পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহুল প্রতীক্ষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে সিলেট বিভাগের সবকটি উপজেলাতে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া হিসেব অনুযায়ী সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে নৌকা ও ধানের শীষের প্রতীকসহ অন্যান্য প্রতীকে মোট ১১৪ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে সিলেট জেলার ৬টি আসনে মোট ৪০ জন প্রার্থী শেষ অবধি ভোটের মাঠে রয়েছেন। এই ৪০ প্রার্থীকে ইতোমধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০ জন প্রার্থী সিলেট-১ আসনে। আর সবচেয়ে কমসংখ্যক মাত্র ৪ জন প্রার্থী সিলেট-৬ আসনে।
প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে রোববার সারাদেশের মতো সিলেটের ১৯ টি নির্বাচন আসনে অনেক বৈধ প্রার্থী নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরপর যারা টিকে ছিলেন সোমবার তাদেরকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে সিলেট বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ভোটের মূল লড়াই। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই সিলেটে প্রার্থীরা শুরু করেছেন প্রচারণা। সিলেট-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সোমবার দুপুরে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন। এরপর তিনি দরগাগ গেইট থেকে বন্দরবাজার এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান। অন্যদিকে নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়স্থ হাফিজ কমপ্লেক্স নামীয় নিজের বাসভবনেই নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের। দুপুরে কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট জেলার ৬টি আসনে নির্বাচনী লড়াইয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৬৬ প্রার্থী। তাদের মধ্যে বাছাইয়ে ১৫ জন বাদ পড়েন। পরে আপিলের মাধ্যমে প্রার্থীতা ফিরে পান ৬ জন। রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারশেষে প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। তাদের মধ্যে সিলেট-১ আসনে ১০ জন, সিলেট-২ আসনে ৭, সিলেট-৩ আসনে ৬, সিলেট-৪ আসনে ৫, সিলেট-৫ আসনে ৮ এবং সিলেট-৬ আসনে ৪ জন।
সিলেট জেলা নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী সিলেট-১ আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বরা হলেন- আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ড. আবুল কালাম আব্দুল মোমেন (নৌকা), বিএনপির খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির (ধানের শীষ), মাহবুবুর রহমান চৌধুরী (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রেদওয়ানুল হক চৌধুরী (হাতপাখা), ইসলামী ঐক্যজোটের (আইওজে) মুহম্মদ ফয়জুল হক (মিনার), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইউসুফ আলী (আম), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির উজ্জ্বল রায় (কোদাল), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর প্রণব জ্যোতি পাল (মই), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. আনোয়ার উদ্দিন বুরহানাবাদী (হারিকেন), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা নাসির উদ্দিন (বটগাছ)।
সিলেট-২ আসনে মহাজোটের ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী (লাঙ্গল), বিএনপির তাহসিনা রুশদীর লুনা (ধানের শীষ), খেলাফত মজলিসের মুহাম্মদ মুনতাছির আলী (দেয়াল ঘড়ি), গণফোরামের মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমির উদ্দিন (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনোয়ার হোসাইন (আম), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ এর মো. মোশাহিদ খান (টেলিভিশন)।
সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির শফি আহমদ চৌধুরী (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এম এ মতিন বাদশা (হাতপাখা), মো. উছমান আলী (লাঙ্গল), খেলাফত মজলিসের মো. দিলওয়ার হোসাইন (দেয়াল ঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের হাফিজ মাওলানা আতিকুর রহমান (রিকশা)।
সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদ (নৌকা), বিএনপির দিলদার হোসেন সেলিম (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির আহমেদ তাজ উদ্দিন তাহ রহমান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মনোজ কুমার সেন (কোদাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জিল্লুর রহমান (হাতপাখা)।
সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমদ মজুমদার (নৌকা), ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উবায়দুল্লাহ ফারুক (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নুরুল আমিন (হাতপাখা), গণফোরামের বাহার উদ্দিন আল রাজী (উদীয়মান সূর্য), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. শহিদ আহমদ চৌধুরী (হারিকেন), ইসলামী ঐক্যজোটের এমএ মতিন চৌধুরী (মিনার) এবং ফয়জুল মুনীর চৌধুরী (স্বতন্ত্র)।
সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা), বিএনপির ফয়সল আহমদ চৌধুরী (ধানের শীষ), বিকল্পধারা বাংলাদেশের সমশের মবিন চৌধুরী (কুলা) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আজমল হোসেন (হাতপাখা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।