Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনায় ভোটের মাঠে নতুন সমীকরণ

আবু হেনা মুক্তি | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একক প্রার্থী চূড়ান্ত করায় ভোটের মাঠে নতুন সমীকরণ হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ৪টি আসনে বিএনপির প্রার্থী, বাকি দুটি আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর খুলনার তিনটি আসনে একক ও বাকি তিনটি আসনে একাধিক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
খুলনা-১ আসনে জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, খুলনা-২ আসনে নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ আসনে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলালের নাম ঘোষণা করা হয়। বাকি দুটি আসনে জোটের শরীক দল জামায়াতের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মিয়া গোলাম পরোয়ার, খুলনা-৬ আসনে নগর জামায়াতের আমীর আবুল কালাম আজাদকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।
দলীয় সূত্র আরও জানায়, খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান। তিনি এর আগে দু’টি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েও জয়লাভ করতে পারেননি। প্রথমবার ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডলের নিকট পরাজিত হন। এ নিয়ে তিনি তিনবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়তে যাচ্ছেন। হিন্দু অধ্যুষিত আওয়ামী লীগের এই ভোট ব্যাংকে এবার বিএনপি নানা কারণে শক্ত। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডল। তিনি এখনও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মকান্ডে শরীক হয়নি। তার অনুসারীরাও নৌকার প্রার্থীর কর্মকান্ড থেকে বিরত রয়েছেন। মহাজোটের আরেক নেতা জাপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় প্রথমে মহাজোটের টিকিট পেলেও শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি। তিনি বা তার অনুসারীরা মুখে কুলুপ এটেছেন। গত ১০ বছরে এ এলাকায় মুসলিম ভোট বেড়েছে অর্ধালক্ষাধিক। তাই নানা কারণে আওয়ামী লীগের কনফার্ম সিট বলে খ্যাত খুলনা-১ আসনে এবার হতে পারে নতুন সমীকরণ।
খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি শহরে ব্যাপক জনপ্রিয়। মঞ্জু ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজানকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বয়কট করায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। এ আসনে নতুন মুখ বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল শক্ত প্রার্থী।
খুলনা- ৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল। তিনি এর আগে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। মনোনয়ন পাওয়ার পর এলাকায় তার উপস্থিতি ও তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ আসনে তার প্রতিদ›িদ্ব সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আজিজুল বারী হেলাল ঢাকায় প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলেও বিজয়ী হতে পারেননি। এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিলো কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শরীফ শাহ কামাল তাজকে। এবার তাজ চ‚ড়ান্ত মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন। হেলাল এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়। এ আসনে তার প্রতিদ্ব›দ্বী করবেন নতুন মুখ সাবেক ফুটবলার ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালাম মুর্শেদী।
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পেয়েছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার। এর আগে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তৎকালীন খুলনা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের কাছে।
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নগর শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। এর আগে তিনি কখনো সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। এ আসনে আওয়ামীলীগের নতুন মুখ সাবেক ছাত্র নেতা আক্তারুজ্জামান বাবু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ