পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি প্রতিষ্ঠার চার দশকে দল হিসেবে যেকটি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তার সবকটিতেই ছিল জিয়াউর রহমান বা বেগম খালেদা জিয়া পরিবারের অংশগ্রহণ। চার দশক পর এবারই তার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া হয়েছিল বেগম জিয়ার নামে। কারাদন্ড হওয়ায় তার তিনটি আসনের মনোনয়ন ফরমের সবকটিই বাতিল করা হয়েছে। তার পক্ষ থেকে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ এই তিনটি আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া হয়েছিল। তার এসব মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণার পর জিয়াউর রহমান ও বেগম জিয়ার পরিবারবিহীন একটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেছে বিএনপির।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি। ওই নির্বাচনে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর ভাই সাঈদ ইস্কান্দার প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে সরকারও গঠন করে বিএনপি। খালেদা জিয়া হয়েছিলেন সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, একই বছরের ১২ জুন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রতিটি নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়াসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণ ছিল। এসব নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে বেগম খালেদা জিয়া সবকটি আসনেই জয়লাভ করেন। এছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়াও নির্বাচন পরিচালনার সাথে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকতেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন পরিচালনায় সরাসরি ভূমিকায় ছিলেন।
২০০৮ সালের পর ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ১০ বছর পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এই নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার কথা উল্লেখ করে ফেনীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদ উজ জামান ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। মামলায় সাজার বিষয়টি উল্লেখ করে বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। এই নির্বাচনে তাদের পরিবারের একমাত্র সদস্য হিসেবে তিনিই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
কারণ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় সাজাও দিয়েছে আদালত। সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকায় তার দেশে ফেরারও সম্ভবনা নেই বললেই চলে। তারেক রহমানের সহধর্মিণী জোবায়দা রহমানও বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। যদিও জোবায়দা রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়ে বিএনপির ভেতরে বিভিন্ন গুঞ্জন চলছিল, কিন্তু পাসপোর্ট না থাকার কারণে তারও দেশে ফেরার সম্ভাবনা কম।
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। শর্মিলা তাঁর দুই মেয়ে নিয়ে বিদেশেই থাকেন। এবারের নির্বাচনে শর্মিলা রহমান কোনো আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি।
জিয়াউর রহমানের পরিবারেরও কোন সদস্য এবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেনি। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ ইস্কান্দার মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দারও রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় নন। ছোটভাই শামীম ইস্কান্দারও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি।
নীলফামারী-১ আসন থেকে এবার ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন খালেদা জিয়ার ছোট বোন সেলিনা ইসলামের স্বামী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। খালেদা জিয়ার বড় বোন মরহুম খুরশিদ জাহান চকলেটের ছেলে শাহরিয়ার রহমান বর্তমানে রাজনীতিতে সক্রিয় নন। ফলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে কিন্তু জিয়াউর রহমান বা খালেদা জিয়ার পরিবারের কোন সদস্যের অনুপস্থিতি ঘটতে যাচ্ছে এবারই প্রথম। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।