পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোটের অধিকার আদায়ে জনগণ জেগে উঠেছে উল্লেখ করে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, সরকার সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। চট্টগ্রামে ধানের শীষের প্রার্থীদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে, জনগণের বিজয় হবে।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অলি আহমদ বলেন, সরকার দেশকে ধ্বংস ও রক্তপাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করছে। পুলিশ দিয়ে জনগণ এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আমাদের শত্রু নন। সরকারের বন্ধুও নন। আপনারা জনগণের বন্ধু। জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন শক্তি টিকতে পারেনি, এ সরকারও টিকবে না।
জাতি গভীর সঙ্কটে উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, ১৯৭১ সালের পর এমন সঙ্কট আর আসেনি। বর্তমান সময়কে জার্মানির হিটলারের শাসনের সাথে তুলনা করে তিনি বলেন, সরকার নিজেই জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, দেশকে রক্তপাতের দিকে ঠেলে দেবেন না। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে সম্মানজনকভাবে বিদায় দিন। আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। দেশের প্রতি আপনার দায়িত্ব আছে। সে দায়িত্ব পালন করুন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা রক্তপাত চাই না। শান্তি চাই, জনগণের ভোটের অধিকার চাই।
বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন, তা না হলে জনরোষ থেকে কেউ রক্ষা পাবেন না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছি। কারও গান শুনে যুদ্ধে যাইনি। তিনি নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভ‚মিকা পালনের আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার এক দফাও মানা হয়নি। তারপরেও আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি আন্দোলনের অংশ হিসেবে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। জনগণের ক্ষমতা, জনগণের হাতেই তুলে দেব। ৩০ ডিসেম্বর জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, আমরা আগামীকাল (আজ) থেকে নির্বাচনী প্রচারে নামব। আপনারা ধরপাকড় বন্ধ করুন। জনগণের বিপক্ষে যাবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আর এজন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে চাই। এখন থেকে জনগণ পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের পক্ষেই ভ‚মিকা রাখুন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন থেকে পিছু হটার প্রশ্নই আসে না। জনগণ তাদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করবে, ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনের প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, জনগণ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাস্তায় নেমে আসছে। এ অবস্থায় ঘরে বসে থাকার কোন সুযোগ নেই। তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা সামনের কাতারে আছি সব ধরনের বাধা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে এগিয়ে আসুন।
সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের সরওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের এনামুল হক এনাম, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে নুরুল আলম, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের কর্নেল (অব.) আজিমুল্লাহ বাহার, চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনের নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনের প্রার্থী কারাবন্দী নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্বাচন পরিচালনার প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট বদরুল আনোয়ারসহ বিএনপি ও জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ডা. শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ কারাবন্দী নেতাদের মুক্তি দাবি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।