পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনপূর্ব সময়ে ক্ষমতাসীন সরকার বিভিন্ন উপায়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে এবারই প্রথম ক্ষমতাসীন দলের আয়োজনে নির্বাচনে বিএনপির মতো দল অংশ নিতে যাচ্ছে। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু করার দায়িত্ব সরকারিদলের ওপরই বর্তায়। বিতর্কিত হলে তার পরিণতি হবে অমঙ্গলজনক।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিআইআইএস মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘ভোটাররা কি স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন’? শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজনের) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রায় ২৫ শতাংশ তরুণ ভোটার আছেন। তারা যেন হতাশ না হন। এই তরুণেরা হতাশ হলে তারা বিপথে চলে যাবে। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন শুধু অবাধ হলেই হবে না, ফেয়ার হতে হবে। ভোটগ্রহণ যেমন অবাধ হতে হবে, তেমন ভোট গণনাও ফেয়ার হতে হবে। আসন্ন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বহাল থাকা সংসদ ও সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। এ অবস্থায় নির্বাচনী মাঠ খানা-খন্দে ভরা ভিন্নমতের মানুষের জন্য। আর সরকারিদলের জন্য সমতল। এ অবস্থায় কোনো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
তবে নির্বাচন নিয়ে এখনই হতাশ হতে চান না আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, আস্থা রাখার কারণ নষ্ট হওয়ার মতো কিছু হয়নি। সদিচ্ছা থাকতে হবে নির্বাচন করার। জনগণ যার সঙ্গে থাকবে তারাই জিতবে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। সিজিএস এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, এফবিসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ফজলুল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক রাশেদ আলী মাহমুদ তিতুমীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শাহাব এনাম খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।