Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে শেখ হাসিনার বিশেষ অনুরোধ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ দলের যারা বিভিন্ন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে ‘বিশেষ অনুরোধ’ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এক চিঠিতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আপনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে আপনার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে মহাজোটকে বিজয়ী করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। আপনার ত্যাগ, শ্রম ও আন্তরিকতা সবকিছুই আমার বিবেচনায় আছে।’
গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠান। বিজ্ঞপ্তিতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষর দেওয়া একটি চিঠি রয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা প্রার্থী হন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তারা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত হন। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের বলেছেন, ‘বিএনপি জামায়াতের হিংস্র থাবা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে বাংলাদেশকে টেকসই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে আমরা সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আবারও বাংলাদেশের জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে। সেই বিজয়ের অংশীদার হবেন আপনিও। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে নৌকা মার্কাকে পরাজিত করার সাংগঠনিক শক্তি আর কারও নেই।’
‘বিদ্রোহী’ ও মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যগণের সুচিন্তিত মতামত, তৃণমূল নেতাদের পরামর্শ এবং আমাদের সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত একাধিক নিবিড় জরিপ কার্যক্রমের সুপারিশের ভিত্তিতে দলীয় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়।’ তিনি বলেন, আমাদের মনোনয়ন প্রদানের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া ও সংসদীয় বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনাকে মনোনয়ন দিতে না পারায় আমি আন্তরিভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ও কল্যাণমুখী রাজনৈতিক দলে পরিণত করার কাজে আপনার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশা করি, আগামী নির্বাচনে আপনার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে আপনার সকল সাংগঠনিক দক্ষতা, শক্তি ও সামর্থ্য আওয়ামী লীগের বিজয়কে সুনিশ্চিত করবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের গত এক দশকের অর্জিত উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সংগঠনের একজন আদর্শবান, ত্যাগী ও বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ও সার্বিক কর্মকান্ডে আপনার স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্তভাবে প্রত্যাশা করছি।’
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রায় ৮০ জনের মতো বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাইয়ে কয়েকজন বাদ পড়েছেন। এ ছাড়া কেউ কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারও করেছেন। এসব বাদ দিয়ে এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রায় অর্ধশত বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করার জন্য মাঠে আছেন। তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে এই চিঠি দিয়েছেন।#



 

Show all comments
  • Adv Zia Uddin Himu ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৩৫ এএম says : 0
    নমিনেশন প্রার্থীর বিজয়ের একমাত্র সোপান নয়, বিজয় অর্জন করতে জরুরী প্রয়োজন অভ্যন্তরীন বিরোধ নিষ্পত্তি এবং ঐক্য। অনৈক্য যেকোন কৌশলে সমাধান করা দরকার, বিভিন্ন আসনে একাধিক প্রার্থী নমিনেশন না পাওয়ার কারনে মান অভিমান থাকতে পারে যা অতিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে অন্তরায়, সেজন্যে দল থেকে বিশেষ টিম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করলে বেশী সুফল আসবে। উন্নয়ন আর অগ্রগতি চলমান রাখতে নৌকার বিকল্প নেই...... জয় বাংলা।
    Total Reply(0) Reply
  • Selim Sarker ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৩৫ এএম says : 0
    ভালো উদ্যোগ কিন্তু সবাই কে গনভবনে দাওয়াত আনতে পারলে আরো ও ভালো হতো। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হবেই ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • মাসুদ রানা ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৩৬ এএম says : 2
    রাজনীতিতে জামায়াত ১টি রোল মডেল, ১টি ব্র্যান্ড। ঋণ খেলাপি প্রার্থী নেই-দলীয় কোন্দল নেই-বিদ্রোহী প্রার্থী নেই-দলীয় শৃঙ্খলায় ওরা শীর্ষে এবং প্রতিটি প্রার্থী শিক্ষাকতা যোগ্যতার মাপকাঠি অন্য সব দলের প্রার্থী থেকে অনেক অনেক উপরে!! যেমন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মাঝেই রয়েছেন প্রিন্সিপাল, মওলানা, মুহাদ্দিস, মুফতি, মুফাসসির অধ্যাপক, ডাক্তার, ডক্টর, সংবাদিক, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার সব শিক্ষিত পেশাদার মানুষ রয়েছে এই রকম নাজির স্হাপন বাংলাদেশের আর কোন রাজনৈতিক দল দেখাতে পারবে না"" --------"ইনশাআল্লাহ"।। ________নেই শুধুঃ--চোর,ডাকাত,খুনি,বিদেশে টাকা প্রচারকারি, দুর্নীতীবাজ,সন্ত্রাসী,দখলবাজ ধর্ষক এবং নিতি নৈতিকতাহীন স্বৈরচার ও আদর্শহীন মানুষ,!!
    Total Reply(0) Reply
  • আজিজুল বিন মুজিবুর রহমান ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৩৬ এএম says : 0
    ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ .
    Total Reply(0) Reply
  • Mohiuddin Kasemi ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৩৭ এএম says : 1
    আওয়ামীলীগ এমনিতেই জয়ী। তাদের প্রতিপক্ষ কেউ নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Unsmart Ovi ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৩৭ এএম says : 0
    শুকরিয়া। আসলে মমতাময়ী নেত্রী কাউকে অবহেলিত করেন না
    Total Reply(0) Reply
  • Ashab Chowdhury ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৩৮ এএম says : 0
    আমরা ছিলাম আমরা আছি আমরা থাকবো ইনসাআল্লাহ্
    Total Reply(0) Reply
  • RaihanulHuq Ronju ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৩৯ এএম says : 0
    শুধু বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিলেই হবে না,যারা দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিল তারা এই নির্বাচনে কি করে সে দিকে নজর রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিতে হবে,দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভাল।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazmul Zeyem ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৩৯ এএম says : 0
    শুধু বিদ্রোহী প্রার্থীকে নয়, যারা অন্য কোন দলের প্রার্থীর পক্ষে গোপনে বা প্রকাশ্যে কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু বহিষ্কার নয়, ঠ্যাং ভেঙে খোরা ধরিয়ে দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ