পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এজন্য নির্বাচন আইনানুগ না হলে সে নির্বাচন কালো নির্বাচন। আমরা কালো নির্বাচন নয়, স্বচ্ছ, সাদা নির্বাচন করতে চাই। কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে গেলে সতর্কতা থাকতে হবে। সর্বোচ্চ সাজার বিষয়ে লিগ্যাল মাইন্ডকে প্রাধান্য দিয়ে বিবেচনায় রাখতে হবে, কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন সাজা না পায়।
গতকাল বুধবার নির্বাচনী তদন্ত কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আগাওগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এমনটাই বলেন। তিনি বলেন, সবার প্রতি সমআচরণ করতে হবে। আইনের চোখে যেন সবাই সমান থাকে। সবাই সমান অধিকার ভোগ করছে কিনা সেটাই বিবেচনার বিষয়। সকল আইন প্রয়োগ হচ্ছে কিনা আপনারা সেটা খেয়াল রাখবেন। নির্বাচনের অনিয়ম রোধে ও আইনসিদ্ধ করার ব্যাপারে বিচারকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবার সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান মাহবুব তালুকদার।
তিনি বলেন, আমরা ভাগ্যবান যে, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে যাচ্ছি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সাধারণত প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক হয়। এমন নির্বাচনে এক পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা সফল হয় না। আমি মনে করি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে পক্ষে-বিপক্ষে ভারসাম্য থাকে। কমিশন ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সোনালী ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে। নিরপেক্ষ, পক্ষপাতমুক্ত নির্বাচন গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গণতন্ত্র নিত্যদিনের অনুপ্রেরণা। মাঠ পর্যায়ের অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধে এবং নির্বাচর্নী কর্তব্য পালনে সদা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ইসি মাহবুব বলেন, আপনারা বিচারকরা আমাদের নির্বাচন কমিশনের শপথের অংশীদার। কমিশনারদের শপথ আপনাদের মাঝে সঞ্চারিত হয়েছে। পুরো জাতির প্রত্যাশা পূরণে দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ৩০ লাখ শহীদের কথা স্মরণ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সুখী ও সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ হবে। তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সবার প্রতি সবার প্রতি সমান প্রয়োগের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান।
কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, এবারের নির্বাচন বৈচিত্রপূর্ণ। সংসদ বহাল রেখে, সরকার অপরিবর্তনীয় আছে এমন অবস্থায়ই নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যেহেতু এ নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে হতে যাচ্ছে, আগের যেকোন সময়ের চেয়ে আইনের বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি আইনানুগ নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচনী তদন্ত কমিটির সদস্যদের সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে কাজটি সহজ করে দেবে।
কমিশনার কবিতা খানম বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু ও আস্থার পরিবেশ তৈরিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন শুধু নয়, নির্বাচনী তদন্ত কমিটির সদস্যদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। দৃশ্যমানভাবে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন। সব ধরনের রাগ অনুরাগের উর্ধ্বে উঠে, বিচারিক দায়িত্ব পালনের মতো করেই সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান আপনাদের দায়িত্ব।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, আগামী সোমবার প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হবে। ওই দিন থেকে নির্বাচনী তদন্ত কমিটির সদস্যদের আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। ইভিএমের বিষয়ে বিশদ ধারণা নিতে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা বিচারকদের পরামর্শ দেন তিনি। নির্বাচনী তদন্ত কমিটির প্রশিক্ষণ শেষে আগামী সোম ও মঙ্গলবার ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।