Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগের পক্ষে মাঠে নামছে মুক্তিযোদ্ধারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:০২ পিএম | আপডেট : ৭:০৪ পিএম, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আজীবন পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে নৌকা প্রতীকের পক্ষে সম্মিলিতভাবে মাঠে নামবেন মুক্তিযোদ্ধারা। এই লক্ষ্যে আগামী শনিবার হজরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের পর প্রচারণায় নামবেন তারা।
এদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার টার্নিংপয়েন্ট হিসাবে খ্যাত সিলেট-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোনেমের বাসা হাফিজ কমপ্লেক্সে মতবিনিময় শেষে বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক কর্মসূচি পালন করা হবে।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির সিটি হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের যৌথসভায় এই সিদ্বান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্বা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন সাবেক মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির মহাসচিব আবদুস সালাম মজুমদার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের মাহমুদ পারভেজ জুয়েল ও রফিকুল ইসলাম, সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. কায়কোবাদ, জেলা কমান্ডার ফোরামের আহ্বায়ক ফরিদপুরের কমান্ডার মো. আবুল ফয়েজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী চৌধুরী সেলিম, রুপালীদেশ সম্পাদক আবদুল মালেক মণি, মেজর (অব.) লেনিন। চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডের মো. সাহাবুদ্দিন, মিরপুরের যুদ্বকালিন টু-আইসি মমিনুল হক মমিন কোম্পানী, কমান্ডার মোশারফ হোসেন, আবুল বাশার (তেজগাঁও), নজরুল ইসলাম (মিরপুর), ঢাকা মহানগরীর সহকারী কমান্ডার ফরিদ প্রমুখ।
এই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের সঙ্গে রয়েছেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সফল মন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেস্টা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি সাবেক সচিব রশিদুল আলম, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাশ। এই প্রক্রিয়ায় একাত্মতা ঘোষণা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, বিএলএফ মুজিব বাহিনীর মোহাম্মদ আবদুল হাই, মুক্তিদূতের মোস্তাক আহমেদ, মো. ইব্রাহীম, আবদুর রশিদ মন্ডল, নঈম, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের সভাপতি হুমায়ূন কবীর, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ‚ল ইসলাম নয়ন, হাজী এমদাদ, ভুট্টো, লুবনা খান ইন্জিনিয়ার তারেক, আবদুস সালাম প্রমুখ।
অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ চৌধুরী বলেন, আমি পাকিস্তান আমলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলাম ও পরবর্তিতে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেই। আমি আওয়ামী লীগের পক্ষে আছি, আজীবন থাকব।
মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে আছি, নৌকার সাথে আছি। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে রাজপথে ছিলাম আছি থাকব। বঙ্গবন্ধু কন্যা সবকিছু জানেন। আমার বিশ্বাস জাতীয় নির্বাচনের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সারাদেশের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে সমন্বয় করে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালানোর জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ ও সকল সাবেক কমান্ডারদের আহ্বান জানানো হয়।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৯:৫৩ পিএম says : 0
    প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সবসময়ই আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিল আছে এবং থাকবে এটাই মহা সত্য। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা দেশে বিভিন্ন কারনে থাকতে না পেরে নেত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে কানাডা পাড়ি জমিয়ে ৩১ বছর ধরে এখানে আছি। আমি ২০০২ সালে দেশের অবস্থা দেখে ঢাকা গিয়ে নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিতীয় বার দেখা করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লবিষ্টের দায়িত্ব নিয়ে এসে কানাডায় সাংসদদেরকে ঢাকার চিত্র তুলে ধরে বই আকারে সরবরাহ করে অবহিত করার কারনে সেই সময়ের লীবারেল পার্টি বাংলাদেশের উপর পার্লিয়ামেন্টারী কমিটি করে বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসাবে চিহ্নিত করেছিল এবং শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালে ভিসা দিয়ে জেল থেকে মুক্ত করে কানাডায় এনেছিল। কাজেই মুক্তিযোদ্ধারা সবসময় নেত্রী হাসিনার সাথে ছিল, আছে এবং থাকবে এটাই সত্য। মুক্তিযোদ্ধারা কক্ষনও নিজেরদের স্বার্থ চায়নি যেমন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি বগুড়ায়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টার পরথেকে। ঐ রাত্রে আমি আমার বন্ধু কিসলু সহ আমার দোনালা বন্দুক নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম। সেদিন সদর থানার পুলিশ আমাদের সাথে একাত্ত হয়ে যুদ্ধে নামে এবং রংপুর থেকে আগত পাকিসেনাদের থানা দখল করতে দেয়নি। থানা আমরা অরক্ষিত রেখে থানার উল্ট দিকে দালানের ছাদ থেকে ওদেরকে আক্রমণ করি এবং ওরা পালিয়ে কয়েক মাইল দূরে ওয়াপদা রেষ্ট হাউসে আশ্রয় নেয়। এরপর আমার বাসা ‘বরকতি হাউস’ হিসাবে পরিচিত সেখান থেকে আমার পরিবারের সবাইকে নিরপদে পাঠিয়ে দিয়ে আমার বাসাকে মুক্তিযুদ্ধাদের বসার যায়গা করা হয়। যে জন্যে ওয়াপদা রেষ্ট হাউস থেকে পাকি সেনারা আমার বাসায় সেল নিক্ষেপ করে যার একটা লাগে আমার বাসার সামনে রাস্তার ঠিক অপরদিকে মুন্সেফ কোয়ার্টারে এবং দালানের কার্নিশ উড়ে যায়। এরপর সেল লাগে আমার বাসার পেছনের দেয়ালের সাথেই সাতআনি মসজিদের কার্নিশে। তারপর আমার বাসার পেছনের এলাকার এক শিশু মায়ের কোলে নিহিত হয় ওয়াপদা রেষ্ট হাউস থেকে ছোড়া সেলের কারনে। এসব দেখে আমরা আমার বাসা পরিত্যাক্ত রেখে সড়ে যাই এলাকার লোকজনদের জীবন রক্ষার্থে। আমরা বগুড়া ১৭ই এপ্রিল পর্যন্ত পাক সেনা মুক্ত রেখেছিলাম পরে নিজেদের মধ্যে মত বিরোধের কারনে আমারা বগুড়া ত্যাগ করে পালিয়ে যাই। তখন পাকিসেনারা বগুড়া দখলে নেয় এবং আমার বাড়ির আসবাব পত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে এমনকি দালানেরও প্রচুর ক্ষতি সাধান করে। আমার নিজের মালিকানা ট্রাক, বাস, ও ব্যাক্তিগত ব্যাবহারের গাড়ী নিয়ে যায় এবং আমার একটা মটর পার্টসের দোকানও লুটপাট করে আমাকে নিঃসহ করে ফেলে। এর বিনিময়ে আজও আমি কিছুই পাইনি বা দাবীও করিনি। কাজেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে দিয়েই গেছে, দেশ থেকে কিছুই নেয়নি এটাই সত্য। তবে বর্তমানে আমি ওসমানীর সার্টিফিকেট দেখিয়ে জাচাই বাছাইয়ের কমিটিতে আমার মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র জমা দিয়েছি কারন প্রধানমন্ত্রী ওসমানীর সার্টিফিকেট বাতীল করে দিয়েছেন তাই এই পদ্ধতীতে নিজের বৈশিষ্ট রক্ষার চেষ্টা করেছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ