পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিন আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিএনপির চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়ার রিটে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই বিভক্ত আদেশ দেন। সিনিয়র বিচারপতি রুলসহ মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করে আবেদন খারিজ করে দেন। এখন নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার নথিপত্র প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। প্রধান বিচারপতি তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন। সেখানে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কিনা তার ভাগ্য নির্ধারণ হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই পক্ষপাতিত্ব করছে, ঠুঁটো জগন্নাথ পরিণত হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে এসেছিলাম। প্রিসাইডিং জাজ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তিনটি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দিলেও বেঞ্চের অপর বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেছেন। প্রধান বিচারপতি তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন আবেদনটি নিষ্পত্তি করার জন্য। আমরা প্রত্যাশা করছি, তৃতীয় বেঞ্চে আমরা ন্যায়বিচার পাব, সঠিক সিদ্ধান্ত পাব।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিচারিক আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচন করতে দেয়া হলে তা সংবিধান লঙ্ঘন হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনটি রিট পিটিশন করা হয়েছিল। রিট আদেশে হাইকোর্ট দ্বিমত পোষণ করেছেন। যেহেতু দুজন বিচারপতি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি, সে জন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে তিনি পরবর্তী বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন। গতকাল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই বিভক্ত আদেশ দেন। বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি রুলসহ মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করে খালেদা জিয়ার তিনটি রিট খারিজ করে দেন। আইনজীবীরা বলেছেন, দ্বিধা বিভক্ত আদেশ আসায় খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ আরও অনিশ্চয়তায় পড়েছে বলে মনে করেছেন তারা।তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। গত সোমবার হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য রাখেন। আদেশের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, নওশাদ জমির ও একে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে তিন আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এর বিরুদ্ধে করা আপিল ৮ ডিসেম্বর নামঞ্জুর করে ইসি। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে পৃথক তিনটি রিট করেন খালেদা জিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।