Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসে রেজ্যুলেশন

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:২১ পিএম

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনকে উৎসাহিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে রিপাবলিকান সংসদ সদস্য উইলিয়াম আর কিটিং।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কংগ্রেসে উপস্থাপিত এক রেজ্যুলেশনে কিটিং এই আহ্বান জানান।
রেজ্যুলেশনটি বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে সম্মান জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়ে রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সব ধর্মের লোকদের মধ্যে সম্প্রীতি নিশ্চিত করার নির্বাচন কমিশনের অনুরোধকে যেন সরকার রক্ষা করে।
সব রাজনীতিবিদ এবং জুডিসিয়াল কর্তৃপক্ষ যেন বাংলাদেশের ভোটারদের ইচ্ছাকে সম্মান জানায় এবং সব বাংলাদেশি যেন স্বাধীনভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে তার জন্যেও এ রেজ্যুলেশনে আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছে, মানবাধিকার রক্ষা, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য এবং উগ্র ও ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান ঠেকানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগ রক্ষা করে চলে।



 

Show all comments
  • রিপন ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:৩১ পিএম says : 3
    নির্বাচনে গেলবারের মতো একচেটিয়া বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতাময় ধাপ্পাবাজি চিটিংবাজির বেলা শেষ। বিশ্বব্যবস্থা সেকেলে সেই নির্বাসনের আন্দামানে আর নেই, দিনে দিনে এখন তা অনেক প্রাগ্রসর বিশ্বপল্লীতে উন্নীত হয়ে গেছে। আজকের প্রাগ্রসর আধুনিক বিশ্বপল্লী ব্যবস্থায় পড়শি রাষ্ট্রে, পল্লীর অংশী রাষ্ট্রেও যেন গণতন্ত্র বহাল থাকে, রাষ্ট্রের মালিকানা রাষ্ট্রের মালিক জনগণের হাতেই সর্বতোভাবে যেন ন্যস্ত থাকে, সেসাথে যেন থাকে পর্যাপ্ত স্বাধীনতা, শান্তি, পরমত সহিষ্ণুতা, - তা নিয়ে অধুনা দিকে দিকে বিশ্বপল্লীর সর্বত্রই আওয়াজ উচ্চারিত হচ্ছে, উচ্চকিত হচ্ছে, জোরালো হচ্ছে। ওই আওয়াজ নিপীড়িত এই আমাদের পক্ষেরই আওয়াজ। স্বাগত জানা্ই তাকে। আন্তরিক অভিনন্দন মি. উইলিয়ামকে, অভিনন্দন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সমবেত সকল দেশপ্রেমিক মেধাবী তুখোড় রাজনীতিবিদদেরকে যাঁদের নজড়কাড়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে বিশ্বপল্লীর দূরদূরান্তেও আজ গনমানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার সমর্থনে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। অপরিসীম রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর দূরদর্শিতার সফল স্বাক্ষর ইতোমধ্যেই বেশ ক'বার লক্ষ্যণীয় প্রশংসনীয়ভাবে রেখেছেন তাঁরা। গভীর অভিনিবেশে পুরো জাতি লক্ষ্য করে চলেছে সব। ড. কামাল, মি. ফখরুল, মি. রিজভী, বজ্রনির্ঘোষ দ্ব্যর্থহীন আসম রব, বিচক্ষণ প্রাজ্ঞ তুখোড় রাজনীতিবিদ মান্না, অসমসাহসী বাঘা সিদ্দীকি, জনকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ গণস্বাস্থ্যের মি. জাফরু্ল্লাহ্ - কাকে ফেলে কার কথা বলি। নক্ষত্রের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাবেশ বাংলার রাজনীতির উদার আকাশে আজ, - জাতি যখন সংকুল ক্রান্তিকালে দিকহারা দিশেহারা, সেই মহাসংকটে এই নক্ষত্রেরা জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়ে চলেছে, জাতিকে সাফল্যের সাথে সংকট উত্তরণে সাহায্য করে যাচ্ছে, সকৃতজ্ঞ অশ্রুসজল অভিনন্দন এঁদের সবার প্রতি। বিশেষত ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে সর্বতোভাবে বিসর্জন দিয়ে কেবলমাত্র পুরো জাতির কল্যাণে, জাতির স্বার্থে আত্মনিবেদন করলেন ড. কামাল। শুধু বাংলায়ই নয়, পুরো বিশ্বে এমন দ্বিতীয়টি আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আন্তরিক শ্রদ্ধা ত্যাগী এই নেতাকে যিনি - কী পেলাম তা নিয়ে নয়, বরং হে জাতি হে দেশমাতা কী দিতে পারলাম এই মহান ব্রতের এক বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরলেন পুরো বিশ্ববাসীর সামনে। এ থেকে কী আমরা কিছুই শিখতে পারি না? আসুন আমরা সবাই ভাবি, হে স্বদেশ, হে লুটেরা কবলিত দেশ - আজ থেকে আমরা তোমার পাশে তোমার হয়ে লড়তে নামলাম - কী পেলাম তা আমাদের প্রেষণা নয়, বরং হে জন্মভূমি প্রিয় বাংলাদেশ, তোমাকে কী দিতে পারলাম - সেটিই আমাদের প্রেষণার মূলমন্ত্র।
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar Hossain ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:২৯ এএম says : 2
    Thanks for your response Iam Agree with u totally
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:১৮ পিএম says : 0
    মার্কিনরা বৃটিশ কায়দায় এখন নেমেছে বর্তমান সরকারকে একটু কাবু বানাতে, কিন্তু এনারা এখনও প্রধানমন্ত্রী কওমি জননীকে চিনতে ভুল করছেন এটাই আমার কাছে আজ আশ্চার্য লাগছে। মার্কিনরা এতই শিক্ষিত যে তাদের নজরে আজকাল অনেক কিছুই বাদ পরে যায় অহমিকার কারনে। তাই ওরা বৃটিশের মতই নিজেদেরকে বিশ্বের একটা শিশু দেশ বাংলাদেশের সাথে রাজনৈতিক মারপেচে হেরে যেতে বসেছে, আর এটাই হচ্ছে মহান আল্লাহ্‌র ইচ্ছা বলে আমার মনে হচ্ছে। এখন এর ফলাফল দেখার জন্যে আমাদেরকে সময়ের উপর নির্ভর করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ ফরহাদ হোসেন বাবু ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৯ এএম says : 1
    কিসের রেজ্যুলিশন করেছে কংগ্রেস?আমার মনে হয় বড় বড় ক্ষমতাশালী রাষ্টগুলোও এখন রোগা্রান্ত। তা না হলে আজ বাংলাদেশের বিরোধি দলগুলোর ওপর এত পৈচাশিক নির্যাতন হতনা। মানুষ কত নির্লজ্জ হলে শুধু মাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে এত মানুষের ওপর অন্যায় ভাবে অত্যাচার, নির্যাতন,গুম,মামলা, হামলা করে। বিশ্ববাসি এসব দেখেও না দেখার মত ভান করে আছে। আমি বলব বাংলাদেশের মানুষের আহাজারি আপনাদের কর্নকুহরে না পৌছালে, না দেখলে, না ভাবলে সর্বপরি কিছু না করলে আপনারাও অন্ধ, অযোগ্য,জ্ঞানহীন।
    Total Reply(0) Reply
  • mashrequl khan ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৭ এএম says : 0
    রেজুলেসনটি কাগজের বাঘের মত। দাঁত নেই।বাংলাদেশের সংসদ যেমন ট্র্যাম্পের নির্বাচনের বেপারে কোন পক্ষপাত মূলক প্রস্তাব আনতে বা পাশ করার আইনগত অধিকার রাখে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ও বাংলাদেশর আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে পারেন না। রেজুলেসন টি আহবানের পর্যায়ের। যেহেতু মার্কিনীরা এখন ও সামান্য ঋণ ও অনুদান বাংলাদেশকে দিয়ে থাকেন।তাই সামান্য উপদেশ বোনাস হিসাবে দিতে চান। এতে কারোই বিচলিত হবার কিছু নেই। ৭৫ সাল বহু আগে গত হয়েছে। এখন চাইলেই কোন দেশ ঢাকার ক্ষমতার পট পরিবর্তন করতে পারবে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ