পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমরা নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়ায় সরকার অনিশ্চয়তায় পড়েছে। তারা অনিয়ম, কারচুপি করে জনগণের বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে পারে। ভোটকেন্দ্রে সব ধরনের কারচুপির মোকাবেলা করতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সকাল থেকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। গতকাল পুরানা পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের নতুন কার্যালয়ের তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ২০১৪ সালে যেনতেন নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ পাঁচ বছর ক্ষমতা ভোগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন কিছুদিনের মধ্যে সবার অংশগ্রহণমূলক আরেকটি নির্বাচন দেবেন। কিন্তু তা তারা দেয়নি। বর্তমান সংসদ বৈধ নয়। এ সংসদের সদস্যরা নির্বাচিত নন। তারপরও তারা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকেছেন। সরকার আবারও যেনতেন নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে যে ক্ষতি হয়েছে তা এবার ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচন সুষ্ঠু করার মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। জনগণ রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরে পাবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে জনগণকে পাহারাদার হতে হবে।
ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক বলেন, সাংবাদিকরাও অবাধ নির্বাচনের পাহারাদার হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারেন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে যেখানে বাধা, অনিয়ম দেখবেন মিডিয়ার মাধ্যমে আপনারা তা তুলে ধরবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন হচ্ছে। পুলিশ বিরোধী প্রার্থীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ভোট চুরি ও নির্বাচনী আইন গণমাধ্যমকে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। নির্বাচনের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা জনগণের পক্ষে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনে সাংবাদিকরা এবং বিদেশী পর্যটকদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেতে নির্বাচন কমিশন যে সব বিধি নিষেধ আরোপ করেছে তাতে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আপনারা কোন পদক্ষেপ নেবেন কি? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমরাও ভাবছি। এ নিয়ে খুব শিগগিরই আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবো। তা না হলে এ সমস্যা সমাধানের অন্য কোন উপায় আছে কি না সে বিষয়টিও দেখতে হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার কবে প্রকাশ করা হবে এবং সেটা যৌথ হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন তিনদিনের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। আর এ ইশতেহার হবে ঐক্যফ্রন্টের সকল দলের যৌথ ইশতেহার।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ড. রেজা কিবরিয়া, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদা খোকা বীর প্রতীক, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।