পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনা শহরের কৃষ্ণপুর মহল্লায় ভাড়া বাসা থেকে গাজী পাম্পের পাবনাস্থ সেলস এক্সিকিউটিভের বস্তাবন্দী ৮ টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে পাবনা পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর তার দপ্তরে গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন। পুলিশ সুপার বলেন, কুষ্টিয়া জেলার নান্দিয়া গ্রামের মৃত ফারুক মোল্লার পুত্র গাজী পাম্পের সেলস এক্সিকিউটিভ আক্তারুজ্জামান ওরফে সরোজ মোল্লা কৃষ্ণপুরের মোঃ জামিল হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার দূর-সম্পর্কের চাচাতো ভাই রাশেদুজ্জামান, পিতা মৃত মোশারোফ হোসেন একই বাসায় তার সাথে বসবাস করতো। গত ৩ মে আক্তারুজ্জামান বাসায় অফিসে না যাওয়ায় অফিসের লোকজন মোবাইলে তার সাথে যোগাযোগ করে না পেয়ে ডিলারদের সহযোগিতায় তার ভাড়া বাসায় যায়। তার দূর-সর্ম্পকের চাচাতো ভাই রাশেদুজ্জামানকে তারা জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আক্তারুজ্জামান জরুরী কাজে গ্রামের বাড়িতে গেছে। এ দিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে রাশেদুজ্জামানকে ব্যাগপত্রসহ রিকশায় চড়ে চলে যেতে দেখে লোকজনের সন্দেহ হয়। তারা রাশেদুজ্জামানকে জিজ্ঞাসা করলে তার কথায় গড়মিল পাওয়া গেলে তাকে থানায় সোপর্দ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদুজ্জামান এই হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করে এবং বলে আক্তারুজ্জামানের লাশ বাসার বাথরুমের ফলস ছাদের ওপর রাখা আছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঐ স্থান থেকে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে। বস্তা খুলে দেখা যায় আক্তারুজ্জামনকে হত্যা করে লাশ ৮ টুকরো করা হয়েছে। রাশেদুজ্জামান পুলিশকে আরও জানায়, আক্তারুজ্জামানের কাছে ৫ হাজার টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সে তাকে হত্যা করে। সূত্র জানায়, মৃত আক্তারুজ্জামানের গ্রামের বাড়িতে অনেক জমিজমা আছে। পুলিশ এই হত্যাকা-ের আরও মোটিভ এবং এর সাথে আর কেউ জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এবং পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।