Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে ধানের শীষ নিয়ে মাঠে বিএনপি জোট

একটি আসনে প্রতীক ছাতা

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মাঠে নামছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি জোটের প্রার্থীরা। চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলার ১৯টি আসনের ১৮টিতেই প্রার্থীরা বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে লড়বেন। এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম লড়ছেন তার দলীয় প্রতীক ছাতা মার্কা নিয়ে। প্রার্থীর ছবি ও মার্কা নিয়ে পোস্টার, লিফলেট প্রস্তুত। আজ সোমবার প্রতীক পেয়েই মাঠে নেমে পড়বেন সবাই। শুরু হবে আনুষ্ঠানিক ভোটের প্রচার।
সরকারি দল তথা মহাজোটের প্রার্থীরা আগেভাগেই প্রচারে নেমে পড়েন। তাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয় আগেই। তবে তারাও আজ মার্কা পেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করবেন। চট্টগ্রামের ১৯ আসনে ১৮ জন লড়বেন আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ লাঙ্গল প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। বিএনপি জোটের মনোনয়ন নিয়ে কোন কলহ বিরোধ না থাকলেও নানা সমীকরণ মেলাতে গিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থীতা প্রকাশে কিছুটা দেরি হয়। তবে সব আসনে একাধিক বিকল্প প্রার্থী থাকায় নির্বাচনী এলাকায় অনানুষ্ঠানিক ভোটের প্রচার অব্যাহত থাকে।
মার্কা পাওয়ার পর প্রচারণায় যোগ হবে নতুন মাত্রা। বিএনপি জোটের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, ভোটের প্রচারে তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করবেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৯টি আসনের প্রায় সবকটিতে বিএনপির শক্ত অবস্থান রয়েছে। টানা ১২ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকলেও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দলের হাল ধরে রাখেন। চট্টগ্রাম অঞ্চল জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির ঘাঁটি। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতার বাইরে থাকলেও বিএনপি তথা ধানের শীষের প্রতি এ অঞ্চলের গণমানুষের সমর্থন হেরফের হয়নি। বরং নজিরবিহীন জুলুম নির্যাতনের শিকার বিএনপি জোটের উপর মানুষের আস্থা আগের চেয়ে অনেক সুদৃঢ় হয়েছে বলে মনে করেন জোটের নেতারা।
নির্বাচনে নেতাকর্মী ছাড়াও সমর্থকরা মাঠে নামবেন। প্রচারে নামবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমমনা পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। চট্টগ্রামের রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ার কিছু এলাকায় বিএনপির প্রকাশ্য তৎপরতা ছিল না। সরকারি দলের বাধার মুখে এসব এলাকায় কর্মসূচি পালন করা যায়নি। বিশেষ করে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বিএনপির প্রকাশ্য তৎপরতা কার্যত বন্ধ ছিল। তবে নির্বাচনী প্রচারে এসব এলাকায় ভোটের প্রচার শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। এখনো অনেক এলাকায় নেতাকর্মীদের ধরপাকড় চলছে। গতকালও নগরীতে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের থানা পর্যায়ের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিএনপি নেতারা বলছেন, গ্রেফতার হুলিয়া উপেক্ষা করেই তারা ভোটের মাঠে সরব হবেন। কারণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন বিকল্প দেখছেন না তারা। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবে বিএনপি। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে সে পরিবেশ নিশ্চিতে সহযোগিতাও করতে চায় বিএনপি জোট। প্রচারে সব দল সমান সুযোগ পাবে এমন প্রত্যাশা করেন বিএনপি জোটের প্রার্থীরা। এ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রচারে সবপ্রার্থী সমান সুযোগ পাবেন। প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেয়া যাবে না। সব প্রার্থীকেই আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করে প্রচার চালাতে হবে। এ বিষয়টি মনিটর করতে ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের প্রচার কাজে বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী দিয়েছেন বিএনপির শরিকেরা। এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে ঐক্যফ্রন্টের একক প্রার্থী। অপর শরিক জোট বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতীক চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে। এছাড়া এলডিপির নুরুল আলমকে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে ঐক্যফ্রন্টের একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এলডিপির অন্য প্রার্থীর মতো তিনিও ধানের শীষে নির্বাচন করবেন।
তবে দলের প্রতীক ছাতা টিকিয়ে রাখতে দলটির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ ছাতা মার্কায় নির্বাচনে শরিক হচ্ছেন। জামায়াত ও কল্যাণ পার্টির প্রার্থী ধানের শীষেই নির্বাচন করবেন। মহাজোটের শরিকদের চট্টগ্রামের তিনটি আসন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে জাসদ একাংশের মঈনউদ্দিন খান বাদল চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে এবং তরিকতের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নৌকা মার্কায় নির্বাচন করছেন। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে লাঙ্গলে ভোট করছেন জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ ছালাউদ্দীন ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২০ এএম says : 0
    তারেক জিয়া,র সালাম নিন ধানের শীষে ভোট দিন
    Total Reply(0) Reply
  • Arfan Ctg ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৪ এএম says : 0
    রাজপথের রাজা তৃনমূল বিএনপির প্রাণ জনাব আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান।
    Total Reply(0) Reply
  • Sarfaraz Ahmed ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৭ এএম says : 0
    Inshaallah, BNP will win here with vast majority,
    Total Reply(0) Reply
  • Ameen ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৩০ এএম says : 0
    বিএনপি জোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে আশা করি এখানকার সবগুলি সিট দখলে নিতে পারবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Yasin Arafat ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:৪৩ এএম says : 0
    হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায় জনগণ। ব্যাংক লুট কারীদের বিরুদ্ধে ভোট দিবে দেশের জনগণ। ভোটকেন্দ্রের উপস্থিতি, বদলে দেবে পরিস্থিতি।
    Total Reply(0) Reply
  • Engr Amirul Islam ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:২৪ এএম says : 0
    insha'Allah BNP will win as people will dump Indian league
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ