পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। সরকারী পক্ষ আগে থেকেই সরব থাকলেও প্রচার প্রচারনা শুরু হওয়ায় একটু একটু করে মুখ খুলতে শুরু করেছে বিরোধী পক্ষ বিএনপি কর্মী সমর্থকরা। রাজশাহীর-৬ আসন বাঘা-চারঘাট এখানে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দুই হেভিওয়েট প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও বিএনপির আবু সাঈদ চাঁদ। অন্য আরো দু’জন প্রার্থী থাকলেও মূল নির্বাচনী লড়াইটা হবে শাহরিয়ার ও আবু সাঈদ চাঁদের মধ্যে। ফলে এ দু’জনকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। গতকাল চারঘাটের মীরগঞ্জ রেশম বাগানের সামনে এক চায়ের দোকানে কিছুক্ষন অবস্থান করে দেখা গেল আলাপ আলোচনা জুড়েই ছিল ভোট নিয়ে। তবে সবার মধ্যে ছিল সতর্ক ভাব। আকারে ইঙ্গিতে কথা বলছিল সবাই। যেন ধরি মাছ না ছুই পানির মত। দোকানের টিভিতে সিনেমার গান দেখার ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা। সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষের লোকজনের গলায় চড়া সুর থাকলেও বিপক্ষের লোকজনের মাঝে অজানা আতঙ্ক ভর করে আছে। কারন খুজতে গিয়ে জানা গেল বহুকাল ধরেই আসনটি বিএনপির ঘাটি হিসাবে পরিচিত। গত দশ বছর ধরে তা চলে গেছে আওয়ামী লীগের কর্তৃত্বে। এরআগে এ আসনটিতে বিএনপি যাকে মনোনয়ন দিয়েছে সেই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে। এলাকার বাইরে থেকে এসেও বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করেছে। এমনকি এলাকার একজন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা বার বার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়ে শেষ পর্যন্ত দল বদল করে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করে এমপি হন। বর্তমান এমপি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শহর থেকে এ আসনে নির্বাচন করে এমপি হয়েছেন। নিজেকে এলাকার মানুষ হিসাবে পরিচিত করার জন্য আড়ানীতে জমি কিনে বাড়ি করেছেন।
এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। অন্যদিকে প্রার্থী হয়েছেন শলুয়ার বাসিন্দা বিএনপির নেতা আবু সাঈদ চাঁদ। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। এবারো নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দি¦ হবেন আবু সাঈদ চাঁদ। কিন্তুনানা মামলায় তাকে আটকে রাখা হচ্ছে কারাগারে। উচ্চ আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না চাঁদ। গত ১ সেপ্টেম্বর তার নিজ বাড়ি শলুয়া থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে কারাবন্দী। কারাগার থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়। আপিলে তা ফিরে পান। প্রত্যাশা ছিল জামিনে মুক্তি পেয়ে নির্বাচনী মাঠে ফিরবেন। রোববার ফের একটি গায়েবি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব মামলায় জামিন পেয়েছেন্ ফলে মুক্ত হয়ে নির্বাচনের মাঠে আসবেন এটা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু এখন বিষয়টা বেশ অনিশ্চিত হয়ে রইল। রাজশাহীর বাগমারা থানার একটা মামলায় তাকে আসামী হিসাবে দেখানো হয়েছে।
চারঘাট উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জালাল উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বাগমারার একটা গায়েবি মামলায় হঠাৎ করে চাঁদ ভাইকে গ্রেফতার দেখানোটা ষড়যন্ত্র। তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে ক্ষমতার দাপটে বার বার তাকে শ্যোন এ্যারেস্ট দেখানো হচ্ছে। এলাকার বেশ কজনের সাথে আলাপকালে তার জনপ্রিয়তার বিষয়টা বোঝা গেল।
এলাকার সাধারণ মানুষও চাঁদের এমন আটককে ভাল চোখে দেখছেন না। এতে করে তার প্রতি সহানুভূতি আরো বাড়ছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকারী দলের প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বার বার তার কারামুক্তিতে বাধা দিচ্ছে। অবশ্য আওয়ামী লীগের লোকজন এমন অভিযোগ মানতে রাজী নন। তাদের ভাষ্য হলো তাকে নাশকতা মামলায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের ভাষায় দিন বদলেছে। উন্নয়ন হয়েছে। এটি এখন বিএনপির নয় আওয়ামী লীগের দূর্গ। তবে সাধারণ মানুষের সাথে আলাপকালে তারা ভোট দেবার সুযোগ পেলে বেশীরভাগ সহানুভূতির ভোট হিসাবে চাঁদকে বেছে নেবেন এমনটি জানান।
এদিকে সর্বত্র এখনো একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে দেখা যায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবেতো। কারো কারো আশঙ্কা নির্বাচন নিয়ে হানাহানির বিষয়টা নিয়ে। আবার কারো সংশয় শেষ পর্যন্ত ভোট হবে কিনা এনিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।