Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির পূর্বাভাস

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

অগ্রহায়ণ মাস শেষের দিকে। পঞ্জিকার হিসাবে হেমন্ত ঋতুর অবসান এখনও বাকি। পৌষ-মাঘ শীতকাল আসার আগেই গতকাল (বৃহস্পতিবার) ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে রাতের তাপমাত্রা।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাপক পারদ আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সে. হ্রাস পাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রার পারদ আরও নেমে যেতে পারে। শুধুমাত্র ঢাকা বাদে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, বৃহত্তর চট্টগ্রামের পার্বত্যাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে এসেছে। সাধারণত ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সে. পর্যন্ত তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর চলতি মওসুমে তা শুরু হয়েছে দেশের উত্তর জনপদ থেকেই। গতকাল দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রি সে। এছাড়া রাজশাহীতে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি, যশোরে ১৩, বরিশালে ১৪ দশমিক ৮, শ্রীমঙ্গলে ১৪ দশমিক ৫, রাঙ্গামাটিতে ১৪, সীতাকুÐে ১৩ দশমিক ৭, চট্টগ্রামে ১৬ দশমিক ৮, ময়মনসিংহে ১৫ দশমিক ৬, ঢাকায় ১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সে. ছিল রাতের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেদশমিক। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সে. ।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, সুদূর উত্তরের সাইবেরীয়া থেকে হিমশীতল বায়ুমালার বাংলাদেশ ও আশপাশ অঞ্চলে আগমন প্রবাহ বৃদ্ধি, ঊর্ধ্বাকাশের জেটবায়ুর নি¤œমুখী ¯্রােত বেড়ে যাওয়া এবং পশ্চিমা উচ্চচাপ বলয়ের ভারতের বিহার থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তার লাভÑ এই তিনটি ফ্যাক্টরের জন্যই অগ্রহায়ণ শেষ না হতেই বিশেষত উত্তরাঞ্চল থেকে শীতের কামড় বেড়ে চলেছে। তবে আগামী সপ্তাহের শেষ দিক থেকে শীতের তীব্রতা কিছুটা হ্রাস পেয়ে পরবর্তীতে আরও বেড়ে যেতে পারে।
এদিকে উত্তুরের হিমেল হাওয়ার সাথে কুয়াশায় এবং শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন স্থানে জ¦র-কাশি, সর্দি, হাঁপানি, চর্মরোগ, পেটেরপীড়াসহ শীতজনিত রোগ-ব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ স্থানে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা হ্রাস পেয়েছে এবং যানবাহন চলাচলে সতর্কতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
হিমেল কনকনে হাওয়ার সাথে শীতের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণি কেন্দ্রগুলোতে গরম কাপড় কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে চলেছে।
আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। তবে এর পরের ৫ দিনের শেষের দিকে রাতের তাপমাত্রা আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে।
চলতি ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ) মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আগেই জানানো হয়, এ মাসের প্রথম ১৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকতে পারে। তবে ডিসেম্বরের শেষ ১৫ দিনে তথা দ্বিতীয়ার্ধে পৌষের গোড়াতেই তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে নেমে যেতে পারে। চলতি ডিেেম্বরের শেষের দিকে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে (ঢাকা ও আশপাশের জেলাসমূহ) এক থেকে দুইটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সময় তাপমাত্রার পারদ নামবে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সময় তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এ মাসে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল এবং নদ-নদী অববাহিকায় ঘন থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মাঝারি কিংবা হালকা ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তাপমাত্রা

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ