পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এ সরকারের আয়ু শেষ। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকার হেরে যাবে ইনশাআল্লাহ। এরপর জনগণ আপনাদের কিভাবে দেখবে সেই কথাটাও একটু ভাবুন। তিনি আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার এবং ভোট কেন্দ্র পাহারা দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহবান জানান। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘রাজনীতি ও মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে বিনা বিচারে মানুষ মারা যাওয়ার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. কামাল হোসেন এব্যাপারে সরকারের কাছে শক্তিশালি একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আহবান জানান। বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, রোগের কারণ চিহ্নিত করার পরে তো চিকিৎসা। কিন্তু আমরা তো রোগ সম্পর্কেই জানতে পারি না, না হলে ৩২১ জন বিনাবিচারে হত্যাকারের শিকার হয় কেন? তা আমাদের জানানো উচিত। কেননা বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।
বর্তমান সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন বলেন, এরা বিনা ভোটে নির্বাচিত হলেও এখনও তারা একজন সংসদ সদস্য হিসাবেই বিবেচিত। তাই তাদের অবস্থান থেকে এখনও কিছু করতে পারেন তারা। কারণ আর কয়েকদিন পরতো সাধারণ পাবলিকে পরিনত হয়ে যাচ্ছে এসব সংসদ সদস্যরা। তাই যাবার আগে প্লিজ একটা কিছু করে যান। কারণ আপনারাতো বলছেন দেশের জন্য অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাই বিনা বিচারে এভাবে যারা মারা যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিন,কিছু একটা করুন। তখন জাতিকে বলতে পারবেন হ্যাঁ আমরা বিনা বিচারে হত্যার ব্যাপারে ক্ষমতার শেষ সময়েও পদক্ষেপ নিয়েছি। তবে তিনি জনগণকেও মানবাধিকার রক্ষায় প্রহরীর ভুমিকায় থাকতে বলেন। এর পাশাপাশি তিনি সরকারের কাছে মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি কেনো বিনা বিচারে এভাবে দেশে মানুষ মারা যাচ্ছে সেব্যাপারে সহযোগিতা চাইলে তিনি সেব্যাপারেও কাজ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমরাও চাই সরকারের প্রশংসা করতে। বিনা বিচারের মানুষ মারা যাওয়াতো একটি সমাজে অবিচারে বড় নমুনা। দেশে এটাতো মহামারী আকার ধারণ করেছে। গণতানন্ত্রিক সমাজেতো অবিচার টিকে থাকার কথা না, জনগণ ঐকবদ্ধ থাকে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে জনগণ তাদের ভোট নির্বিঘ্নে দিতে পারবে বলে মনে করেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল বলেন, ভোট দেয়া নাগরিকের অধিকার। এটাতো কোন অপরাধ না। ভোটাধিকার না দেওয়ার শতভাগ ব্যর্থতা জনগণের নিজের। ক্ষমতার মালিক জনগণ, এটাতো কাগজ দেখিয়ে বলার কিছু নেই। নীরব-নিষ্ক্রিয় হলে চলবে না। দেশের মালিক ১৮ কোটি মানুষ। এর অর্ধেকও যদি একত্র হয়ে মালিকানা নিজেরা ভোগ করতে চাই, তবে কেউ তা রুখতে পারবে না। তিনি সবাইকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান এবং কেন্দ্র পাহারা দেয়ার আহবান জানান। অপরদিকে দেশের বিভিন্ন নিউজ পোর্টালসহ ৫৮টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়ার খবরেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
ড. কামাল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আপনারা তো হেরে যাচ্ছেন ইনশাল্লাহ । এরপর জনগণ আপনাদের কিভাবে দেখবে সেই কথাটাও একটু ভাবুন। অন্তত শেষ সময়ে জনগণের পক্ষে কাজ করে আপনাদের মোবারকবাদ দেওয়ার সুযোগ করে দিন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, রাজনীতিতে ত্যাগি নেতাদের মুল্যায়ন হচ্ছে না। এখানে যোগ্যতা হচ্ছে টাকা। তিনি বলেন, টাকাই হচ্ছে নেতৃত্ব পাওয়ার মুল কথা সেখানেতো রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি হবে না। তবে তিনি সবাইকে সর্তক করে দিয়ে বলেন, দেশে অন্যায় অবিচার দেখে দয়া করে হতাশ হওয়া যাবে না। কারণ হতাশ হলে লুটেরা সাহসী ও লুটপাটে আরও বেশি উৎসাহিত হবে।
সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিম বলেন দেশে এখন মানবাধিকার নয় এখন চলছে দানবাধিারের দাপট। এদানব শুধু সরকারেই নয় সব ক্ষেত্রে এদের বিস্তার ঘটেছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নুরল হুদা মিলু চৌধুরী। আরো বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার ফেযারেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শাহজাহান, ড. ফরিদউদ্দিন ফরিদ, অধ্যাপক ড অমিত আজাদ, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন তালুকদার মনিরুজ্জামান মনির।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।