পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবারও আওয়ামী লীগ জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে চারিদিকে মৃত্যুর মর্মরিত পদশব্দই শোনা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ বিএনপি এবং বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ সমর্থকদেরকে নিজ গৃহ থেকে উচ্ছেদ হয়ে দেশ ছাড়তে হবে, কমপক্ষে কয়েক লক্ষ লোকের জীবন বিপন্ন হবে। বাড়িতে বাড়িতে কান্নার রোল উঠবে। সরকারী দলের জয়গান করা ছাড়া গণমাধ্যমের আর কোন কাজ থাকবে না। মানুষ হাসতেও পারবে না, কাঁদতেও পারবে না। ভিন্নমত ও বিশ্বাস চিরদিনের জন্য গোরস্থানে নির্বাসিত হবে। গত দশ বছরে যে ভয়াবহ আওয়ামী দু:শাসন চলছে, আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে যে দুঃশাসন চালানো হবে সেটি কেমন ভয়াবহ হবে তার নাম দেয়া এমূহুর্তে সম্ভব নয়। আরও কত ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম’রা গুম হবে, কত মায়ের কোল শুন্য হবে, কত সন্তান তাদের পিতাকে হারাবে, কত স্ত্রী বিধবা হবে, তার হিসেব রাখাও অসাধ্য হয়ে পড়বে। কর্মসংস্থানের অভাবে আরও কত কোটি কর্মক্ষম যুবক বেকার হবে তার পরিসংখ্যান করা হবে দুঃসাধ্য। সমাজে চরম সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান নৈরাজ্য আরও তীব্র রুপ লাভ করে সমাজকে গাঢ় অন্ধকারে ঢেকে ফেলবে। রোববার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সারাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা চলছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনহা যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশে এখন গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও নির্যাতনে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। গত দশ বছরে কেবলমাত্র বিএনপি’রই ২০ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। দেশে এখন প্রতিদিনই ২/৩ জন মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে।
রিজভী বলেন, এই চরম ক্রান্তিকালে আমরা এক অকল্পনীয় আওয়ামী জুলুমের জাহিলিয়াতের পরিস্থিতিতে নির্বাচন করছি। আমাদের সাথে আজ ঐক্য গড়েছেন দেশের সকল দেশপ্রেমিক শক্তি। জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্র ও গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারের অবিসংবাদিত নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাঁর ওপর যে জুলুম চালানো হচ্ছে তা বন্ধ করা ও তাঁকে সসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনা। দেশকে নব্য হানাদারদের হাত থেকে মুক্ত করা। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। এই নির্বাচন হলো আমাদের আন্দোলন। ভোটের আন্দোলন। আমাদের দায়িত্ব হলো-বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি তথা দেশকে মুক্ত করার এই আন্দোলনের ভোটে কোন ধরণের অভিমান রাখা যাবে না। বেগম জিয়ার মুক্তি ও দেশের স্বার্থে সবাইকে নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং পুলিশ সুপার নুরে আলম সরাসরি নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য একটি সভায় আহবান জানিয়েছেন। প্রিজাইডিং অফিসারদের চাপ দেয়া হচ্ছে যেই ভোট পাক, কিন্তু নৌকার মার্কার ঘোষনা দিতে হবে। তারা আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ এর ফলাফল পরিবর্তন করতে প্রশাসনের নিকট উপর মহলের নির্দেশ রয়েছে বলে অলিখিতভাবে ও অপ্রকাশ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করছেন।
পুলিশের সহযোগিতায় ভোটের রাতে সিল মারা হবে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে রিজভী বলেন, ভোটের আগের রাতে সরকারী কাজের কথা বলে লোকাল থানা থেকে ওসি কিংবা ওসি তদন্ত কিংবা কোন দারোগা পুলিশের পিক-আপ বা রিকুইজিশন করা গাড়ী নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকবে। তারা আসলে গাড়ীতে করে আওয়ামী লীগ ও তার অংগ সংগঠনের ৪/৫ জনকে সাথে নিয়ে ঢুকবে। বাইরে থেকে মনে হবে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চেক করার জন্য ভোটকেন্দ্রে ঢুকছে। এরা আসলে দলেবলে দ্রুততম সময়ে ব্যালট পেপারে সিল মারার কাজ করে বের হয়ে যাবে। রাতের অন্ধকারে মনে হবে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চেকিং এর কাজ শেষ করে চলে যাচ্ছে।
যারা সহজ সরল মন নিয়ে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিবেন বলে ভেবে রেখেছেন তাদের জানা দরকার যে, তাদেরকে বোকা বানিয়ে পুলিশ নিরাপত্তার আড়ালে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে গণতেন্ত্রর সর্বনাশ ঘটাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।