পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে কোটালীপাড়ায় জনসভার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় ফেরার পথে বিভিন্ন স্থানে মোট সাতটি জায়গায় নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে পথসভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি।
এবার সব মিলিয়ে ২০টি জেলার জনসভায় সরাসরি অংশগ্রহণ করবেন এবং বাদ বাকি জেলাগুলোতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিবেন। নির্বাচনী সকল কাজ গণভবন নয়, সুধাসদন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পরিচালনা করবেন। তার সফর সফল করতে গতকাল দুপুরে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।
আজ সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সড়ক পথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন। দুপুর ১২টায় তিনি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছাবেন। দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তক অর্পণ, ফাতেহাপাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শেখ হাসিনা নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা সদরের শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন। ওইদিন রাতে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। সড়কপথে ঢাকা ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়, ফরিদপুর মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, পাটুরিয়া ঘাট, মানিকগঞ্জ বাসট্যান্ড, ধামরাই রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও সাভার বাসস্ট্যান্ডে নির্বাচনি প্রচার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
২০ জেলায় জনসভা করবেন শেখ হাসিনা: এবার ২০টি জেলায় নির্বাচনী জনসভা এবং পথসভায় অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম, রংপুর, জয়পুরহাট, বগুড়া, নড়াইল, যশোর, বাগেরহাট, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোরসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলা।
গণভবন নয়, সুধাসদনে বসে নির্বাচনী কাজ করবেন শেখ হাসিনা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী কার্যক্রম সমন্বয়, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পরশু থেকে সুধাসদনে নিয়মিত বসবেন। ইতিমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। সুধাসদন শুধু বৈঠকই নয়, এখান থেকে তিনি কয়েকটি জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জনসভায় যোগ দিতে পারেন। এ জন্য সেখানে তৈরি হয়েছে বিশাল একটি ভিডিও কনফারেন্স রুম। দলের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া জানান, সংসদ নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এখন থেকে নিয়মিত সুধাসদনে বসবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকসহ দলের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা এখান থেকেই করবেন তিনি। এ ছাড়াও যেসব জেলায় যেতে পারবেন না এমন কিছু জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা করবেন। বিপ্লব বড়–য়া আরও জানান, নির্বাচনী প্রচারণায় প্রধানমন্ত্রী সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবেন না। এজন্য আজ সড়কপথেই টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন এবং সড়কপথেই ফিরবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার জনসভাকে কেন্দ্র করে নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়েছে। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে তিনি কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষন দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নেতা কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রচার প্রচারণা নিয়ে কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মুখরিত হয়ে উঠেছে। বর্ণিল সাজে কোটালীপাড়াকে সজ্জিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। জনসভার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা কাজ করছেন।
এদিন রাতে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন। রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় করার কথা রয়েছে বলে জানান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল লাখ লাখ জনতার উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে। কোটালীপাড়ার ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরএলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ এ জনসভায় অংশ নেবে। ইতিমধ্যে জনসভা সফল ও সাফল্য মন্ডিত করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. কামরুল ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কোটালীপাড়া সফর সফল করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দফায় দফায় সভা করেছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা কাজ করছে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।