পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী এখন রাজনৈতিক মাঠে একেবারেই নীরব। তারপরও তাদের নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে আলোচনা থেমে নেই। বলা যায় নীরব থেকেও রাজনীতিতে সরব আছে জামায়াত। রাজনৈতিকভাবে দলটি বর্তমানে চরম দু:সময় অতিক্রম করছে। প্রতীক বাতিলের পর জামায়াতের নিবন্ধনও বাতিল করা হয়েছে। তারপরও দলটি আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ২০দলীয় জোটের শরিক হিসেবে দলটি চল্লিশটির মতো আসন দাবি করলেও বিএনপি ২৫টি আসনে তাদের ছাড় দিয়েছে। জামায়াত এ নিয়ে সন্তুষ্ট যদিও তারা আরও পাঁচটি আসন দাবি করছে।
বিএনপি তাদের পুরানো ২০দলীয় জোটের বাইরে গিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করলে রাজনীতিতে এক নতুন চমকের সৃষ্টি হয়। তখন জামায়াতে ইসলামী আবারও নতুন করে আলোচনায় চলে আসে। ঐক্যফ্রন্টের শরীক দলের নেতা ড. কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অন্যান্যরা জমায়াতের সাথে কোন ঐক্য নয় বলে ঘোষনা দেন। তখন রাজনৈতিক অঙ্গণে জামায়াত নিয়ে নতুন করে আলোচনার শুরু হয়। অনেকে ভাবেন বিএনপি জামায়াতকে ছেড়ে এবার নতুন সঙ্গীদের নিয়ে অগ্রসর হবে। আবার অনেকে ভাবেন জামায়াতকে বিএনপি কিছুতেই ছাড়বে না। এসব নানা আলোচনার মধ্যে বিএনপি অত্যন্ত কৌশলে জামায়াতকে সাথে রেখেই ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছে। বিএনপি জামায়াতকে সাথে রাখলেও যেহেতু তারা ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচন করছে তাই তাদের পরিচয় হবে বিএনপির প্রার্থী। এক্ষেত্রে তারা বলছে তাদের সাথে জামায়াত নেই। ধানের শীষ মার্কা নিয়ে সবাই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছে। জাতীয় ঐক্যজোটের নেতারাও বলছেন তাদের সাথে জামায়াত নেই। জামায়াতের তো কোন নিবন্ধনই নেই। তাই জামায়াত দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কাজেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে জামায়াত আছে এমনটি বলার কোন সুযোগ নেই।
জামায়াত নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে এই যখন সমীকরণ তখন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা এ নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৃণমূলের রোকন পর্যায়ের নেতা আব্দুল বারী বলেন, এই নির্বাচনটি জামায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি জামায়াতের অস্তিত্বের লড়াই। জামায়াতের দলীয় প্রতীক বাতিলের পর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। তাই নিজেদের অস্তিত্বে প্রয়োজনেই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্তকে আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা স্বাগত জানিয়েছি। কারণ স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করলে একেকজন প্রার্থীর মার্কা একেক রকম হতো। এ ছাড়া চরম এক প্রতিকূল অবস্থায় পৃথক মার্কা নিয়ে মাঠে থাকাটাও খুব কঠিন হতো। সব বিবেচনায় এই নির্বাচন আমাদের জন্য অস্তিত্বের লড়াই।
জামায়াতে ইসলামী উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় জয়ী হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাতের অভিযোগ রয়েছে। সংসদ নির্বাচনেও জামায়াতের এমন ভূমিকা হতে পারে বলে অনেকের সন্দেহ। এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল বারী বলেন, উপজেলা বা ইউনিয়নের নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয় না। তাই স্থানীয় পর্যায়ে নানাভাবে সমঝোতা হয়ে থাকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সে রকম কোন সুযোগ নাই। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের সুযোগ তৈরী হবে। তাই নিজেদের অস্তিত্বকে ঠিকে রাখতেই জামায়াতে ইসলামী ধানের শীষের বাইরে যাওয়ার কোন চিন্তাই করবে না।
অন্যদিকে জামায়াত নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন শরিকদের আপত্তি রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতেও কোনো একটি আসনে ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা কাজ করবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের এই কর্মী বলেন, আমারা নির্বাচন করছি একটি ঐক্যের মাধ্যমে এবং একটি মার্কা নিয়ে। এক্ষেত্রে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে যেই প্রার্থী হোক জামায়াতের সকল নেতা- কর্মী তার পক্ষেই কাজ করবে। এই সরকারের অন্যায়, জুলুম নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে হলে তাদেরকে হটানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আর নির্বাচনে তাদেরকে পরাজিত করেই সেটা করতে হবে। তাই আমরা এ ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।