পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল শুনানি দ্বিতীয় দিনে বাধা কাটল বিএনপি প্রার্থী এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, গণফোরামের প্রার্থী রেজা কিবরিয়া, জাতীয় পার্টির সোহেল রানাসহ (মাসুদ পারভেজ) আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৭৮ জন। ফলে নির্বাচন করতে এসব প্রার্থীর আর কোনো বাধা নেই।
আর আপিলে বাদ পড়লেন গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, বিএনপি নেতা ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদারসহ ৬৫ জন। এরা এখন উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানির পর দুই দিনে ১৫৮ জন প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন। বাতিল বা খারিজ হয়েছে ১৪১ জন প্রার্থীর আপিল। দুই দিনে ৩১০টি আপিল শুনানি করে ইসি। বাকিগুলো প্যান্ডিং রয়েছে। দ্বিতীয দিন আপিল শুনানির পর গতকাল শুক্রবার ৭৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ৬৫টি আপিল খারিজ হয়ে যায়। আর সাতটি পেন্ডিং রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের অস্থায়ী এজলাসে এ শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে শুনানি হয়। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ৫৪৩ প্রার্থী। প্রথম দিনে ৮৪, দ্বিতীয় দিনে ২৩৭ ও তৃতীয় দিনে ২২২টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা পড়ে। তবে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেননি ২৪৩ প্রার্থী। বৃহস্পতিবার ১-১৬০ পর্যন্ত আপিলের নিষ্পত্তি করা হয়। এতে ৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। বিএনপির ৩৯ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। চারটি আবেদন পেন্ডিং রাখা হয়। গতকাল ১৬১-৩১০ পর্যন্ত আর শুনানি করে কমিশন। আজ শনিবার ৩১১-৫৪৩ পর্যন্ত বাতিল হওয়া মনোনয়ন প্রার্থীর আপিলের নিষ্পত্তি করা হবে। দ্বিতীয় দিনে ১৫০ জনের আপিল শুনানি করে এমন রায় দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। এ দিনের শুনানিতে ৭৮ জনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেন নির্বাচন কমিশন। ৬৫ জনের আপিল আবেদন নামঞ্জুর করেন। আর পেন্ডিং রয়েছে সাতটি আবেদন।
আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিন শেষে যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪- মো. মুসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮ হাসান মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ মো. আবু আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. গিয়াস উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আবদুল খালেক, কুমিল্লা-১০ মো. শাহজাহান মজুমদার, চাঁদপুর-৫ খোরশেদ আলম খুশু, বরিশাল-২ এ কে ফাইয়াজুল হক, পটুয়াখালী-১ মো. আবদুর রশিদ, বরিশাল-১ মো. বাদশা মিয়া, বরগুনা-১ মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার, ভোলা-১ গোলাম নবী আলমগীর, বরিশাল-২ মাসুদ পারভেজ, ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুণ, পটুয়াখালী-২ মো. শহিদুল আলম তালুকদার, বরিশাল-২ সৈয়দ রুবিনা আক্তার, ভোলা-৪ নাজিম উদ্দিন আলম, বরিশাল-৪ মাহাবুবুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ মো. মেহেদী হাসান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. ছাইফুল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া)। নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ঢাকা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত ফাহমিদা হুসেইন জুবলীসহ ৭৮ জন।
আজকের শুনানিতে আপিল গৃহীত না হওয়ায় নির্বাচন থেকে বাদ পড়লেন যারা তারা হলেন- চট্টগ্রাম-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী সামির কাদের চৌধুরী, ময়মনসিংহ-৪ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, পটুয়াখালী-২ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এ বি এম রহুল আমিন হাওলাদার, কুড়িগ্রাম-৪ এ স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান এইচ সরকার, কুমিল্লার-১০ আব্দুল গফুর ভূঁইয়া, ফেনী-৩ আবদুল লতিফ জান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. সাহজাহান, কুমিল্লা-২ আব্দুল মজিদ, বরিশাল-৬ ওসমান হোসাইন, পিরোজপুর-৩ ডা. সুধির রঞ্জন বিশ্বাস, ঝালকাঠি-১ মো. মনিরুজ্জামান, পটুয়াখালী-২ মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান খান, ভোলা-৪ এম এ মান্নান হাওলাদার, ঝালুকাঠি-১ মোহাম্মদ শাহজালাল শামীম, পিরোজপুর-১ মনমোহন বিশ্বাস, ঝালুকাঠি-১ ইয়াছমিন আক্তার পপি এবং ভোলা-২ হুমায়ুন কবিরসহ ৬৫ জন।
গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে দুই হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১৪১টি, আ.লীগের তিনটি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩৮৪টি। ৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট দুই হাজার ৫৬৭টি ও স্বতন্ত্র ৪৯৮টি।
তিন দিনের আপিল শুনানি শেষ হবে আজ। আগামী কাল রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর ( সোমবার) প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর ( রোববার)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।