পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়ার আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা জানা যাবে আজ (মঙ্গলবার)। নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার রিটের শুনানি শেষ। গতকাল সোমবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ঠিক করে দেন। এদিকে মামলাটি শুনানিকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পরিদর্শনে আসেন ইলেকশন এক্সপাট মিশনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একজন আইন বিশেষজ্ঞ। শুনানির একপর্যায়ে আদালত কক্ষের আইনজীবীদের সারিতে বসে বিভিন্ন লিগ্যাল পয়েন্ট নোট নেন ওই আইন বিশেষজ্ঞ।
গত ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে পৃথক তিনটি রিট করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর আদালতে উপস্থাপনা করা হলে আদালত শুনানি জন্য সোমবার দিন রাখেন। গতকাল সকাল ১১টা থেকে শুনানি শুরু হয়। টানা সোয়া দুই ঘণ্টা শুনানির পর দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত শুনানি শেষে মুলতবি করা হয়। দুপুর ২টার পর আবার শুনানি শুরু হয়ে পৌনে ৪টা পর্যন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন তাঁর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, অন্যদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম কথা বলেন। শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, জিয়াকে যেসব মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে এসব মামলা আপিল করা হয়েছে। আপিল হওয়ার পর রায়ের সাজা কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয়ংভাবে স্থগিত হয়ে যায়। এ ছাড়া সরকারি দলের সাবেক দুই মন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও মায়া চৌধুরী বিচারিক আদালতে দন্ড প্রাপ্ত হওয়ার পর তাঁরা আপিল করলে আপিল চলাকলীন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। পরে মন্ত্রী হয়ে পুরো সময় পার করেছেন। সুতরাং আপিল মূল মামলার অংশ। আপিল যতক্ষণ নিষ্পত্তি না হবে তখন আসামিকে দন্ডিত বলে ধরা যাবে না। কেননা কোনো মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল করার পর তাঁর দন্ড কার্যকর করার সুযোগ থাকে না। যতক্ষণ না আপিল নিষ্পত্তি হবে। সুতরাং খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সংবিধানের ৬৬ ধারা উদ্ধৃত করে আদালতকে বলেন, দুই বছরের বেশি কোনো দন্ডিত ব্যক্তি নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং খালেদা জিয়া দুটি মামলায় ১৭ বছর দন্ডিত হয়েছেন। তাঁর নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখেন। পরে কায়সার কামাল বলেন, নির্বাচন কমিশন বেআইনিভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছিল। আমরা আশা করছি, খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন এবং জনগণের আশা-আকাঙক্ষা অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এরপর গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন করেন। গত শনিবার শুনানির সময় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তাঁরা তিনটি আসনেই খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেন। এর পরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভোটের লড়াইয়ে ফিরতে শেষ আশ্রয়স্থল হাইকোর্টে আসেন। গত রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয়।
হাইকোর্টে ইইউ বিশেষজ্ঞ: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা পরিদর্শনে হাইকোর্টে এসেছেন এরিনি মারিয়া গোউনারি নামে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একজন লিগ্যাল এইড বিশেষজ্ঞ। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে খালেদা জিয়ার মামলার শুনানির সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। এ রিট শুনানির একপর্যায়ে আদালত কক্ষের একেবারে শেষ সারিতে এসে দাঁড়ান ইরিনি মারিয়া গোউনারি। কিছুক্ষণ পর আদালত গোউনারিকে বেঞ্চে বসার ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। এরপর শেষ সারির একটি বেঞ্চে আইনজীবীদের পাশে বসেন গোউনারিকে। এরপর শুনানি চলাকালে বিভিন্ন লিগ্যাল পয়েন্ট নোট নেন তিনি।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।