পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। গত মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের দায়িত্ব নেওয়া রবার্ট মিলার গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে যান। সেখানে তিনি বিকাল তিনটার দিকে প্রায় ঘণ্টাখানেক সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে রবার্ট মিলার বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলাম। আমরা বলেছি, সব দল যেন অবাধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার এবং রাজনীতি করার সুযোগ পায়। তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতে এবং সভা-সমাবেশ করতে পারে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সব দল যেন বাধাহীনভাবে নির্বাচনী প্রচারণা, র্যালি, সমাবেশ করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্র কোন নির্দিষ্ট দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না মন্তব্য করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াকে এবং বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রিক মূল্যবোধকে সমর্থন করে। নির্বাচন ঘিরে সংঘাত যেন না হয় সেই প্রত্যাশা জানিয়ে মিলার বলেন, সংঘাত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রধান বাধা। বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখ বাংলাদেশি অংশ নেবেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছি।
বিতর্কের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র শক্তিশালী ও বিকশিত হয় মন্তব্য করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, গণমাধ্যম ও বিরোধী দলগুলো যেন তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। রাজনৈতিক দল হোক, আর সে যে-ই হোক, সবাই যেন শান্তিপূর্ণ আচরণ করে। সবাই যেন সহিংসতা থেকে দূরে থাকে। কেননা, সহিংসতা গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে থাকে। তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সহিংসতা শুধু তাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও রাজনৈতিক দল অথবা প্রার্থীকে সমর্থন করে না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মূল্যবোধকে সমর্থন করি।
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতিকে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ টিমকে সহায়তা করবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। তারা পাঁচ সদস্যের প্রাক মূল্যায়ন দল অক্টোবরে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল। ডিসেম্বরেও এ রকম আরও একটি দল পাঠিয়েছিল।
এনডিআইয়ের অংশীদার ‘দি এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইকলকশন’ দুজন আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত করেছে এবং স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে।
রবার্ট মিলার বলেন, মার্কিন দূতাবাস থেকে সারা দেশে পৃথক পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করা হবে। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা নিয়ে ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষকের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অর্থায়ন করা হবে। এই পর্যবেক্ষকরা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) হয়ে কাজ করবেন। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।