পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যুৎ বিল বাকী থাকায় বিএনপি নেতা মোর্শেদ খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা। বিদেশে থাকায় ক্রেডিট কার্ডের সাড়ে ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে পারেননি ঐক্যফ্রন্টের নেতা রেজা কিবরিয়া। তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে হবিগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা। মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না থাকায় একই অবস্থা আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেয়া গোলাম মাওলা রনি। এছাড়া ঋণখেলাপির কথা বলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন হাওলাদার, আফরোজা আব্বাসসহ অসংখ্য প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা গেছে বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীরর ক্ষেত্রে। একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় সোয়া কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করেও তার মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে। ঋণখেলাপি থাকা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে মাহীর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ এবং আপত্তি জানালেও বৈধতা দেয়া হয়েছে তার মনোনয়নপত্র। একই আইনে দুই রকম প্রয়োগের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সারাদেশেই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার দলীয় জোটের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ঋণখেলাপি থাকায় অন্যদের মনোনয়ন বাতিল হলেও মাহী বি. চৌধুরীর মনোনয়নপত্র কিভাবে বৈধ হয় সেই বিষয়ে প্রশ্নও তুলেছেন।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) সূত্রে জানা যায়, এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রায় সোয়া ১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আর পরিশোধ করেননি। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সামনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ঋণ আদায় না হওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে আনুষ্ঠানিক আপত্তি জানিয়েছিলেন। তার আগে বাংলাদেশ ব্যাংককেও লিখিতভাবে তারা তাদের আপত্তির কথা জানান। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এসব অভিযোগ-আপত্তি আমলে নেয়া হয়নি। বরং আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ঋণ ফেরৎ না পাওয়ার অভিযোগ আমলে না নিয়েই মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিকল্পধারা তথা যুক্তফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মাহী বি. চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের দেয়া চিঠির একটি কপি ইনকিলাবের কাছে রয়েছে। বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) এম এম মোস্তফা বিলাল স্বাক্ষরিত সেই চিঠি থেকে জানা যায়, মেসার্স এন্টারটেইনমেন্ট রিপাবলিক নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী মাহী বি চৌধুরী। ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) থেকে তিনি ৩৬ মাস মেয়াদে ৩০ লাখ টাকার ঋণ নেন। কিন্তু সেটি সময়মতো পরিশোধ করতে পারেন নি।
ঋণ পরিশোধের সময় দেড় বছর বাকি থাকতেই (২০১০ সালের জুনে) ঋণটি পুনঃতফসিলের (রি-শিডিউল) জন্য তিনি প্রতিষ্ঠান বরাবর আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই সময়ে বিকল্পধারা মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ ঋণটি পুনঃতফসিলের অনুমোদন দেয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ঋণ আদায়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঋণ গ্রহীতাকে ৬৫ লাখ ১৪ হাজার ৫৬২ টাকা পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠায় বিআইএফসি।
প্রায় তিন মাস পর ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন মাহী। সেই সময়ে তার কাছে ঋণের বকেয়া ছিল ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৩২০ টাকা। ওই সময়ে বাকি টাকা পরিশোধ না করায় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিএল ব্যালেন্স দাঁড়ায় ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৯০ টাকা। ২০১৭ সালের মার্চে ঋণ গ্রহীতাকে বাকি টাকা পরিশোধের অনুরোধ করে ফের চিঠি পাঠায় প্রতিষ্ঠানটি। ওই চিঠির জবাবে মাহী বি. চৌধুরী একটি এনওসি’র কপি প্রেরণ করেন। ওই এনওসি কীভাবে মাহী পেলেন তার কোনো রেকর্ড সংরক্ষিত না থাকায় সেই সময়ের এমডি ইনামুর রহমানকে শোকজ করা হয়। সাবেক ওই ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির তরফে দু’দফা চিঠি দেয়া হলেও তিনি আজ অবধি এর কোনো জবাব দেননি। মাহী বি. চৌধুরীর ওই ঋণটিকে ‘মন্দ ও ক্ষতিজনক’ পর্যায়ে রেখেছে বিআইএফসি। সর্বশেষ হিসাব জানিয়ে ২৫ নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বিআইএফসি মাহীর কাছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৩৪ টাকা ৬৫ পয়সা পাবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।