Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিনভর হট্টগোল

বৈধ-অবৈধ সবাই ইসিতে সার্টিফায়েড কপি মিলছে না

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী শেখ মো: আবদুল্লাহ। দলীয় কার্যালয়ে জমা দিতে গতকাল রোববার আপিল আদেশের সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহ করতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লোক পাঠান। কিন্তু কপি তো দূরের কথা কবে নাগাদ পাওয়া যাবে সেটিও সঠিকভাবে জানাতে পারেননি ইসির কর্মকর্তারা। আবদুল্লাহর প্রতিনিধি মো: আবু নেছার বলেন, দল থেকে রায়ের কপি চাচ্ছে। কিন্তু কপি তো দিচ্ছে না। তাই আবার আসতে হলো।
সিলেট-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইসমাইল আলী আসিফের আপিল নামঞ্জুর হয় শনিবার। উচ্চ আদালতে আপিলের জন্য গতকাল সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন করেন ইসিতে। কিন্তু বিকেল হতে চললেও তা হাতে পাননি তিনি। আসিফ বলেন, আমি দলীয় প্রত্যয়নপত্র ভুল করে জমা দিইনি। কিন্তু পরে জমা দিলাম। তারা আর নিলো না। আমার আবেদন নামঞ্জুর করেছে। এখন রায়ের কপিও পাচ্ছি না। যে কারণে হাইকোর্টেও যেতে পারছি না। ওখানে তো রায়ের কপি ছাড়া কাজ হবে না। কমিশন এমন করলে আমরা ন্যায়বিচার পাব না।
একই অবস্থা নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে আগ্রহী মো: মোশারফ হোসেনের। তার আপিল আবেদন ইসি বাতিল করে দিয়েছে শুক্রবার। সেই সিদ্ধান্তের সার্টিফায়েড কপির জন্য শনিবার রাত ২টা পর্যন্ত নির্বাচন ভবনে অপেক্ষা করেন মোশারফের চাচাতো ভাই রফিকুল হায়দার। না পেয়ে গতকাল রোববারও ইসিতে আসেন তিনি। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও সেই কপি না পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। রফিকুল হায়দার বলেন, রায়ের কপি না পেলে আমরা হাই কোর্টে যাব কী করে? আমি ৭ তারিখ আবেদন করেছি, অথচ এখনও কপি পাইনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করে বৈধতা ফিরে পাওয়া এবং না পাওয়া প্রার্থীদের সবারই অভিযোগ অভিন্ন। নির্বাচন কমিশনে আপিল নিষ্পত্তির সত্যায়িত কপি না পেয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল হট্টগোল করেন অর্ধশতাধিক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা। যাদের আপিল নির্বাচন কমিশনে নামঞ্জুর হয়েছে, হাই কোর্টে যেতে চাইলে তাদের ইসির সিদ্ধান্তের সার্টিফায়েড কপি জমা দিতে হবে। কিন্তু রোববার দুপুর পর্যন্ত সেই কপি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেকে।
মনোনয়ন ফিরে না পাওয়া এই প্রার্থীরা দুপুরে নির্বাচন কমিশনে জড়ো হয়ে দ্রুত কপি দেয়ার জন্য ইসি কর্মকর্তাদের অনুরোধ করতে থাকেন। কিন্তু কমিশন তা দিতে না পারায় শুরু হয় বাগি¦তন্ডা।
গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া ৫৪৩টি আপিল আবেদনের ওপর বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার শুনানি হয়। তিন দিনের শুনানিতে ২৪৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যারা তা পাননি, তারা ভোটে থাকার চেষ্টায় উচ্চ আদালতে ধরনা দিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার যাদের আপিল নাকচ হয়েছে, তাদের মধ্যে মাত্র একজনকে রোববার দুপুর পর্যন্ত সত্যায়িত কপি দিতে পেরেছেন তারা। তবে যাদের আপিল মঞ্জুর হয়েছে, তাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ