প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : যোগাযোগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করবেন না। সংশোধনের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করা যায়। তবে, আত্মীয়তার বন্ধন অস্বীকার বা ছিন্ন করা মহাপাপ। আপনি ও আপনার আম্মা সর্বোচ্চ ধৈর্য্যরে পরিচয় দিন। যদি কেউ নিজে থেকে সম্পর্ক রাখতে না চায়, তাহলে চেষ্টা করুন যেন সম্পর্কটি থাকে। নিজ থেকে এ কাজটি আপনারা করবেন না। হতভাগা সে, যে এ সম্পর্ক ছিন্ন করে। ছেলে ও মায়ের সমস্যা তাদের নিজেদের সমাধান করতে দিন। এর মধ্যে পুত্রবধূ বা মেয়েদের না আসাই ভালো। কবর জিয়ারত না করা বা মৃত্যুর খবর না দেয়ার কথা মা বলতে পারেন। তবে, এমন ওসিয়ত রক্ষা করা জরুরি নয়। অন্যরা সংবাদ দেবে এবং ছেলে লাশও দেখবে, জানাজাও পড়বে, জিয়ারতও করবে। তবে ছেলের উচিত, যে কোনোভাবে জীবিত অবস্থায়ই মাকে খুশি করা। কেননা, মায়ের অসন্তুষ্টি সন্তানের জন্য দুনিয়া-আখিরাত দু’টোই বরবাদ হওয়ার কারণ হয়ে থাকে।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।