পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : জেলার কৃষকগণ চলতি মৌসুমে আঁশবিহীন, মাংসল ও সুমিষ্ট স্বাদের স্থানীয় জাতের হাঁড়িভাঙ্গা আমের ভাল ফলনের আশা করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে টানা তিন সপ্তাহের অধিক সময়ের খরায় হাঁড়িভাঙ্গা আমের কিছুসংখ্যক গুঁটি ঝরে পড়ে। তবে গতকাল বুধবার সকালের মাঝারী বর্ষণের ফলে এখনও গাছে রয়ে যাওয়া গাছে প্রচুর পরিমানে কচি আমগুলো দ্রুত বেড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। আাগামী জুন মাসের মাঝামাঝি নাগাদ এই আম সংগ্রহ শুরু হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যান বিশেষজ্ঞ খন্দকার মোঃ মেজবাহুল ইসলাম জানান, সাম্প্রতিক খরার পর বুধবার সকালে রংপুরে ২০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে করে তাপমাত্রা কমেছে এবং বাতাসে আদ্রতার পরিমান বৃৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অনুকূল আবহাওয়া আগামী দু’মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে জেলায় এবার এই অভিজাত হাঁড়িভাঙ্গা জাতের আমের আশানুরূপ ভাল ফলন পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, এপ্রিল থেকে নিয়মিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় স্থানীয় জাতের ভালো এই আমের উচ্চ ফলনে কিছুটা সংশয় দেখা দেয়। কিন্তু বৃষ্টিপাত এই জাতের আমের ফলনে ব্যাপক সহায়ক হয়েছে। রংপুরসহ এই বিভাগের সর্বত্রই এখন বানিজ্যিক ভিত্তিতে হাঁড়িভাঙ্গা আমের চাষ প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশে ও বিদেশে এ আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, জেলায় এবার ছয় হাজার ২৫০ জনের বেশী কৃষক ও আগ্রহী লোক ক্ষুদ্র, মধ্যম ও বড় ধরনের চার হাজার ২৫০টির বেশী বাগানে আম চাষ করেছেন। জেলায় গত বছর ১৫০ কোটি টাকা মূল্যের ২১ হাজার টন আম উৎপাদনের পর চলতি মৌসুমে পাঁচ হাজার আটশ’ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গোটা রংপুর বিভাগের পাশাপাশি জেলায় আম চাষ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মৌসুমে কমপক্ষে গতবছরের ন্যায় হাঁড়িভাঙ্গা আম উৎপাদন হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন। রংপুর সিটি মার্কেটের আম ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান জানান, আগামী জুন মাস থেকে শুরু হয়ে জুলাই পর্যন্ত হাঁড়িভাঙ্গা আম মাড়াই ও সংগ্রহ চলবে। মাড়াইকালীন মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙ্গা আম ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় কেনা-বেচা হলেও সংগ্রহকালীন সময়ের শেষ দিকে প্রতি কেজির দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। রংপুর কৃষি অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত উপ-পরিচালক স ম আশরাফ আলী জানান, রংপুরসহ এই বিভাগের প্রায় সর্বত্রই এখন কৃষকদের মাঝে হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাণিজ্যিক চাষের প্রতি আগ্রহ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জেলার গ্রামীণ এলাকায় শত শত লোক হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ করে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছেন। চলতি মৌসুমে ভাল ফলনের লক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।