Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার অজুহাত খুঁজছে বিএনপি : আ.লীগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেছেন, নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে বিএনপি পরিকল্পনা মাফিক বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার অজুহাত খুঁজছে।
গতকাল সকালে ধানমন্ডিস্থ দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট জোটের ত্রাণকর্তা ও পৃষ্ঠপোষকের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ব্যালটের মাধ্যমে এদেশের জনগণ তাদের পরাজিত করবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন মামলার অভিযোগে, অভিযুক্ত দুর্বৃত্তদের আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করার অপচেষ্টা চালিয়ে পবিত্র নির্বাচনকে কুলষিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতি, হত্যাসহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার খুনি পরিবার ও ২১ আগষ্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার হত্যাযজ্ঞের খুনি পরিবাবের সদস্যদের এই নির্বাচনে মনোনয়ন দেবার দৃষ্টতা দেখিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই বিএনপি এখনও খুন ষড়যন্ত্র দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়নের অপরাজনীতির ঐতিহ্য রক্ষা করে চলছে। জাতির দুর্ভাগ্য এই যে বিএনপির এ ধরনের দেশ ও দেশের আইন বিরোধী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা ও বৈধতা দিতে আজ জাতির সামনে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন ড. কামাল হোসেনের মতো আইনজ্ঞরা। যারা প্রায়ই দেশের মানুষকে আইন শাসন নিয়ে সুষ্ঠু রাজনীতির জ্ঞান বিতরণ করেন।
দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়া নির্বাচনে ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ তে নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে। আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অশ্রুসজল নয়নে জাতির সামনে বলেছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়াই তারা এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। কারণ, তারা জানতেন বিএনপি যতই রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করুক না কেন, আইনের চোখে তিনি (খালেদা জিয়া) একজন এতিমের টাকা আত্মসাতকারী ও সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি নির্বাচন ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন না।
আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান বলেন, আমাদের পবিত্র সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ড. কামাল হোসেন। অনুচ্ছেদটি ১৯৭২ সালের সংবিধানের জন্মলগ্ন থেকেই লিখিত রয়েছে। ড. কামাল হোসেনরা আজ ক্ষমতার মোহে নিজের লিখিত সংবিধানের সেই অনুচ্ছেদের বিরোধিতা করছেন। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতকে বিভ্রন্ত করার লক্ষ্যে দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির পায়তারায় তিনটি রিট পিটিশন করেছে। হাইকোর্ট বিভাগও এসব আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। হাইকোর্টের বিচারকরা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানকে অনুসরণ করেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান বলেন, জাতির দুর্ভাগ্য-হাইকোর্টের আদেশ নিয়েও বিএনপি তার চিরাচরিত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে আশ্রয় নিয়েছে। বিএনপিকে অপরাজনীনীতি পরিহার করে নির্বাচনী প্রচার কাজে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় দলের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ