পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের মনোনয়নপত্র রবিবার সকাল থেকেই বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রিটার্নিং অফিসাররা যার যার এলাকায় জমা পড়া মনোনয়নপত্র বাছাই করে বৈধ প্রার্থীর তালিকা তৈরি করছেন। ইতোমধ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, হিরো আলম, ইমরান এইচ সরকার, সাদেক হোসেন খোকার ছেলেসহ ক্ষমতাসীন এমপির মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে।
ফেনী-১
ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. অহিদুজ্জামান। স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূর আহম্মদ মজুমদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল বশিরের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে।
আদালতের আদেশে দন্ডিত হয়ে কারাগারে সাজা খাটায় খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া একই কারণে বগুড়া ৬ ও ৭ আসনেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছেন বগুড়ার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়েজ আহাম্মদ।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৮
ঋণখেলাপির অভিযোগে কৃষকশ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
গোপালগঞ্জ-১
গোপালগঞ্জ-১ আসনে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুল আলম খান চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। দাখিল করা ভোটারদের স্বাক্ষর ঠিক না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
গোপালগঞ্জ-৩
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বাতিল হয়েছে বিএনপির প্রার্থী এস এম জিলানী ও জাতীয় পার্টির এ জেড এম অপু শেখের মনোনয়নপত্র। যথাযথ কাগজপত্র ও স্বাক্ষর না থাকায় বাতিলদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
পটুয়াখালী-৩
পটুয়াখালী-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
এছাড়া এ আসনে বিএনপি মনোনীত অপর প্রার্থী মো. শাহজাহান খান ঋণ খেলাপী হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। তবে বিএনপি থেকে মনোনীত অপর প্রার্থী হাসান মামুনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা-৬
ঢাকা–৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ঋণখেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকা-৫
ঢাকা-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী সেলিম ভূঁইয়ার মনোনয়নও বাতিল করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সেলিম ভূঁইয়া ঋণখেলাপি। এ আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৩ জন। ৯ জনের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
রংপুর-১
রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে দেয়া পদত্যাগপত্র জমা দিলেও গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বগুড়া-৪
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফ হোসেন। হিরো আলম ১ শতাংশ ভোটারদের স্বাক্ষর-সম্বলিত যে তালিকা জমা দিয়েছেন তা যাচাই করা দেখা গেছে, তিনি ভূয়া ভোটারদের তালিকা জমা দিয়েছেন। সেজন্য তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কুড়িগ্রাম-৪
কুড়িগ্রাম-৪ আসন (রাজিবপুর, রৌমারী ও চিলমারী উপজেলা) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের তোলা মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
নির্বাচনে প্রার্থী হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আসনের মোট ভোটারের ন্যুনতম ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন থাকতে হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইমরান এইচ সরকারের এ সম্পর্কিত তথ্যে ঘাটতি রয়েছে। তাই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান।
লক্ষ্মীপুর-১
লক্ষ্মীপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি এবং জাকের পার্টির প্রার্থী এম এ আওয়ালের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহাবুব আলমের মনোনয়নপত্রও বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। ঋণখেলাপি হওয়ায় এম এ আওয়াল এবং মাহাবুব আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-২
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ আহম্মদ বাদলের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ১৯ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
বাগেরহাট-১ ও বাগেরহাট-২
বাগেরহাট-১ আসনে ঋণ খেলাপের দায়ে জাতীয় পার্টির আহমেদ জোবায়েরের এবং বাগেরহাট-২ আসনে একই দলের প্রার্থী শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের মনোনয়নপত্র ত্রুটিপূর্ণ থাকায় তা বাতিল করা হয়।
বাগেরহাট-৪
বাগেরহাট-৪ আসনে মো: আমিনুল ইসলাম খানের (এনপিপি) মনোনয়নপত্রে ত্রুটির জন্য তা বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।
রাজশাহী-১
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্রে মামলাসংক্রান্ত সার্টিফাইড কপি না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে সার্টিফাইড কপি দাখিল করলে তিনি মনোনয়ন ফিরে পাবেন। এই আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের স্ত্রী আভা হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন দফতর।
সাতক্ষীরা-১
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চার প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র পাঁচজনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।
বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ঋণ খেলাপের কারণে জেলা কৃষক লীগ সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধুর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকার কারণে জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এসএম মুজিবর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ফরম অনুসারে ভোটের তথ্য না থাকায় তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। আর তথ্য অসম্পূর্ণ থাকায় ন্যাপের হায়দার আলী, দলীয় মনোনয়ন না থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক এমপি নজরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া-১
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া একই আসন থেকে ঋণ খেলাপীর দায়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (বাদল গ্রুপ) প্রার্থী রেজাউল হক ও আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় মুসলীম লীগ প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকারের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে।
কুষ্টিয়া-২
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুল গফুর ও বশির আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া-৪
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় বর্তমান এমপি আব্দুর রউফের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই আসন থেকে ঋণ খেলাপের দায়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মেহেদী হাসান, জাকের পার্টির তসির উদ্দিন ও সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ প্রার্থী রোকনুজ্জামান রোকনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৫
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মো. নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে মীর মো. হেলাল উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
শেরপুর-১
শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। চারটি ব্যাংকের ঋণ খেলাপির দায়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া জেলা যুবদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুল কাদের মনোনয়নপত্রে বিএনপির প্রার্থী বলে উল্লেখ করলেও এর সঙ্গে দলীয় মনোনয়নের চিঠি সংযুক্ত না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
পঞ্চগড়-১
পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির মনোনীত তৌহিদুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এ আসনে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন।
পঞ্চগড়-২
পঞ্চগড়-২ আসনে ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়ন দাখিল করায় বিএনপির মনোনীত ফরহাদ হোসেন আজাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এ আসনে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া পটুয়াখালী-১ আসনে ১২ জনের মধ্যে ৪ জন এবং পটুয়াখালী-২ আসন থেকে ১০ জনের মধ্যে ৩ জনের মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরা হলেন- কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দীন কাদের চৌধুরী, তার ছেলে সামির কাদের চৌধুরী এবং যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।