পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২০ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেন প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন প্রাক্তন বিএনপি নেতা বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এরপরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালতের শাহবাগ থানার জেনারেল রেকর্ডিং (জিআর) শাখায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে মামলাটি দুর্নীতির অভিযোগের হওয়ায় দুদক জিআরে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। যার মধ্যে দুর্নীতির একটি মামলা ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ হাইকোর্ট বাতিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৭ জুন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দুদকের লিভ টু আপিল খারিজ করেন। এমনই পরিস্থিতিতে একটি পত্রিকায় ‘জামিন ছাড়াই বছর পার নাজমুল হুদা ও স্ত্রী’র শিরোনামে গত ৩০ মার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে দুদকের লিভ টু আপিল মঞ্জুর হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরে আপিল বিভাগে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, দুদকের লিভ টু আপিল মঞ্জুর হয়েছে। এরপর তিনি বুঝতে পারেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা তার জমাদারের মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২০ জুলাই ডেকে নিয়ে যান এবং বলেন, একজন সংসদ সদস্য তাকে নগদ দুই কোটি টাকা দিতে চেয়েছেন। যদি একটি মামলায় নাজমুল হুদার সাজা নিশ্চিত করেন। যাতে করে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হন। যদি দুই কোটি টাকা এবং আপিল বিভাগে ব্যারিস্টার হুদার প্রদত্ত আড়াই কোটি টাকার একটি ব্যাংক গ্যারান্টির রিলিজ আবেদনের বিপরীতে ব্যাংক গ্যারান্টির ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা প্রদান করেন তবে তিনি ও তার স্ত্রীর মামলাগুলোয় মুক্তির ব্যবস্থা নিবেন। যদি না দেন, তবে ব্যাংক গ্যারান্টিতে উল্লেখিত হাইকোর্টের মামলার পুনঃশুনানি করবেন এবং ব্যাংক গ্যারান্টি রিলিজের পথ বন্ধ করে দেবেন। এই প্রস্তাবে তিনি সম্মত না হওয়ায় রায় পাল্টে দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।