পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টিতে নাটক জমে উঠেছে। নির্বাচন এলেই দলটিতে এমন নাটকের আবির্ভাব ঘটে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও এমন নাটক হয়েছে। দলের মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার এক সাপ্তাহের মধ্যেই রুহুল আমিন হাওলাদারকে জাতীয় পার্টির ‘চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারি’ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গতকাল দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারি নিয়োগ করা হলো। তিনি পার্টি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের সার্বিক সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর পদমর্যাদা হবে- পার্টি চেয়ারম্যানের পরে দ্বিতীয় স্থানে। এ বিজ্ঞপ্তির পর পদাধিকার বলে সিনিয়র কো চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ ও কো চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপরে উঠলেন রুহুল আমিন হাওলাদার। এর আগে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগে রুহুল আমিন হাওলাদারকে দলের মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। নতুন মহাসচিব নিয়োগ দেয়া হয় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে।
গত বৃহস্পতিবার এরশাদ মোবাইলে দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাকে চিকিৎসা নিতে দেয়া হচ্ছে না, চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না’। এরশাদের এ বক্তব্য মিথ্যা অবিহিত করেন নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। শুক্রবার বনানীর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা বলেন, স্যারের (এরশাদ) চিকিৎসায় বাধা-এর কোনো কথাই কিন্তু সত্যি নয়। উনি সত্য কথা বলেননি। আমি ওনার পাশেই ছিলাম। সঙ্গেই ছিলাম, চিকিৎসা চলছে। নির্বাচন চলে আসছে। আমি বলেছি নির্বাচনের দু-একটা দিন থেকে আপনি বিদেশ চলে যান। স্যার চিকিৎসা নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। এ বক্তব্য দেয়ার একদিন পর রুহুল আমিন হাওলাদারকে আবার মহাসচিবের চেয়ে অধিক ক্ষমতা দেয়া হলো। এখন থেকে এরশাদ যতদিন পর্দার আড়ালে থাকবেন ততদিন রুহুল আমিন হাওলাদার হবেন জাতীয় পার্টির প্রধান হর্তাকর্তা। এরশাদের এ সিদ্ধান্তে দলের বেশির ভাগ নেতাই খুশি। তাদের বক্তব্য হাঙ্গরের মুখে থাকার চেয়ে বোয়ালের মুখে থাকাই ভাল। উল্লেখ্য, জাপার গঠনতন্ত্রে ‘চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারি’ নামে কোনো পদ নেই। তবে এর আগে ১৯৯৮ সালে গঠণতন্ত্রে না থাকার পরও ওই সময়ের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে ‘সাইজ’ করতে নাজিউর রহমান মঞ্জুকে ‘অতিরিক্ত মহাসচিব’ করেছিলেন। পরবর্তীতে মিজানুর রহমান চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে মঞ্জু নতুন জাতীয় পার্টি গঠন করেন।
নির্বাচন নিয়ে সামনের দিনগুলোতে কি ঘটে সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে দলটির কেন্দ্র থেকে শুরু করে শেকড় পর্যায়ের নেতাকর্মী। কারণ দলের কেউ আনপ্রেডিক্টেবল এরশাদকে বিশ্বাস করেন না। তিনি কখন কি সিদ্ধান্ত নেন কেউ জানেন না। রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের তাদের মাথার ওপর রুহুল আমিন হাওলাদারকে মেনে নেবেন বলে মনে করছেন না দলের নেতাকর্মীরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে কার্যত দেয়া হয়েছে ৩১ আসন। এর মধ্যে রংপুরে ২টি এবং বগুড়ায় ৪টি। বগুড়ার লাঙ্গলের প্রার্থীরা জামানত ধরে রাখতে পারেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দলের নেতাকর্মীদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।