Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৭৮৬ মনোনয়ন বাতিল

বৈধ ২২৭৯, আপিল আজ থেকে বুধবার, শুনানি ৬-৮ ডিসেম্বর

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে সারাদেশের ৭৮৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঋণখেলাপি, মনোনয়নপত্র অসম্পূর্ণসহ নানা কারণে এসব বাতিল করা হয়। তবে বিএনপি অভিযোগ করেছে, দলটির মহাসচিবের স্বাক্ষর ভুয়া অভিযোগ তুলে মানিকগঞ্জ জেলার সব আসনের বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বেগম খালেদা জিয়া, আবদুল কাদের সিদ্দিকী, রেজা কিবরিয়া, গোলাম মাওলা রনি, রুহুল আমিন হাওলাদার,বিএনপির প্রার্থী আমান উল্লাহ আমান, মীর মো. নাছির উদ্দিন ও তাঁর ছেলে মীর মো. হেলাল উদ্দিনসহ অনেক প্রভাবশালী ও জাঁদরেল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে তিনশ’ আসনে দুই হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তিন হাজার ৫৬ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। গতকাল সারাদেশে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাদ পড়া প্রার্থীরা আপিল করতে পারবেন। ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা আপিল করতে পারবেন। এসব আপত্তি ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে কমিশন। ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাছাইয়ের পর যাদের আবেদন অবৈধ বা বাতিল হয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। এ ছাড়া যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনই আপিল কর্তৃপক্ষের ভ‚মিকা পালন করবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কেউ প্রত্যাশিত ফল না পেলে তিনি আদালতেও যেতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বিগত সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় ১৫৪ জন নির্বাচিত হলেও এবার কোনো আসনেই একক প্রার্থী নেই। এবার ৩৫টি আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। ২৬৫টি আসনে এক বা একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। সর্বোচ্চ বাতিল হয়েছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে। এখানে জমা পড়েছিল ২৩ মনোনয়নপত্র। ১৩টি বাতিল করা হয়েছে। যে ৩৫টি আসনে কারো মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি, ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, জয়পুরহাট-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, নওগাঁ-২, নাটোর-৩, পাবনা-২ ও ৪, কুষ্টিয়া-৩, বাগেরহাট-৩, খুলনা-১, ৩, ৪, ৫, সাতক্ষীরা-৩, পটুয়াখালী-৪, ভোলা-৩, বরিশাল-৪ ও ৫, পিরোজপুর-২, টাঙ্গাইল-২, ৫, জামালপুর-২, নেত্রকোনা-৩, ঢাকা-১২ ও ১৩, নরসিংদী-৪, গোপালগঞ্জ-২, মৌলভীবাজার-৪, কুমিল্লা-৭, চাঁদপুর-৩, ফেনী-২, নোয়াখালী-৫, লক্ষীপুর-৩, কক্সবাজার-১। যেসব আসনে ছয়টির বেশি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে- ঢাকা-১৭ আসনে ২৭টির মধ্যে ১১টি বাতিল হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনে ১৪টির মধ্যে ১০টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ২৭টির মধ্যে ১১টি বাতিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ১৬টির মধ্যে ১০টি বাতিল, কুমিল্লা-৩ আসনে ২৭টির মধ্যে ১০টি বাতিল হয়েছে। বগুড়া-৭ আসনে ১৪টির মধ্যে সাতটি বাতিল, রাজশাহী-১ আসনে ১২টি মধ্যে আটটি বাতিল, যশোহর-২ আসনে ১৫টির মধ্যে সাতটি বাতিল, ময়মনসিংহ-৩ আসনে ১৭টির মধ্যে ১০টি বাতিল, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ১০টির মধ্যে সাতটি বাতিল, ঢাকা-৮ আসনে ২২টির মধ্যে সাতটি বাতিল।
ইসি জানায়, রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা কারো মনোনয়নপত্র বাতিল করলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপিল করতে পারবেন। আপিল করতে হবে ইসির কাছে। আজ সোমবার থেকে ৫ ডিসেম্বর বুধবারের মধ্যে ইসিতে অভিযোগ করতে পারবেন। ৬-৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিলগুলোর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি। যাচাই-বাছাইেয়র সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বৈধ বা অবৈধ ঘোষণা করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মনোপুত না হলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অর্থাৎ বিরুদ্ধে অভিযোগ বা আপিল করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে সাদা কাগজে আবেদনের করে তথ্য-প্রমাণসহ ইসিতে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন-
ঢাকা-১ আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এই আসনে বিএনপির দুই প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক ও ফাহিমা হোসাইন জুবলীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। খন্দকার আবু আশফাক-এর উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করার কাগজপত্র জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে না পোঁছার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতার কারণে অপর বিএনপির প্রার্থী ফাহিমা হোসাইন জুবলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া জাকের পার্টির মো. সামসুদ্দিন আহম্মেদ, জাসদের আইয়ুব খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
আর আওয়ামী লীগের সালমান এফ রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের মো. কামাল হোসেন, কমিউনিস্ট পার্টির আবিদ হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সেকান্দার হোসেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মো. করম আলী এবং বিকল্পধারার মো. জালাল উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা-২ আসনে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এদের মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির প্রার্থী আমান উল্লাহ আমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মারুফ খান, বাংলাদেশ মুসলীম লীগের সৈয়দ মইনুদ্দিন রিপন ও কমিউনিস্ট পার্টির সুকান্ত শফি চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বিএনপির প্রার্থী আমান উল্লাহ আমানের ছেলে ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি, গণফোরামের মোস্তফা মহসীন মন্টু, ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ মাওলানা মো. জহিরুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির মো. শাকিল আহমেদ শাকিলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা-৩ আসনে সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে গণফোরামের মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টু, ইসলামী আন্দোলনের সুলতান আহমেদ খান, জাতীয় পার্টির মো. মনির হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এই আসন থেকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা-৭ আসনে ১৯ জনের মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তার হলেন- বিএনপি প্রার্থী নাসিমা আক্তার কল্পনা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোতালেব ও মাসুদুর রহমান খোকন, আওয়ামী লীগের মো. নাজমুল হক। প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম।
ঢাকা-৮ আসনে সাতজনের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং একজনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন, জাতীয় পার্টি মাহমুদা রহমান মুন্নী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এস এম সরওয়ার, জগদীশ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির আরিফুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.মাদুল হাসান ও রহমত উল্লাহ। ঢাকা-৯ আসনে বিএনপি প্রর্থী আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণ খেলাপি হিসেবে তার প্রার্থিতা স্থগিত করেন। তখন প্রার্থী দুই ঘণ্টা সময় চান। ওই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোনও ধরনের কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার।
ঢাকা-১০ আসনে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। গণফোরামের প্রার্থী খন্দকার ফরিদুর আকবর। ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির হেলাল উদ্দিনের মনোনয়নপত্র স্থগিত রাখা হয়েছে। ঢাকা-১১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঢাকা-১২ আসনে আটটি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঢাকা-১৩ আসনে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা-১৪ আসনে ১৩টি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হলেন- বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের শাহাজাদা সাইফুদ্দিন, আজমীরা সুলতানা (জামানত দেননি), বিএনপির সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক (ঋণখেলাপি), জাকের পার্টির কায়সার হামিদ (ঋণখেলাপি) ও জাকির হোসেন।
ঢাকা-১৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৬ জন। তিন জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। ঋণখেলাপির অভিযোগে মো. মুকুল আমিন (জাপা) এবং মনোনয়নপত্রে ভোটারদের ভুয়া স্বাক্ষরের কারণে মো. সলিমুদ্দিন (স্বতন্ত্র) ও আব্দুর রহিমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঢাকা-১৬ আসনে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন- গণফোরামের খন্দকার ফরিদুল আকবর (ঋণখেলাপি), বিএনপির এ কে মোয়াজ্জেম হোসেন (ঋণখেলাপি), জাতীয় পার্টির আমানত হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসমাইল হোসেন (ভুয়া ভোটারের স্বাক্ষর)। ঢাকা-১৭ আসনে ২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে দুইজনের স্থগিত ও ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র স্থগিত হয়েছে তারা হলেন- জেএসডির নজরুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের আকবর হোসেন পাঠান (চিত্রনায়ক ফারুক)। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র যাদের বাতিল হয়েছে তারা হলেন- ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা (মনোনয়ন ফরমে নিজ দলের নাম বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কোনোটিই উল্লেখ নাই), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাসির (ভুয়া ভোটারের স্বাক্ষর), বিকল্প ধারার আরিফুল হক (ঋণখেলাপি), স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনামুল হক (ঋণখেলাপি), বিএনপির শওকত আজিজ (লঙ্কা-বাংলা ও জনতা ব্যাংকের কাছে ঋণখেলাপি)। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী লেলিন চৌধুরী, মেজর (অব.) মামুনুর রশীদ (ভুয়া ভোটারের স্বাক্ষর), আনিসুজ্জামান খোকন, মো. আব্দুর রহিম, (ভুয়া ভোটারের স্বাক্ষর) ও শামসুল হুদা চৌধুরী (ভুয়া ভোটারের স্বাক্ষর) আওয়ামী লীগের রুবেল আজীজের (ঋণখেলাপি) মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ঢাকা-২০ আসনে ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. তমিজ উদ্দিন ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি সুলতানা আহম্মেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. অহিদুজ্জামান। স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূর আহম্মদ মজুমদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল বশিরের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। আদালতের আদেশে দন্ডিত হয়ে কারাগারে সাজা খাটায় খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে বগুড়া ৬ ও ৭ আসনেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছেন বগুড়ার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়েজ আহাম্মদ। টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৮ আসনে ঋণখেলাপির অভিযোগে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। গোপালগঞ্জ-১ আসনে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুল আলম খান চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। দাখিল করা ভোটারদের স্বাক্ষর ঠিক না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বাতিল হয়েছে বিএনপির প্রার্থী এস এম জিলানী ও জাতীয় পার্টির এ জেড এম অপু শেখের মনোনয়নপত্র। যথাযথ কাগজপত্র ও স্বাক্ষর না থাকায় বাতিলদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পটুয়াখালী-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী। এ ছাড়া এ আসনে বিএনপি মনোনীত অপর প্রার্থী মো. শাহজাহান খান ঋণখেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। তবে বিএনপি থেকে মনোনীত অপর প্রার্থী হাসান মামুনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ঋণখেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী সেলিম ভূঁইয়ার মনোনয়নও বাতিল করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সেলিম ভূঁইয়া ঋণখেলাপি। এ আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৩ জন। ৯ জনের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে দেয়া পদত্যাগপত্র জমা দিলেও গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কুড়িগ্রাম-৪ আসন (রাজিবপুর, রৌমারী ও চিলমারী উপজেলা) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের তোলা মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের মনোনয়ন বাতিল করেছে ঢাকা জেলা রিটার্নিং কার্যালয়। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় ঋণখেলাপির অভিযোগে মির্জা আব্বাসের স্ত্রীর মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। পরে বিকেলে আফরোজা আব্বাসের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম। পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি উপজেলা) আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী এ মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোরের ৬টি আসনে দাখিলকৃত ৬৬জন প্রার্থীর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ২৬জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, যশোর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা আজীজুর রহমান ও জাকের পার্টির সাজেদুর রহমান, যশোর-২ আসনে বিএনপির সাবিরা নাজমুল মুন্নী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ মহিদুল ইসলাম, এবিএম আহসানুল হক, ইসলামী ঐক্যজোটের (নেজামী) শহিদুল ইসলাম ইনসাফী, বিএনএফের আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জাতীয় পার্টির ফিরোজ শাহ, গণফোরামের মেজর (অব.) আসাদুজ্জামান, যশোর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, বিকল্পধারার মারুফ হাসান কাজল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মফিজুল আলম, জেএসডির বিপ্লব আজাদ, বিএনএফের প্রশান্ত বিশ্বাস, যশোর-৪ আসনে বিকল্পধারার নাজিমউদ্দিন আল আজাদ, এনপিপির মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জাকের পার্টির লিটন মোল্লা, যশোর-৫ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ইবাদুল ইসলাম খালাসী, জাকের পার্টির রবিউল ইসলাম, স্বতন্ত্র মোহাম্মদ মুসা, জাগপার নিজামুদ্দিন অমিত, স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান বারি, যশোর-৬ আসনে জাকের পার্টির প্রভাষক সাইদুজ্জামান, স্বতন্ত্র নূরুল ইসলাম, বিএনএফের প্রশান্ত বিশ্বাস এবং স্বতন্ত্র শাহীন চাকলাদার।স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারসহ মোট ২৬জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে বিএনপির তিন গুরুত্বপূর্ন নেতাসহ ২৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ২৩ প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের নাদিম মোস্তফা ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের আবু সাঈদ চাঁদ। অন্যান্যদের মধ্যে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, রাজশাহী-১ আসনের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও রাজশাহী-৩ আসনের মাজেদুর রহমান, রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেন, বাসদের আলফাজ হোসেন, স্বতন্ত্র সুজা উদ্দিন, শহিদুল করিম শিবলী, সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস ও সাইদুর রহমান, রাজশাহী-২ আসনে এনপিপির সাইফুল ইসলাম স্বপন ও স্বতন্ত্র মাসুদ রানা, রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপির মতিউর রহমান মন্টু, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী মেরাজ উদ্দিন মোল্লা ও স্বতন্ত্র আরেক প্রার্থী আতিকুর রহমান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির আবদুল গফুর ও যুক্তফ্রন্টের সরদার মোহাম্মদ সিরাজুল করিম, রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির আবু বকর সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের ওবায়দুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রুহুল আমিন এবং রাজশাহী-৬ আসনের বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোয়নপত্র বাতিল হওয়া তিন প্রার্থী হচ্ছেন- বরিশাল- ২ আসনে (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহ আলম মিয়া, বরিশাল- ৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে ঐক্য ন্যাপের প্রার্থী মাস্টার নুরুল ইসলাম, বরিশাল- ৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান গনি।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনার ৬টি আসনে ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বাতিলকৃতরা হলেন, খুলনা-২ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এরশাদুজ্জামান ডলার, খুলনা-৬ আসনে থেকে জেলা বিএনপি’র সভাপতি এসএম শফিকুল আলম মনা, সতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের এবং সুব্রত কুমার বাইন।
ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, ময়মনসিংহের ১১ টি আসনে ১১৬ জন প্রার্থীর মধ্যে দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়া অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন- ময়মনসিংহ-১ আসনে মো. আনোয়ার হোসেন (আ.লীগের বিদ্রোহী), ময়মনসিংহ-২ আসনে এমদাদুল হক খান (জাতীয় পার্টি), আবু বকর সিদ্দিক (স্বতন্ত্র), আবুল বাশার আকন্দ (বিএনপি), ময়মনসিংহ-৩ আসনে আহাম্মদ তায়েবুর রহমান (বিএনপি), আব্দুল মতিন (ন্যাপ), আলী আহাম্মদ খান পাঠান (আ.লীগের বিদ্রোহী), নাজনীন আলম (আ.লীগের বিদ্রোহী), শরীফ হাসান (আ.লীগের বিদ্রোহী), মুর্শেদুজ্জামান সেলিম (আ.লীগের বিদ্রোহী), একেএম আব্দুর রফিক (আ.লীগের বিদ্রোহী), মো. মতিউর রহমান (আ.লীগের বিদ্রোহী), সামীউল আলম (আ.লীগের বিদ্রোহী), গোলাম মোস্তফা (আ.লীগের বিদ্রোহী), ময়মনসিংহ-৪ আসনে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন (বিএনপি) কামরুল ইসলাম মো. ওয়ালিদ (বিএনপি), আবু সাঈদ মহিউদ্দিন (মুসলিম লীগ), ময়মনসিংহ-৫ আসনে জহিরুল ইসলাম (জাকের পার্টি), সোহেল মিয়া (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), মো. আমজাদ হোসেন (খেলাফত আন্দোলন)। ময়মনসিংহ-৬ আসনে চৌধুরী মো. ইসহাক (জেএসডি), ময়মনসিংহ-৭ আসনে জয়নাল আবেদীন, উপজেলা চেয়ারম্যান, বিএনপি, এমএ আব্দুর রাজ্জাক খান (স্বতন্ত্র)। ময়মনসিংহ ৮ আসনে এম এ বাশার (এলডিপি), রুহুল আমিন, (বিএনপির বিদ্রোহী) মো. হাবিবুল্লাহ, (ইসলামি আন্দোলন), মাহমুদ হাসান সুমন (স্বতন্ত্র)। ময়মনসিংহ-৯ আসনে মো. আব্দুল কাদির (স্বতন্ত্র) আলমগীর কবির (কৃষক শ্রমিক জনতালীগ), মো. শহিদুল্লাহ (স্বতন্ত্র), ময়মনসিংহ-১০ আসনে ওবায়দুল্লাহ আনোয়ার বুলবুল (আ›লীগ বিদ্রোহী), মজিবুর রহমান (জাতীয় পার্টি), হাবিবুল্লাহ বেলালী (স্বতন্ত্র), ময়মনসিংহ-১১ আসনে এসএম আশরাফুল হক (স্বতন্ত্র), মো. আমানউল্লাহ সরকার (ইসলামি আন্দোলন)।
বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে জানান, কক্সবাজার জেলার চারটি আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীসহ ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে বিভিন্ন অভিযোগে কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু) আসনের বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল, কক্সবাজার-০২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদের মনোনয়নের বৈধতা ঘোষণা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন, কক্সবাজার-০২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মোহিব্বুল্লাহ, মহেশখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু) আসনে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও কক্সবাজার-০৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেটের ৬টি সংসদীয় আসনে ১৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল তালিকায় রয়েছেন, সিলেট-১ (সিটি করপোরেশন-সদর) আসনের বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. আনোয়ার উদ্দিন, সিলেট-২ (ওসমানী নগর-বিশ্বনাথ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. এনামূল হক সরদার, মুহিবুর রহমান ও আবদুর রব, সিলেট-৩ আসনে (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) স্বতন্ত্র প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও আব্দুল ওয়াদুদ, বিএনপির প্রার্থী আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর) আসনে ইসমাইল আলী আশিক, সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে বর্তমান সাংসদ জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী এম এ মতিন চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের নূরুল আমিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আহমদ আল স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল মুনীর, সিলেট-৬ আসনে (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানিবাজার) জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন।
দিনাজপুর অফিস জানায়, দিনাজপুরের ৬টি আসনে ১১ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এরমধ্যে দিনাজপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রঞ্জিত মুরমু ও পারভেজ হোসেন, বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ হানিফ ও মামুনুর রশিদ চৌধুরী, দিনাজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মানবেন্দ্র রায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসেন, দিনাজপুর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী রাইসুল ইসলাম, দিনাজপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ আলী, দিনাজপুর-৬ আসনে বিএনপি প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে জানান, নরসিংদীর পাঁচটি আসনে মোট ৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী-১ (সদর) আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা মো. ইসহাক, নরসিংদী-২ (পলাশ ও সদরের একাংশ) আসনে জাসদের প্রার্থী জায়েদুল কবির, ১% ভোটারের সমর্থন তালিকায় ভূয়া স্বাক্ষর থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতামাশ কবির, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মহসিন আলী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন, নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. দুলাল মিয়া, নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অহিদুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, পাবনায় ৪জনের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন, পাবনা-১ আসনের বিএনপি’র সালাহ উদ্দিন, পাবনা-৩ আসনের দুই ভাই হাসানুল ইসলাম রাজা ও হাসাদুল ইসলাম হীরা (বিএনপি) এবং পাবনা-৫ সদর আসনে খোলফত আন্দোলনের ডা: ইসমাইল হোসেন।
সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের বিএম নজরুল ইসলাম, ন্যাপের মো. হায়দার আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মুজিবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম ইসলাম, সাতক্ষীরা-২ আসনে জেএসডির আফসার আলী ও সাতক্ষীরা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
মো. কাউছার লক্ষীপুর ও হারুনুর রশিদ রায়পুর থেকে জানান, লক্ষীপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স জোটের (জাকের পার্টি) লায়ন এমএ আউয়ালসহ ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাতিলকৃত অন্যরা হচ্ছেন, ১ আসন থেকে স্বতন্ত্র মাহাবুল আলম, ২ আসনে জামায়াতের আমীর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন ভূইয়া, ফয়েজ ভূইয়া, ৪ আসনে আবদুল মতিন চৌধুরী ও খালেদ সাইফুল্লাহ।
বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুরে ৫টি নির্বাচনী আসনে ৮ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন জেলা রিটানিং কর্মকর্তা। চাঁদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার মোশারফ হোসেন, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খায়রুর হাসান, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী লায়ন হারুনুর রশিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও আবু জাফর মো. ছালেহ , বিএনপি প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন নসু, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি) আসনে এলডিপি প্রার্থী নেয়ামুল বশির ও জাতীয় পার্টির খোরশেদ আলম খুশুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েরেছ।
সাদিক মামুন,ও মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল কুমিল্লা থেকে জানান, কুমিল্লার ১১টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনের ৩৬ জনের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা-১ দাউদকান্দি-মেঘনা আসনে ৩, কুমিল্লা-২ হোমনা-তিতাস আসনে ৫জন, কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনে ১০, কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার আসনে ৫, কুমিল্লা-৫ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া আসনে ৪ এবং কুমিল্লা-৬ সদর আসনে ১, কুমিল্লা-৮ বরুড়া আসনে ১, কুমিল্লা-৯ লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসনে ৩, কুমিল্লা-১০ নাঙ্গলকোট আসনে ৩, কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনে একজন। তবে ২জনের মনোনয়ন বৈধতা স্থগিত রাখা হয়েছে। কুমিল্লা-৩ আসনে মনোনয়ন বাতিল হওয়া বিএনপি প্রার্থী কেএম মুজিবুল হক অভিযোগ করেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেয়া নথি থেকে তার আয়করের কাগজপত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। নথিতে জমা দেয়ার রেকর্ড তার কাছে আছে। ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় তার কর্মী-সমর্থকরা কাগজপত্র গায়েব করার আশংকায় সকল কাগজপত্রের স্থিরচিত্র এবং ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে রেখেছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুণের পিতার নামে গরমিল থাকা সত্তে¡ও চ্যালেঞ্জ করার পরও তা বৈধতা দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, কুষ্টিয়ার ৪টি আসনে ৯টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিলকৃতরা হলেন, কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ, বাদল) এর প্রার্থী রেজাউল হক, মুসলীম লীগ প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকার, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুল গফুর ও বশির আহমেদ, কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বর্তমান এমপি আব্দুর রউফ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মেহেদী হাসান, জাকের পার্টির তসির উদ্দিন ও সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ প্রার্থী রোকনুজ্জামান রোকনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরের ৩টি আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে বিএনপির এক প্রার্থীসহ ৭ জন প্রার্থী। মাদারীপুর ১ আসনে ম বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নাদিরা মিঠু, জাতীয় পার্টি মনোনীত জহিরুল ইসলাম মিন্টু, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশে’র হাফেজ আবু জাফর ও জাকের পার্টির শাহ নেওয়াজ মাদারীপুর ২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আল-আমীন মোল্লা ও এমএ কাদের মোল্লা, মাদারীপুর ৩ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত এমএ খালেকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এস এম উমেদ আলী, মৌলভীবাজার থেকে জানান, মৌলভীবাজারের চারটি আসনে
যাচাই-বাছাই শেষে যাদের মনোনয়ন বাতিল হয় তারা হলেন, মৌলভীবাজার-১ আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী ও জামাত নেতা (সতন্ত্র) মাওলানা আমিনুল ইসলাম। মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) থেকে মুহিবুল কাদের চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ আসন থেকে বিএনএফ থেকে আশা বিশ্বাস, সতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল মছব্বির।
হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, হবিগঞ্জ-১ আসনে (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনে গণফোরাম মনোনীত প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী সংরক্ষিত আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের জুবায়ের আহমেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, ইসলামী আন্দোলনের আবু হানিফ আহমদ হোসেন, ইসলামিক ফ্রন্টের বদরুররেজা রেজা সেলিম, হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী জাকির হোসন, হবিগঞ্জ-৩ আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল কাদের, ইসলামিক ফ্রন্টের আতাউর রহমান, হবিগঞ্জ ৪ আসনে জাকের পার্টির আনসারুল হক, ইসলামিক ফ্রন্টের মো আব্দুল মুমিন ও ইসলামি ফ্রন্টের মাওলানা সুলাইমান খান রব্বানী মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, জয়পুরহাট-১ আসন থেকে বিএনপি মনোনীত তিন জন প্রার্থীর মধ্যে ফজলুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলেয়া বেগমের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
মু. আব্দুর রশীদ, ঝালকাঠি থেকে জানান, ঝালকাঠির দুটি আসনে ২১ জন প্রার্থীর মধ্যে সাত জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঝালকাঠি-১ আসনে সতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির, শাহ জামাল শামীম, ইয়াসমিন আক্তার পপি, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, নূরুল ইসলাম মুকুল মৃধা এবং মাওলানা ফয়েজুল হক, ঝালকাঠি-২ আসনে গণফোরামের প্রার্থী জাহান শাহ কবির পারভেজের ম মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনে আব্দুল ওহাব (বিএনপি) ও আবু বকর (সতন্ত্র), ঝিনাইদহ-২ আসনে মসিউর রহমান (বিএনপি), আব্দুল মজিদ (বিএনপি), আবু তালেব সেলিম (জাকের পার্টি), ইউসুফ পারভেজ (সতন্ত্র), মীর রবিউল ইসলাম (সতন্ত্র), ঝিনাইদহ ৩ আসনে ইসমাইল হোসেন (বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট পার্টি), কামরুজ্জামান স্বাধীন (জাতীয় পার্টি), ঝিনাইদহ-৪ আসনে ফনি ভূষণ রায় (সিপিবি), মো: ওয়াদুদুর রহমান (বিএনএফ), কামরুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), জহুরুল ইসলাম (সতন্ত্র) ও আব্দুল মান্নানের (আওয়ামী লীগ) মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ।
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসনে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা রিটানিং অফিসার। বাগেরহাট - ১ আসনে জাতীয় পার্টির এসএম আল জোবায়ের, বাগেরহাট-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, বাগেরহাট- ৪ আসনে এনপিপি’র প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম খাঁনের মনোয়নয়পত্র বাতিল হয়েছে।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলার ৪টি আসনের মধ্যে ভোলা-১ আসনে বিনপির প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর, ভোলা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবির, ভোলা-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এ মান্নান হাওলাদারের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-১ নাসিরনগরে ২ জন, ব্রাহ্মনবাড়িয়া-২ সরাইল-আশুগঞ্জ ১১ জন, ব্রাহ্মনবাড়িয়া-৩ সদর-বিজয়নগরে ১&l



 

Show all comments
  • Sanjoy Sanjoy ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৮ এএম says : 0
    786. akti gurutopurno nambar.
    Total Reply(0) Reply
  • Eman Ali ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১০ এএম says : 0
    আওয়ামীলীগের রাস্তা পরিস্কার
    Total Reply(0) Reply
  • রাজন চৌধুরী ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১০ এএম says : 0
    খালেদা জিয়া মানেই তো বাংলাদেশ। খালেদা জিয়া জনতার মা বন্দী রাখতে পারবি না।
    Total Reply(0) Reply
  • mohammad rahman ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১৪ এএম says : 0
    সাজানো বাগানের ফুল ফুটিতেছে - প্রথমেই ৫০টি সিট কনফার্ম করে দেয়া হল - এ র পর পুলিশ কনফার্ম করে দিবে ১০০টি সিট - বাকি আসন নিজ গুনে পাবে আওয়ামি লীগ
    Total Reply(0) Reply
  • Md Harun Ar Rashid ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১৬ এএম says : 0
    ২২৭৯ জনের মধ্যে একটা কাউয়াও আছে।। ইতিহাসে এই প্রথম কোন মেথর জাত পাখি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে! নাম বললে চাকরি থাকবে না
    Total Reply(0) Reply
  • Mukto Mon ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১৭ এএম says : 0
    সব আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন পত্র বাতিল। আফরোজা আব্বাসের মনোনয়ন পত্র বাতিল। চট্টগ্রামে আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন পত্র বাতিল। সাদেক হোসেন খোকার ছেলের মনোনয়ন পত্র বাতিল। রেজা কিবরিয়ার মনোনয়ন পত্র বাতিল। কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন পত্র বাতিল। মোর্শেদ খানের মনোনয়ন পত্র বাতিল। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও ভাতিজার মনোনয়নপত্র বাতিল। এইরকম আরো অনেক বিএনপি নেতাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে 'ঋণখেলাপি' হবার কারন দেখিয়ে। এমনও হয়েছে যে ক্রেডিট কার্ডের ইয়ারলি ফি (এভারেজে ৫ হাজার টাকা হবে) কে 'ঋণ' দেখিয়েও মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে! (রেজা কিবরিয়া) তবে সালমান এফ রহমানের প্রার্থিতা টিকে আছে। উনি ঋণখেলাপি নন, ৪৫৪৩ কোটি টাকার ঋণ নাই। উনি অত্যন্ত দরিদ্র ব্যক্তি... ছোটবেলায় পড়া চাষী গনি মিয়া - যার নিজের বাড়ি নাই-গাড়ি নাই, নিজের জমি নাই, অন্যের জমিতে (পড়ুন জনগনের আমানতের টাকায়) চাষ করেন। এছাড়াও মনোনয়ন যুদ্ধে টিকে আছে বিগত ১০ বছরে ব্যাংকিং সেক্টর লুটে খাওয়া সব আওয়ামী নেতার মনোনয়ন, টিকে আছে ১০ বছরে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বানানো সব সরকারী লোকের মনোনয়ন... আছে সকল রাজনীতিবিদ যারা কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন 'মাছচাষ' করে, যাদের স্ত্রীরা কিছু না করেও খোদায়ী উপার্জনে 'দরিদ্র' রাজনীতিবিদ স্বামীকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন ! ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মায়া চৌধুরীর মনোনয়ন বৈধ! কিন্তু খালেদা জিয়া মনোনয়ন বাতিল! ইভেন মায়ার বিরুদ্ধে ১১ বছর আগের মামলা থেকেও খালাস দিয়েছে!! মায়া কি ভিনগ্রহের মাল???
    Total Reply(0) Reply
  • জসীম উদ্দীন ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:১৮ এএম says : 0
    আমি অনেক আগেই আঁচ করতে পেরেছিলাম স্বৈরাচারী সরকার বেগম জিয়াকে মুক্তিও দিবেনা নির্বাচনেও অংশগ্রহন করতে দিবেনা। ইতিমধ্যেই স্বৈরাচারী সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রমানীত হয়েছে যে, ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলায় গনভবনের নির্দেশিত রায়ে বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্ধীকরে রাখা হয়েছে। জিয়ার সৈনিকদের প্রতি অনুরোধ আপনারা নির্বাচনে পরিশ্রম করে সাধারন জনগনকে ধানেরশীষে ভোটদিতে আকুল আবেদন জানাতে থাকুন। গনতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রামে যোগদিন ধানেরশীষে ভোটদিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mukhlesur Rahman ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২১ এএম says : 0
    বর্তমান রাজনীতির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রতীয়মান হচ্ছে যে আওয়ামী লীগ বিচার মানি কিন্তু তাল গাছ আমার নীতি অনুসরণ করায় বিএনপির পক্ষ থেকে যত প্রকার নির্বাচনী জোট গঠন,চাপ প্রয়োগ; কুটনৈতিক উদ্যোগ ও যত প্রকার শান্তি পূর্ণ কর্মসূচীই গ্রহন করা হোক না কেন ...শেখ হাসিনার প্রভাব মুক্ত একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে না পারলে কোন কিছুই কোন কাজে আসবে না। বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে তা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবেই পরিলক্ষিত হয়েছে। আজীবন ক্ষমতা লোভী লীগ সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে আপাত দৃষ্টিতে তা কোন ভাবেই মনে হয় না এবং সে বেঁচে থাকতে তা কখনো করবেও না। ৭ আগস্ট ২০১৮ মঙ্গলবার সিইসি নুরুল হুদা অত্যন্ত স্পষ্ট করেই বলেছেন আগামী সংসদ নির্বাচন অনিয়ম ও কারচুপি মুক্ত হবে না এই নিশ্চয়তা তিনি দিতে পারবেন না। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জনগনের অধিকার হরণ কিংবা জনগণকে পাশ কাটিয়ে এরশাদ ও অন্যান্যের যোগ সাজশে ভোট ডাকাতি করে কিংবা জরুরী আইন জারি করে কিংবা কোন বিশেষ বিদেশী চক্রের প্রভাবে ...শেখ হাসিনা পূনরায় ক্ষমতায় গেলে দেশ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। বিএনপিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক হয়রানি অথবা যে কোন ভাবেই হোক নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে যাচ্ছে। বর্তমান অবৈধ সরকারের এ ধরনের প্রতিহিংসা ও অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ দেশের জন্য খুবই অকল্যাণ ও অশনি সংকেত হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই আওয়ামীলীগের সব রকম চ্যালেঞ্জ ও কুটকৌশল মোকাবেলায়**- আন্দোলনে জিতলে হিরো না জিতলে জিরো**- এই নীতি অবলম্বন করে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, লুটপাট বন্ধ, ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করা, নৈতিকস্খলন রোধ করা, গনতন্ত্র, ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সর্বোপরি জনগণের অধিকার আদায় ও প্রত্যাশা পূরণে অবৈধ সরকার পতনের এ আন্দোলনে দেশের সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, এনজিও সংস্হা, সাহায্যকারি সংস্থা, সকল শ্রেণী-পেশা ও দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে সর্বোচ্চ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার অঙ্গীকার আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ বিষয়ে তাদেরকে চিঠি দিয়ে লিখিত ভাবে অবগতি করানোর জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন ও সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • ময়না মিয়া ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২২ এএম says : 0
    ঠিকমতো প্রার্থী বাছাই যদি হতো,,এর মধ্যে একজন‌ও ইলেকশন করতে পারতো না
    Total Reply(0) Reply
  • MD Farhad ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২২ এএম says : 0
    বি,এন,পির সব বাদ দিয়ে দিলে তো হয়ে গেল।এখানে নিবার্চন করার প্রয়োজন কি।
    Total Reply(0) Reply
  • Kaniz Fatema ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৩ এএম says : 0
    বিএনপি যদি প্রতি আসনে একাধিক প্রার্থী না দিত তবে মোবাইলে ইমার্জেন্সী ব্যালেন্স বকেয়া থাকার কারনে ২০০আসনের প্রার্থীর মনোনয়নই বাতিল হতো
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ilyous ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশ এর ইতিহাস এই রকম বাতিল মনে হয় অার হয়নি। অবাক বিষয় হল যাদের বাতিল হল সবাই বিএনপির অথবা অাওমীলীগ বিরোধী কেউ। একেই বলে গোপালী /হিটলারী শাসন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Hriday Alam ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৬ এএম says : 0
    ভাগ্যিস নমিনেশন পেপার নিইনাই। নিলে রবি অফিসের ১২ টাকা ঋণখেলাপির জন্য নমিনেশন বাতিল হয়ে যেত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ