পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়ার প্রার্থীতা বাতিলের ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিটের শুনানি আজ (সোমবার)। গতকাল রোববার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানির জন্য এই দিন নির্ধারণের আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানির জন্য উপস্থিত ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী; সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ব্যারিস্টার মীর হেলাল ও ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান। খালেদা জিয়ার রিট আবেদনের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন তার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে আদালত রিট আবেদনের শুনানির জন্য সোমবার দিন নির্ধারণ করে দেন।
এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান। রোববার দুপুর ২টার দিকে নির্বাচন কমিশন থেকে আদেশের কপি নিয়ে আসেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান।
মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিষয়ে করা আবেদনের বিষয়ে ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান বলেন, নির্বাচনবিধি (১২)-১ এর ‘ঘ’ অনুসারে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সেখানে যেসব সেকশন রয়েছে সেসব কানেক্টেড নির্বাচনী আচরণ-সংক্রান্ত। তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে কেউ যদি কোনো অপরাধ করে যেমন- মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়, নির্বাচনী প্রসেস শুরুর সময়, কাউকে মারধরের ফলে, কাউকে গুলি করে আহত করা, ভোট কেন্দ্রে অরাজক অবস্থা তৈরি করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা- এসব ক্ষেত্রে নির্বাচন-সংক্রান্ত বিধিতে মনোনয়নপত্র বাতিল করা যায়। এখনও সে অবস্থাই তৈরি হয়নি। সবশেষ কথা হলো, খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। তার দ্বারা এসব কোনো অপরাধে জড়িত হওয়ার সুযোগ নেই।
গত ৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত দেন। শুনানিতে প্রার্থিতা বহালের পক্ষে মত দেন মাহবুব তালুকদার। এর বিপক্ষে মত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৪ জন। পরে প্রার্থিতা বাতিল করা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে রিট দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নগুলো বাতিল করে দেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।