পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে এই পৃথিবী নামক গ্রহে কত কি-ই না করতে হয়। কিন্তু মহাকাশে এমন তিনটি বিশ্বের সন্ধান মিলেছে যেখানে না অতি শীত না অতি উষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। আর সেখানটায় জীবন ধারণের সব উপযোগিতা বর্তমান। তিনটিই আকারে পৃথিবীর সমান। খুব বেশি নয়Ñ দূরত্ব মোটেই ৪০ আলোকবর্ষ।
বলা হচ্ছে, তা হলে এলিয়েনদের কি এখানেই বসবাস! মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এগুলোর নাম দিয়েছেন ভল্লুক ত্রয়ী। আর বলছেন, এগুলোর মধ্যে অন্তত একটির পরিবেশ পুরোই প্রাণীকুলের বসবাসের উপযোগী। এরই মধ্যে তারা সেখানে প্রাণীর অস্তিত্ব পাওয়া যায় কি না তা খুঁজে পেতে দেখতে শুরু করেছেন। মহাকাশ গবেষকদের একটি দল এই তিন ভিন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। তারা দেখেছেন সেগুলো একটি বেশ ঠা-া ধূসর বর্ণের তারকাকে ঘিরে ঘুরছে। আর সেই তারকাটি আমাদের সূর্যের আট ভাগের এক ভাগ হবে।
ট্র্যাপিস্ট-ওয়ান নামেও পরিচিত এই ঠা-া আর অপেক্ষাকৃত কম আলোর তারকাটি একটা নিয়মিত বিরতিতে কিছুটা ঝাপসা হয়েও আসে। এ থেকে ধরে নেয়া হচ্ছে এই তারকা আর পৃথিবী নামক গ্রহের মাঝ দিয়ে আরো কিছু অবজেক্ট আসা-যাওয়া করে। আরো বিস্তারিত বিশ্লেষণে দেখা গেছে পৃথিবীর সমান আকারের এই তিনটি গ্রহ তাদের অস্তিত্ব ভালো করেই জানান দিয়েছে। ট্র্যাপিস্ট-ওয়ান অনেক বেশি ঠা-া আর সূর্যের চেয়ে অপেক্ষাকৃত লালও বটে। আর সেটি বৃহস্পতি গ্রহটির চেয়ে খানিকটা বড়। আর কুম্ভ নক্ষত্রপুঞ্জের অংশ।
ছায়াপথে এমন তারকা কিন্তু অসংখ্যই দেখা যায় কিন্তু এই প্রথম তার কোনোটিকে ঘিরে গ্রহের অবস্থান দেখা গেল। পৃথিবীর কাছাকাছি হলেও এই তারাটি অনেকটাই মৃদু আর অনেক লাল হওয়ার কারণে খালি চোখে কিংবা সাধারণ টেলিস্কোপেও ধরা পড়ে না।
বেলজিয়ামের ইউনিভার্সিটি অব লিজ-এর গবেষক মাইকেল গিলন জানালেন ওই ভল্লুক ত্রয়ী গ্রহরা তারকাটির অনেক কাছাকাছি থেকে ঘুরছে। সূর্য থেকে পৃথিবীর যা দূরত্ব তার ২০ থেকে ১০০ ভাগ কম দূরত্ব হবে ওগুলোর। গবেষকরা মনে করছেন, তিনটি গ্রহই বসবাসযোগ্য হবে, আর এখন ওগুলোই তাদের গবেষণায় বড় গুরুত্ব পাচ্ছে।
তারা বলছেন, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি যা রয়েছে তা দিয়েই এখানে গবেষণা এগিয়ে নেয়া সম্ভব। আর প্রাণের অস্তিত্ব থাকলে তা বের হয়েও আসবে।
তারকাটির অপেক্ষাকৃত কাছের দু’টি গ্রহ তার চার দিকে একবার ঘুরে আসছে পৃথিবীর হিসেবে ১.৫ দিন ও ২.৪ দিনে। আর তৃতীয়টি এখনো কিছু অবিন্যস্ত তথ্য দিচ্ছে। হতে পারে সেটি চার থেকে ৭৩ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করছে। বিজ্ঞানীরা এই তৃতীয়টির নাম দিয়েছেন ‘বাবা ভল্লুক’ আর তারা ভাবছেন এখানে প্রাণীর বসবাসের উপযোগিতা সবচেয়ে বেশি হওয়ারই সম্ভাবনা। এই তিনটি গ্রহে দিবা-রাত্রিও আসে বলে জানিয়েছেন তারা। তাহলে কি এখানেই এলিয়েনদের বাস! ঠাট্টা করে সে কথাও বলছেন গবেষকরা। এই গ্রহের বায়ুম-ল রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা করছেন তারা। ভাবছেন শিগগিরই হয়তো এই গবেষণারও একটি ফল মিলবে। রয়টার্স ও ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।