Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফ্যাক্টর নতুন ভোটার

বিজ্ঞানমুখী নৈতিক আদর্শিক মূল্যবোধের শিক্ষা অপরিহার্য : অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১১:২০ এএম, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের ঢোল বাজছে। সর্বত্রই ভোটের আওয়াজ। এবারের নির্বাচনে ফলাফল নির্ধারণে নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে তরুণ এই নতুন ভোটাররা। এবার ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা মোট ভোটারের প্রায় শতকরা সাড়ে ২৮ ভাগ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল আট কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার। এবার ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন।
১০ বছরে ভোটার বেড়েছে দুই কোটি ৩২ লাখ। প্রতিটি আসনে ভোটার বৃদ্ধির সংখ্যা গড় প্রায় ৭৭ হাজার। নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী ছোট-বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত। দেরিতে হলেও দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করছে। কোন দলের ইশতেহারে কি কি থাকছে তা এখনো অজানা। রাজনৈতিক দলগুলো ইশতেহারে নিজেদের আদর্শ, নীতি ও কর্মকৌশলের পাশাপাশি জাতির সামনে আগামীর উন্নয়নের রোডম্যাপ তুলে ধরবে। কিন্তু নির্বাচনে যারা ফলাফল নির্ধারণে নিয়ামক হবে সেই তরুণ ভোটারদের মনন-চিন্তা কি ইশতেহারে ঠাঁই পাবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নেহাল করিমের মতে, নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের মনন-চিন্তাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। মানবিক মূল্যবোধ, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তির উৎকর্ষ নির্বাচনে তরুণদের আকৃষ্ট করবে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান মনে করেন, ইশতেহারে বিজ্ঞানমুখী সময়োপযোগী শিক্ষা ও নৈতিক, আদর্শিক মূল্যবোধের দীক্ষা তরুণদের আকৃষ্ট করতে পারে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোট-মহাজোট, ঐক্যফ্রন্ট, সহজোট, পাতিজোট, সহযোগী জোট, অনুসারী জোটে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ ঘটেছে। এখন রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বহু হলেও ভোটাররা কার্যত দুই জায়ান্ট শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই শিবিরে বিভক্ত। ভোটযুদ্ধ হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নৌকা আর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে। দুই বড় দলের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে মানুষ। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সাধারণত জাতীয় নির্বাচনে কয়েক মাস আগে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে থাকে। এবার নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় সেটা হয়নি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ এখনো দেখা না গেলেও এখন পর্যন্ত খবর হলো, সব দল ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। বাম দল সিপিবি ইতোমধ্যেই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। তবে সাধারণ ভোটাররা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে কী থাকছে সেটা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যে দেখা যায়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের সময় সেনাবাহিনী ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে। ওই সময় মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল আট কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৬৭ জন। বর্তমান ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রস্তুত ভোটার তালিকায় ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ২৫ লাখ ১২ হাজার ১০৫ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৭৬ জন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। পাতানো ওই নির্বাচনে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় এমপি নির্বাচিত হয়। অন্য আসনগুলোতে যে ভোট হয়েছে, তাতে দেখা যায় ভোট প্রদানের গড় হার মাত্র পাঁচ শতাংশ। মূলত ২০০৮ সালের পর ২০১৮ সাল এই ১০ বছরে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দুই কোটি ৩২ লাখ। এই বিপুল সংখ্যক তরুণ ভোটার কার্যত এবারই প্রথম ভোট প্রয়োগ করে আইনসভার জন্য নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এবার এই তরুণ ভোটারদের ভোটই ফলাফল নির্ধারণ করবে। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক তরুণ ভোটারের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এবং চিন্তা-চেতনা কি বড় দুই দল মাথায় রেখেছে? তরুণ ভোটারদের ভোট নিজেদের পক্ষে নেয়ার জন্য দুই বড় দল কী কী কর্মসূচি নিয়েছে? নির্বাচনী ইশতেহারে তারা তরুণদের জন্য কী চমক নিয়ে হাজির হবেন?
২০০৮ থেকে ২০১৮ এই ১০ বছরে মানুষের চিন্তা-চেতনায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিজ্ঞানের বদৌলতে তরুণরা এখন নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত। ফেসবুক, ব্লগ, টুইটারের মাধ্যমে তরুণরা নিজেদের মধ্যে সমাজিক যোগাযোগ গড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ‘বৃহৎ আন্দোলন’ মানুষ দেখেছে। সুশিক্ষার অভাব, বেকারত্ব এবং নৈতিকতা বিরোধী চর্চার স্রোতে বিপুল সংখ্যক তরুণ নিজেদের ভাসিয়ে দিয়েছেন। আবার লাখ লাখ তরুণ নিজেদের গড়েছেন আধুনিক প্রযুক্তির যুগের উপযোগী করে। এমনকি মাদরাসায়ও আধুনিক শিক্ষায় জোর দেয়ায় উঠতি তরুণ আলেম-ওলামাদের মধ্যে চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন এসেছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারাও চলতে অভ্যস্থ। হতাশা থেকে কিছু তরুণ মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়লেও দেশের বেশির ভাগ তরুণ-তরুণী নিজেদের আগামী গড়তে চান; বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে অভ্যস্থ হতে চাচ্ছেন। কবির মতো তরুণরাও স্বপ্ন দেখেন ‘থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে/দেখবো এবার জগতটাকে/ কেমন করে ঘুরছে মানুুষ/ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে’। ১০ বছরে ইউনিয়ন-উপজেলা-পৌরসভা তথা স্থানীয়পর্যায়ে কিছু নির্বাচনে তরুণ-তরুণীরা ভোট দিলেও সেটা দেশের সরকার ব্যবস্থা ভাঙা-গড়ায় কোনো ভ‚মিকা রাখেনি। বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণী এবার ভোট দেবেন জাতীয় নির্বাচনে ভাঙা-গড়ার খেলায়।
উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে বিভিন্ন বয়সী ভোটারদের নিয়ে যে গবেষণা হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সে ধরনের কোনো গবেষণার কর্মসূচি দেখা যায় না। তরুণদের কথা দূরে থাক; ভোটাররা কী চান সেটা জানারও প্রয়োজন মনে করে না আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। তা ছাড়া এই দীর্ঘ ১০ বছর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য বিপরীতমুখী। একপক্ষ টানা ১০ বছর ক্ষমতায়। ফলে তাদের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের তরুণরাও ক্ষমতার মোহে ছিলেন আচ্ছন্ন। পরিস্থিতি এমন যে, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতারা এখানে সেখানে যাতায়াত করেন হেলিকপ্টারে করে। দামি গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়ান বিশ্ববিদ্যালয়পড়–য়া ছাত্রনেতারা। ক্ষমতাসীন দল মাঝে মধ্যে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে কিছু জরিপ, জনমত ও গণনা করলেও প্রকৃত অর্থে তরুণদের চিন্তা-চেতনা নিয়ে তাদের কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। অন্য দিকে, ১২ বছর থেকে ক্ষমতার বাইরে থাকায় রাজনৈতিক শক্তির নেতারা কার্যত চরম বিপর্যস্ত। এমনিতে ক্ষমতার বাইরে তারপর হামলা-মামলায় জর্জড়িত দলটির বহু নেতা মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারেননি। প্রায় ২০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দেয়া হয়েছে। থানা, আদালত ও কারগারে দৌড়ঝাঁপ করতে করতে তাদের অনেকের অবস্থা কাহিল। তফসিল ঘোষণার পরও তাদের অনেক নেতাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। প্রার্থী হয়েছেন অথচ এখনো প্রকাশ্যে আসতে পারছেন না, এমন নেতার সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। মামলার পাহাড়ে বসবাস করায় বিপুল সংখ্যক তরুণ ভোটারদের চিন্তা-চেতনা-ভাবান্তর নিয়ে কোনো গবেষণাধর্মী কাজ করেছে বলে শোনা যায়নি। শুধু কী তাই! দীর্ঘ দিন রাজনীতির চর্চা না হওয়ায় তরুণরা সুস্থ রাজনীতির চর্চা করতে পারেনি। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ফলে বিপুল সংখ্যক তরুণ রয়ে গেছেন রাজনীতি স্রোতের বাইরে। তারা রাজনীতি করা এবং রাজনীতির সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করার সুযোগই পাননি। দূর থেকে রাজনীতি চর্চার চিত্রপটে যা দেখেছেন, তা হিংসা-বিদ্বেষ ও কাদা ছোড়ার সংস্কৃতি। রাজনীতি যে জনসেবার সর্বোচ্চ মাধ্যম, সেটার বদলে তরুণরা দেখেছেন রাজনীতি মানে যেন ‘হানাহানি’। রাজনীতি মানে ক্ষমতায় থাকলে যা খুশি করা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন করে কাড়িকাড়ি টাকা কামানো। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা। অন্য দিকে, বিরোধী দল মানেই হামলা-মামলার শিকার হওয়া। পুলিশি গ্রেফতার হয়ে থানা, আদালতের বারান্দায় দৌড়ঝাঁপ করা। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়া। রাজনীতি থেকে যোজন যোজন মাইল দূরের সেই তরুণ ভোটাররা এবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতীক নৌকা অথবা ধানের শীষে ভোট দেবেন। কিন্তু তাদের জন্য বড় দুই দল ইশতেহারে কী উপহার রাখছে?
জানতে চাইলে সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের মননকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। সময়োপযোগী শিক্ষা, কম্পিউটার, বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল শিক্ষার ওপর জোর দেয়া উচিত। মানসিক মূল্যবোধের শিক্ষা, কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরির অঙ্গীকার ইশতেহারে থাকা আবশ্যক। তরুণদের উন্নত মানুষ গড়তে এগুলোর বিকল্প নেই। সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, বিশ্ব শ্রমবাজারে কথা চিন্তা করে জনসম্পদকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে শিক্ষানীতিতে পরিবর্তন আনা অবশ্যক। বিজ্ঞানমুখী উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা জরুরি। দুর্নীতি কখনো অনুকরণীয় হতে পারে না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, যেনতেন প্রকারে দুর্নীতি করে অর্থ অর্জনই যেন কারো কারো জীবনের লক্ষ্য হয়ে গেছে। তরুণরা এসব দেখছে। ইউরোপের দেশগুলোতে অধিকাংশ মানুষ সততার সঙ্গে জীবন যাপন করে। সে কারণে সেখানে সততা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ উন্নত। আমাদের তরুণদের জন্য সেটাই শেখাতে হবে। নির্বাচনী ইশতেহারে এগুলো থাকা আবশ্যক। শুধু তরুণ নয়, আগামী প্রজন্মের জন্যও সেটা জরুরি। বিজ্ঞানমুখী উচ্চশিক্ষা এমনভাবে প্রণয়ন দরকার, যা দক্ষ জনশক্তি দিয়ে বিশ্বের বাজার ধরা যায়।
আসন্ন নির্বাচনের কয়েক মাস আগে স্কুল-কলেজের ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এবং বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ‘কোটা সংস্কার’ আন্দোলন মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে। স্কুল-মাদরাসার ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমে যেভাবে আন্দোলন করে জাতীয় জীবনে নাড়া দিয়েছে, তা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নিশ্চয়ই চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে। ‘ভয় পেলে তুমি শেষ/এগিয়ে গেলে তুমিই বাংলাদেশ’ বা ‘রাস্তা বন্ধ/এখানের রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে’সহ নানা স্লোগান সমাজের পরতে পরতে নাড়া দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন মেধাভিক্তিক চাকরির দাবি বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যখন নির্বাচনী ইশতেহার তৈরিতে ব্যস্ত, তখন গতকালও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা বড় দুই দলের অফিসে গিয়ে নিজেদের দাবিনামা দিয়েছে। সংসদ নির্বাচন নিয়ে তরুণদের ভাবনা রাজনৈতিক দলগুলোকে জানাতে ৪৫ দাবি সম্বলিত একটি ইশতেহার তৈরি করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা ২০১৮’ শীর্ষক ওই ইশতেহার বড় দলগুলোকে দিয়েছে। তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো- তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫, চাকরির আবেদনের ফি সম্পূর্ণ ফ্রি, শিক্ষায় জিডিপির পাঁচ ভাগ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা, প্রশ্ন ফাঁসবিরোধী সেল গঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করতে হবে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের ১০ ভাগ গবেষণায় ব্যয় ও শিক্ষক নিয়োগে ৮০ ভাগ নম্বর লিখিত পরীক্ষায় এবং ২০ ভাগ নম্বর মৌখিক পরীক্ষায় রাখতে হবে।
দেশের তরুণ ভোটাররা বেশ সচেতন। চিন্তা-চেতনায় উন্নত তরুণ ভোটারদের জন্য দুই বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনী ইশতেহারে কী নিয়ে হাজির হন, সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষা করছে মানুষ।



 

Show all comments
  • Saiful Islam ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫১ এএম says : 0
    কোটা আন্দোলন ছাত্র আন্দোলন সবাই নতুন ভোটারের আওতায় পড়ে।
    Total Reply(0) Reply
  • Kaniz Fatema ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৪ এএম says : 0
    আমি একজন ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম যখন তাদের অপকর্ম সবকিছু বুঝতে পারি তারপর আমি ছাত্রলীগ ছেড়ে আসি এবং বুঝতে পারি যে আসলে বাংলাদেশের মধ্যে যদি কোন আদর্শগত বৈশিষ্ট্য দল থাকে একমাত্র জামাত ইসলামী আছেㅣ
    Total Reply(1) Reply
    • Kamala Roy ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৭ এএম says : 4
      ,আর এ আবাল.. ,মানুষ আর এতো বোকা না !!! তোদের বুদ্ধি দেখে হাঁসি পায় |
  • Masud Parvez ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৫ এএম says : 0
    আমরা তরুণ ভোটাররা চাইনা কোটা আন্দোলনে হাতুড়ি পেটা করা ছাত্রলীগ দের আবার পেটানোর সুযোগ করে দিতে, চাইনা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মত আবার মার খেতে তাই আর BAL কে ভোট দিবনা। চাইনা মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর অন্তরে মিষ্টি তেতুল ফলানোর মতো ধর্মীয় অপকৌশল তাই আর BAL কে ভোট দিবনা। যারা তারুণ্যের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে ভোট দেবার সুযোগ পেলে কোন ভাবেই BAL দের ভোট দিবনা শপথ নিলাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Bayazid Zaman ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৮ এএম says : 0
    আওয়ামী লীগের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো -- তারা এই দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না |
    Total Reply(0) Reply
  • Shepon Hussain ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৯ এএম says : 0
    ১কোটি ২৩ লাখ ভোটারে মধ্যে ১কোটি ১৩ লাখ'ই নিরাপদ সড়ক আন্দোলন কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাথে সম্পৃক্ত। এবার তরুণদের ভোটে গণেশ উল্টপুল্টে যাবে। ইনশাআল্লাহ্
    Total Reply(1) Reply
    • MD Rubel Shepon Hussain ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০০ এএম says : 4
      গণেশ কি শুধু বিএনপির উল্টে যাবে নাকি। তরুন ভোটার কি শুধু বিম্পি কে ভোট দিবে নাকি নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ছাত্রনেতা খসরু মিয়া কে ভোট দিবে। হিসেব দেখতে হবে পল্টিবাজ দল কে ভোট দেওয়া যায় কিনা।
  • মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০১ এএম says : 0
    এবার ছাত্র আন্দোলন, কোটা আন্দোলনে, যারা হেলমেট পড়ে প্রকাশ্যে দিন দুপুরে হাতুড়ি দিয়ে আক্রমণ করেছে তাদেরকে লালকার্ড দেখাবে ইনশাল্লাহ জয় হবে ছাত্র আন্দোলনের
    Total Reply(0) Reply
  • Kaniz Fatema ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০২ এএম says : 0
    কোটা আন্দোলন,নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে তরুন ছাত্রদের উপর যে স্টীম রোলার চালানো হয়েছে তা ভুলবার নয়, কোটা আন্দোলনের নেতাদের লাশ বুড়িগঙ্গায় পাওয়া গেছে, যা নির্বাচনে এর প্রতিদান তারা পাবে। তাছাড়া আমলিগ সরকার ঘরে ঘরে যেভাবে চাকরি দিয়েছে, ঠিক সেই ভাবেই তরুনরা ভোট দিবে তাদের :প
    Total Reply(0) Reply
  • Al Nayeem ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৩ এএম says : 0
    নিরাপদ সড়ক আর কোটা আন্দোলনের নির্যাতনের বিচার হবে ব্যালটে!!!আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দিব ভোট চোররা নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Bellal Hossain ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৩ এএম says : 0
    এবার জাতীয় নির্বাচনে তরুন প্রজন্মের শ্লোগান হোক, আমার ভোট আমি দিব। দেখে শুনে শিক্ষিত, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে দিব।
    Total Reply(0) Reply
  • Nishan Khan ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৩ এএম says : 1
    দুর্নীতি সব সরকারের সময় হয় এটা স্বীকার করতে হবে।।। কিন্তু আওয়ামীলীগ যে উন্নয়ন করে জনমত নিয়েছে।। আপনাদের সময় কি উন্নয়ন করেছেন??? তরুণ সমাজ বিএনপি কে ভোট দিবে না
    Total Reply(0) Reply
  • Shobuj Biswas ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৫ এএম says : 0
    আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার (কোটা + নিরাপদ সড়ক + বি.ডি.আর বিদ্রোহ + শাপলা চত্বর) নতুন ভোটার
    Total Reply(0) Reply
  • Md Emon Sha ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৫ এএম says : 0
    আমার ভেট হবে গনতন্ত্র হত্তাকারি, মানুষের অধিকার হত্তাকারি, গুম, খুন, চোর, ব্যাংক ডাকাত, লুন্ঠন কারি, কোটা বিরোধী কারি, আইনের শাষন হত্তাকারির বিরুদ্ধে।
    Total Reply(0) Reply
  • Apurbo Ahmed Jewel ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৬ এএম says : 0
    জীবনে প্রথম ভোট কাকে দিবো ভাবছি? হাসিনাকে কেন ভোট দিবো? সে কি এমন করছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ