Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আপিলই ভরসা বিএনপি জোটের

চট্টগ্রামের ১০টি আসনে কারা পাচ্ছেন ধানের শীষ

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মনোনয়ন বাদ পড়াদের আপিল নিষ্পত্তি হলেই চূড়ান্ত হবে চট্টগ্রামে বিএনপি জোটের প্রার্থী তালিকা। ইতোমধ্যে হেভিওয়েট আট নেতা নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন। তারা আশাবাদী আপিলে প্রার্থীতা ফিরে পাবেন। এদিকে আপিল নিষ্পত্তি হলেই দ্রুত প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে বিএনপি জোট।
চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের ছয়টিতে বিএনপি জোটের একক প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত। বাকি ১০টিতে একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়নি। এর মধ্যে একটি আসন ছাড়া সবকটি আসনে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন। তারা ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক অব্যাহত রেখেছেন। অনানুষ্ঠানিক প্রচারণার মধ্যেও প্রার্থীতা নিয়ে টেনশন কাজ করছে তাদের মধ্যে। ধানের শীষের টিকিট নিশ্চিত করতে নানা তদবির আর দেন-দরবারও অব্যাহত আছে। গুরুত্বপূর্ণ এই ১০টি আসনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের হেভিওয়েট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কারা পাবেন ধানের শীষের টিকিট তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনা চলছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একক প্রার্থী। দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধরী একক প্রার্থী হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম, চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে এবং অপর শরিক দল জামায়াতের নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপি জোটের একক প্রার্থী। তাদের সবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়নি এমন আসনগুলোর উল্লেখযোগ্য হলো- চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসন। এ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার পুত্র মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। জোটের শরিক কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম ও বিএনপির বিকল্প প্রার্থী ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। মীর নাছির আশাবাদী তিনি এবং তার পুত্র প্রার্থীতা ফিরে পাবেন। এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের প্রতিদ্ব›দ্বী কে হবেন তা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ভোটারদের মধ্যে।
চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে বিএনপির দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। তারা হলেন-চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমদ ও শিল্পপতি মনিরুল ইসলাম ইউসুফ। বিএনপির অপর প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে পদত্যাগ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে। তিনিও প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে বিএনপির নুরী আরা সাফা, কর্নেল মো. আজিম উল্লাহ বাহার, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ছালাহ উদ্দিনসহ চারজন মাঠে রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কে দলের টিকিট পান তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। চট্টগ্রাম-৩ স›দ্বীপ আসনে একাধিকবার নির্বাচিত বিএনপির মূল প্রার্থী মোস্তফা কামাল পাশার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ১৯৯১ সালের পুরনো টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায়। তার দাবি এ বিল তিনি পরিশোধ করেছেন, আপিলে প্রার্থীতা ফিরে পাবেন। এ আসনে বিএনপির অপর দুই প্রার্থী মো. বেলায়েত হোসেন ও মো. নুরুল মোস্তফাও দলের টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন মাহফুজুর রহমান মিতা।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড) আসনে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব কারাবন্দী আসলাম চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিল হয়। ঋণখেলাপির দায়ে প্রার্থীতা বাতিল হলেও তিনি আপিলে তা ফেরত পাবেন এমন প্রত্যাশা করছেন তার সমর্থকেরা। ওই আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী সাবেক সচিব এওয়াইবিআই সিদ্দিকী, ও মো. ইসহাক চৌধুরীও তৎপর রয়েছেন। এ আসনে নৌকার প্রার্থী দিদারুল আলম। চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বিএনপির সামির কাদের চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এ আসনে দলের অপর প্রার্থী জসীম উদ্দিন সিকদারের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। জসীম উদ্দিন সিকদারকে ধানের শীষ মার্কা পেতে হলে সামির কাদেরের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নৌকার প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীও প্রতিদ্ব›দ্বী কে তা দেখার অপেক্ষায়।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনীয়া-বোয়ালখালী একাংশ) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিল হলেও মাঠে আছেন শওকত আলী নূর, কুতুব উদ্দিন বাহার। ২০ দলের শরিক এলডিপির মো. নুরুল আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ তিনজনের মধ্যে কে পান ধানের শীষ মার্কা তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে বিএনপির গাজী শাহজাহান জুয়েল ও এনামুল হক মাঠে আছেন। ধানের শীষ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী দু’জন। এ আসনে নৌকার প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী। চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনেও বিএনপির দুই নেতা সরওয়ার জামাল নিজাম এবং মোস্তাফিজুর রহমান দলের প্রতীক পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।



 

Show all comments
  • হক সাহেব ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৩ এএম says : 0
    লাঠি ছাড়া কাজ হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Israfil Chand ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৪ এএম says : 0
    rangpur 5 e high court nomination paper joma nite boleche.asa Kori onno ason guloteo prarthi thakbei.
    Total Reply(0) Reply
  • Rafiq Ullah ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৬ এএম says : 0
    EC is unwilling to conduct participatory Election !
    Total Reply(0) Reply
  • Renzu Rezuan ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৭ এএম says : 0
    ইসির উচিত নির্বাচনের পক্ষে কাজ করা নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া নয় ।
    Total Reply(0) Reply
  • Monir ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:২৯ এএম says : 0
    আপিলেও আশা করা যাচ্ছে না। কারণ সবই তো পূর্বি পরিকল্পিত ভাবে হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ