Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলতি বছর রিটার্ন দাখিল হবে ২২-২৪ লাখ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবি আর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, চলতি অর্থবছরে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ থেকে ২৪ লাখ হতে পারে। তিনি জানান, রিটার্ন দাখিল থেকে আয়কর আদায় হবে ৫ হাজার কোটি টাকা। গত বছর ৪ হাজার কোটি টাকার কর আদায় হয়েছিল। গত রোববার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব তথ্য জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নিয়ম অনুসারে ৩০ নভেম্বর রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ছিল। কিন্তু এদিন শুক্রবার হওয়ায় ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তিনি বলেন, আয়কর মেলায় যে রকম সাড়া পড়েছিল, এবার নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন দাখিলেও এনবিআরের অফিসগুলোতে ব্যাপক সাড়া পড়ে। ফলে গতবারের চেয়ে অন্তত ৪০ শতাংশ রিটার্নধারীর সংখ্যা বাড়বে এবার। গতবার ১৮ লাখ ব্যক্তি রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। এবার তা বেড়ে ২২-২৪ লাখ জমা পড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। আর তাতে ৫ হাজার কোটি টাকার কর আদায় হবে বলেও মন্তব্য করেন। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘কারা রিটার্ন দেন না, এনবিআরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ প্রচারণার কারণে রিটার্ন দাখিলকারীদের সংখ্যা বাড়ছে।’ কোম্পানি ব্যতীত অন্যসব করদাতার জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল শেষ হয় ২ ডিসেম্বর। নির্ধারিত শেষ সময় ৩০ নভেম্বর হলেও করদাতাদের সুবিধার্থে রিটার্ন দাখিলের সময় দুই দিন বৃদ্ধি করা হয়। আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিনে অনেকটা করবান্ধব পরিবেশে কর উৎসব চলে। এরই মধ্যে এ বছর ইটিআইএনধারীদের সংখ্যা ৩৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৪ সালে এর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ। অর্থাৎ মাত্র চার বছরে করদাতা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। অন্যদিকে প্রকৃত কর আদায় ১০ বছরে পাঁচ গুণ বেড়েছে। এনবিআরের লক্ষ্য করদাতা এক কোটিতে উন্নীত করা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে জরিমানা ও বিলম্ব সুদ আরোপযোগ্য হবে। রিটার্ন দাখিলে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে এমন কেউ রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে কর আইন ভঙ্গ হবে।
১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ ১২৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো করদাতা যদি কোনো কারণ ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ে রিটার্ন দাখিল না করেন, আবার এজন্য অনুমোদনও না নেন, সেজন্য তার পূর্ববর্তী বছর প্রদেয় করের ১০ শতাংশ বা এক হাজার টাকার মধ্যে যেটি বড় অংক-ওই পরিমাণ অর্থ জরিমানা হবে। সেই সঙ্গে যতদিন দেরি হবে, প্রতিদিনের জন্য ৫০ টাকা হারে বাড়তি জারিমানা গুণতে হবে। এমনকি এক বছর পর্যন্ত জেল অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় শাস্তির বিধান রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিটার্ন

৫ আগস্ট, ২০২২
২ ডিসেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ