Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচন বিতর্কিত হলে পরিণতি হবে অমঙ্গলজনক

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নির্বাচনপূর্ব সময়ে ক্ষমতাসীন সরকার বিভিন্ন উপায়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে এবারই প্রথম ক্ষমতাসীন দলের আয়োজনে নির্বাচনে বিএনপির মতো দল অংশ নিতে যাচ্ছে। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু করার দায়িত্ব সরকারিদলের ওপরই বর্তায়। বিতর্কিত হলে তার পরিণতি হবে অমঙ্গলজনক।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিআইআইএস মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘ভোটাররা কি স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন’? শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজনের) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রায় ২৫ শতাংশ তরুণ ভোটার আছেন। তারা যেন হতাশ না হন। এই তরুণেরা হতাশ হলে তারা বিপথে চলে যাবে। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন শুধু অবাধ হলেই হবে না, ফেয়ার হতে হবে। ভোটগ্রহণ যেমন অবাধ হতে হবে, তেমন ভোট গণনাও ফেয়ার হতে হবে। আসন্ন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বহাল থাকা সংসদ ও সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। এ অবস্থায় নির্বাচনী মাঠ খানা-খন্দে ভরা ভিন্নমতের মানুষের জন্য। আর সরকারিদলের জন্য সমতল। এ অবস্থায় কোনো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
তবে নির্বাচন নিয়ে এখনই হতাশ হতে চান না আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, আস্থা রাখার কারণ নষ্ট হওয়ার মতো কিছু হয়নি। সদিচ্ছা থাকতে হবে নির্বাচন করার। জনগণ যার সঙ্গে থাকবে তারাই জিতবে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। সিজিএস এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, এফবিসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ফজলুল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক রাশেদ আলী মাহমুদ তিতুমীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শাহাব এনাম খান প্রমুখ।



 

Show all comments
  • Hossain Dalwar ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৩২ এএম says : 0
    সতর্কতা অবলম্বন করুন ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির সকল দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি.... এই আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির নেতা কর্মীদের উপর এতদিন মামলা দামলা,খুন আর গুম,বিভিন্ন প্রকার নাশকতা করে অনেক চেষ্টা চালিয়ে চেয়েছিলো বিএনপির যাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই এবং 2014 সালের মতো খালি মাঠে গোল দিতে পারে। কিন্তু তাদের এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাই এখন তারা আবার বিএনপির নির্বাচনের প্রচারের সময় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা দামলা শুরু করে দিয়েছে। বিএনপি যেন ভয় পেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। তাই সকল ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতা কর্মীদের 30 ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন মাঠে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকার অনুরোধ করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Molla Nasir Uddin ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৪০ এএম says : 0
    এখানে উপস্থিত সাবাই আওয়ামী বিরোধী।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Sirajul ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৪৪ এএম says : 0
    প্রথম দিনের প্রচারণাতে এতো ভাঙ্গচুর? কি ভাবে সুস্ত নির্বাচন আশা করেন?
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৪৫ এএম says : 0
    সুষ্ঠু নির্বাচন করার মত সাহস সরকারের নেই। তাই গুন্ডা বাহীনি সাথে অতি উৎসাহী পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে জনগনের বিরুদ্ধে। এই জুলুম থেকে জাতীকে মুক্তি দিতে হলে ৩০ তারিখ পর্যন্ত মাটি কামরে পড়ে থাকতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Anisur Rahaman ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৪৬ এএম says : 0
    সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চায় না, হামলা- মামলা জেল - জুলুম এগুলোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে কি করতে চায় ?
    Total Reply(0) Reply
  • ফাহিম আল হাসান ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৫৪ এএম says : 0
    ভোটের দিন শত শত মানুষ না মারা যাওয়ার আগে আমরা কি এখন থেকে সতর্ক হতে পারি না। সরকারের এক গুড়ামির কারনে ৩০ তারিখে কত গুলো মানুষ মারা যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ