রচারনা চালাতে না পারি, নির্বাচন যেন না করতে পারি। তারা একতরফাভাবে নির্বাচন করতে পারে। সে কারণে এখন ভয়ভীতি, হামলা মামলাসহ বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি করছে। প্রার্থীদের উপর বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ করা হচ্ছে। এই ঘটনাগুলো জানাতে আজ আমরা এসেছি। কারণ তিনি বলেছিলেন আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেবো। সবাই সমান সুযোগ পাবে।
সেলিমা রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা এখন পলাতক। কারণ পুলিশের ভয়ে অনেকে পলাতক রয়েছেন। এই বিষয়গুলো আমরা কমিশনকে জানালাম। তফসিলের পর গ্রেফতার হবে না বললেও এখন প্রতিনিয়ত গ্রেফতার হচ্ছে। এবং অজ্ঞাতনামা দিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হচ্ছে। এই অজ্ঞাতনা জানতে চাইলে পুলিশ বলছে তাদের নামে আগে থেকে মামলা ছিল। তারা নিজেরাই এগুলো করছে।
সিইসি বিব্রত দাবি করে তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করছি। কিন্তু পুলিশ বলছে আগে থেকে যাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে, তাদের আমরা ধরছি। পুলিশ বলছে তাদের নামে সুনির্দিষ্ট কেইস আছে। সিইসি বলছেন সেই সুনির্দিষ্ট কেইস কি সেটা আমি কি করে জানব। আমি চেষ্টা করছি, আমি চেষ্টা করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।