Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফুলের রফতানি বাড়াতে অবকাঠামো উন্নয়নের তাগিদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৭ এএম

ইউএসএআইডি এবং বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি’র সহায়তায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাওয়ার এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স ২০১৮’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম প্রধান অতিথি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুর রউফ বিশেষ অতিথি ছিলেন।
কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ হলো ‘ল্যান্ড অফ ফ্লওয়ার’ এবং সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মানুষের জীবনযাত্রারমান বৃদ্ধির ফলে সমাজের নানা স্তরে ফুলের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এ বাস্তবতায় আমাদের দেশে ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তিনি বাংলাদেশে উৎপাদিত ফুল বিদেশে রফতানির জন্য প্যাকের্জিং ব্যবস্থার উন্নয়ন, হিমাগার স্থাপন, ফুলের নতুন নতুন জাত উৎপাদনের উপর গুরুত্বারোপের জন্য এখাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ কৃষিখাতের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বলেন, কৃষিভিত্তিক একটি পণ্য হিসেবে ফুলের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার (আইটিসি)’র তথ্যমতে, সারা পৃথিবীতে ফুলের বাজার প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ডিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, বর্তমানে সার্বিকভাবে ফুলের বাজার মূল্য প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা। তিনি এ সম্ভাবনাময় শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এর সঙ্গে জড়িত কৃষক ও উদ্যোক্তাদের স্বল্প হারে ঋণ সুবিধা প্রদান, আধুনিক প্রযুক্তি প্রাপ্তি ও ব্যবহারের প্রশিক্ষণ প্রদানে, উন্নত ও নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ করা, ওয়্যারহাউজ ও কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ এবং সর্বোপরি অবকাঠামো উন্নয়নের কথা বলেন। ড. মো. আব্দুর রউফ বলেন, ফুল একটি উচ্চ মূল্যের কৃষি পণ্য এবং বাংলাদেশে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্প্রসারণের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি-এর সভাপতি আব্দুর রহিম ফুলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে ‘ফুল গবেষণা কেন্দ্র’ স্থাপনের প্রস্তাব করেন।
ইউএসএইড’র ডিরেক্টর থমাস পোপ বলেন, বাংলাদেশের কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়নে ইতোমধ্যে ইউএসএইড’র পক্ষ থেকে প্রায় ৩ হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং বাংলাদেশে ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবদ ও এখাতের ভ্যালু চেইনের উন্নয়নে ইউএসএইড সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।
ইউএসএইড’র কনসালটেন্ট এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, ১৯৮৩ সালে যশোরের ঝিকরগাছায় বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ শুরু হলেও বাংলাদেশে উপযোগী জমির প্রাপ্ততা এবং সহায়ক জলবায়ুর কারণে আমাদের ফুলের বাজার প্রায় ১হাজার কোটি টাকায় এসে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, ৬-৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই পুষ্প মেলায় প্রায় ৭০টি স্টলে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তা তাদের ফুল ও ফুল সংশ্লিষ্ট পণ্য প্রদর্শন করছে; প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফুলের রফতানি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ