পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ কথাটা তামাদি করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে আবারো ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা কলাকৌশল ও নীলনক্সা তৈরী করেছে এই অবৈধ সরকার। আর এই নীলনক্সা বাস্তবায়ন করছে নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সরকারের পক্ষে ইসির নজিরবিহীন পক্ষপাতিত্ব ভোটারদেরকে হতাশ ও ক্ষিপ্ত করে তুলছে। নির্বাচন সামনে রেখে দেশব্যাপী গ্রেফতারের মহোৎসব চলছে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে বুধবার পর্যন্ত ২ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চাপিয়ে দেয়া শত শত মামলার বোঝায় নির্বাচনের মাঠ দূরে থাক, ঘরে পর্যন্ত থাকতে পারছে না ধানের শীষের প্রার্থীর নেতা-সমর্থকরা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এই সরকার প্রহসনের নির্বাচন করতেই বেগম খালেদা জিয়াকে গায়ের জোরে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং প্রার্থী এমন ২৭ নেতা মিথ্যা মামলায় এখন কারাগারে। নির্বাচনের মাঠে বিএনপিকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নামে-বেনামে, গায়েবি মামলায় নেতাকর্মীদের লাল দেয়ালের ভেতরে ঘিরে রাখা হয়েছে। মামলা আর পুলিশি হয়রানির কারণে নেতাকর্মীরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপরও ক্ষান্ত হচ্ছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, পরিবারের অন্য সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে যারা ভোট গ্রহণ করবেন সেই ডিসি, এসপি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠনের নির্দেশনা কমিশন তো দেনইনি; উল্টো তাদের পক্ষপাতিত্বের দিকেই উস্কে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনে দফায় দফায় ডেকে এনে সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সংলাপের নামে বিএনপি প্রার্থীদের হয়রানী করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। ঢাকার হাইকোর্ট অঙ্গন থেকে শুরু করে পুরান ঢাকার জজ কোর্ট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টসহ সারাদেশের জেলা পর্যায়ের আদালতগুলোর আঙ্গিনায় ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই’ অবস্থা। কোথাও ধানের শীষের প্রার্থীরা জামিনের আবেদন নিয়ে হাজির হচ্ছেন; কোথাও কর্মীরা জামিন চেয়ে আবেদন করছেন; কোথাও গ্রেফতার ঠেকাতে আগাম জামিনের আবেদন, কোথাও স্বামী-স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের পুলিশি গ্রেফতার ঠেকাতে আদালতের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। কোর্ট-কাচারিগুলোতে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিচারপ্রার্থীর উপস্থিতির নজিরবিহীন এমন দৃশ্য অতীতে কোনো ভোটের সময় দেখা যায়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে কাজী রকিব ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে পথে হেঁটেছেন বর্তমান সিইসিও সে পথেই চলতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, সেটাকে এক ডিগ্রি বৃদ্ধি করে নৈতিকতার মাথা খেয়ে নিজের ভাগিনাকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করেছেন। তার সাথে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বসে বৈঠকও করছেন।
র তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রশাসনের সচিব-বিভাগীয় কমিশনার-ডিসি-এসপি এমন ৯২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তাদের বদলি ও প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচিতি, কর্মকান্ডের তথ্যও দেয়া হয় নির্বাচন কমিশনে। এসময় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুকে আবারও রিমান্ডে নেয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানা রিজভী।
১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা : নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর প্রথম দিনই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল নয়া পল্টনে সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে জনসভা হবে। জনসভার অনুমতির জন্য আমরা ইতোমধ্যে পুলিশ কমিশনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। আশা করছি, ১০ ডিসম্বের ফ্রন্টের এই জনসভা সফল ও সার্থক হবে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মনির হোসেন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।