পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মনির খান বলেছেন, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়াটা আমার জীবনের একটা ভুল ছিল। এটা আমার জীবনের বড় দুর্ঘটনা। তাই আমি আজ থেকে রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার সঙ্গীত চর্চা শুরু করবো। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এভাবে বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
মনির খান বলেন, আমি জনগণের দাবিতে আমার ভক্তদের দাবিতে রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার সংগীতচর্চা শুরু করবো। আমি বাংলাদেশের একজন জাতীয় সংগীতশিল্পী। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) মহাসচিব হিসেবে দলে যোগদান করি। পরবর্তীতে আমার সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাকে জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সহ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। সংগীত কর্মকান্ডের পাশাপাশি আমি দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করায় বেগম খালেদা জিয়া আমাকে আমার নির্বাচনি এলাকায় কাজ করার নির্দেশ দেন। আমি সবসময় এলাকার সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের পাশে থেকে আমার নির্বাচনি এলাকার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছি।
আজ বিভিন্ন অজুহাতে আমার এলাকার জনগণকে এবং আমাকে জাতীয় নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এ অবস্থায় আমার নির্বাচনি এলাকার জনগণের প্রাণের দাবির সঙ্গে একাকার হয়ে আমি বিএনপির সব ধরনের সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।
তিনি বলেন, আমি জনগণের দাবিতে, আমার ভক্তদের দাবিতে রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার সংগীতচর্চা শুরু করবো। মাঝখানে যে কয়টা দিন, যে কয়টা বছর রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছি, এটি আমার জীবনের এক্সিডেন্ট ছিল। আমার ভুল ছিল। এই ভুলের জন্য আমি বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
তিনি বলেন, আমি অতীতের মতো আগামীতেও সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার এলাকার জনগণ ও দেশবাসীর পাশে থাকবো। আমি আজ থেকে কোনও দলের অন্তর্ভুক্ত নয়, একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে আগের মতো সংগীত কর্মকান্ড চালিয়ে যাবো। আমি সকলের দোয়া চাই। আমি গানের মানুষ, প্রাণ খুলে গান গাইতে চাই।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি আর কখনোই দলে ফিরবো না। আমি আমার নিজ জীবন এবং সংগীতচর্চা নিয়ে থাকবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।