Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

১০ বছরে রাশেদ খান মেননের স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ২২ গুন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:৩১ পিএম

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এর স্ত্রীর ১০ বছরে সম্পদ বেড়েছে ২২ গুনেরও বেশি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দাখিল করা হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী মেননের স্ত্রীর নামে একটি বাড়ি রয়েছে। যার মূল্য ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ২৪০ টাকা দেখানো হয়েছে। একই সঙ্গে রাশেদ খান মেননের স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ২২ গুণ। অর্থাৎ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তা ৫৬ লাখ ৬২ হাজার ৪৩০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৩০ টাকা।
অন্যদিকে, রাশেদ খান মেননের হলফনামার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১০ বছরে মেননের বাৎসরিক আয় বেড়েছে ৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকার বেশি। অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৫১ লাখ ৮৮ হাজার টাকার বেশি। স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১০ বছরে তার বাৎসরিক আয় প্রায় চারগুণ ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে তিনগুণের বেশি।

অপরদিকে, স্থাবর সম্পত্তির দিক থেকে গত ১০ বছরে তার স্ত্রী হয়েছেন কোটিপতি। নবম ও দশম নির্বাচনী হলফনামায় তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি না থাকলে ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ২৪০ টাকা।
নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেখা গেছে একটি টয়োটা জীপ প্রাডো গাড়ি রয়েছে রাশেদ খান মেননের। গত দশ বছরে তার যানবাহনের সংখ্যাকমেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তার ব্যবহৃত গাড়িটির দাম ৬১ লাখ ৮৫ হাজার।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তার টয়োটা জীপ প্রাডো এবং টয়োটা স্টেশন ওয়াগন মডেলের দুইটি গাড়িছিল। এগুলোর মূল্য যথাক্রমে ৬০ লাখ ও ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তার গাড়ি ছিল দুইটি। এরমধ্যে ৫ লাখ মূল্যের টয়োটা করোলা গাড়ি ছিল একটি এবং ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের অপর একটি গাড়ি ছিল।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় রাশেদ খান মেনন মোট আয় দেখিয়েছিলেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭২৪ টাকা। তার স্থাবর সম্পত্তি না থাকলেও অস্থাবর সম্পত্তি ছিল টাকার পরিমাণে ২৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

হলফনামা অনুযায়ী, মেননের ওপর নির্ভরশীলদের আয় ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং তাদের অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। ১০ বছর পর রাশেদ খান মেননের ওপর নির্ভরশীলদের আয় ও অস্থাবর সম্পত্তি চলে এসেছে শূন্যের কোটায়।
নবম-দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় পার্থক্যে দেখা যায়, মেননের নিজ নামে অস্থাবর সম্পত্তি বেড়ে হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৩ গুণ। তবে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী এই বাম নেতার অস্থাবর সম্পত্তি কমেছে ১১ লাখ ১২ হাজার টাকার কিছু বেশি।
একই সঙ্গে নবম জাতীয় সংসদের হলফনামা অনুযায়ী তার স্থাবর সম্পত্তি না থাকলে ও তার পাঁচ বছর পরে তার নিজ নামে স্থাবর সম্পত্তি হয়েছিল ৩০ লাখ টাকার। একাদশ সংসদের নির্বাচনের সময় আরও ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে তার।
নবম ও দশম নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তার ব্যবসা থেকে আয় বেড়েছিল দ্বিগুণ এবং পত্রিকায় কলাম লেখা বাবদ আয় বেড়ে হয়েছিল প্রায় সাতগুণ। এরমধ্যে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তিনি ব্যবসা থেকে আয় করতেন ৩ লাখ টাকা এবং পত্রিকায় কলাম লিখে আয় করতেন ২৫ হাজার ৭২৪ টাকা। আর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী ব্যবসা থেকে তার আয় ৬ লাখ টাকা এবং পত্রিকায় কলাম লিখে তার আয় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তিনি ব্যবসা থেকে আর আয় করেন না।
হাতে নগদ টাকার পরিমাণও বেড়েছে রাশেদ খান মেনন ও তার স্ত্রীর। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী মেননের কাছে নগদ অর্থ ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার এবং তার স্ত্রীর কাছে ছিল ৩০ হাজার টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তাদের হাতে নগদ টাকা রয়েছে যথাক্রমে ৭ লাখ ৫৭ হাজার ১৪ টাকা ও ৭ লাখ ৯৬ হাজার ২২০ টাকা।



 

Show all comments
  • Nannu chowhan ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৩০ এএম says : 1
    Eai karonei eai bamponthi ......ra onirbachito oboidho shorkarer jonno moria hoya chamchagiri kortese...
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৫২ পিএম says : 0
    আজ কাল এটা একটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সাংসদ হবার আগে এক অবস্থা আর সাংসদ হবার পর অবস্থার পরিবর্তন। এনাদের দেখানোর বাইরে যে কত টাকা আছে এটাই বের করা প্রয়োজন পুলিশের বা এনাদের বিদেশে কত টাকা রয়েছে সেই হিসাবটাও জানা দরকার নয় কি? মেনন সাহেব সারাটা জীবন শ্রমিকদের নিয়ে সরকারের সাথে খেলে এসেছে আর মালিকদের চাদায় পেট ভড়েছেন এটাই দেখে আসছিলাম। কিন্তু এবার কওমি জননী শেখ হাসিনা ওনার শ্রমিক নিয়ে সরকারকে কুবকাত করানোর পদ্ধতী অবগত হয়েছেন বলেই আজ মেনন সাহেব তেমন একটা কিছু করতে পারেননি। তার ডান হাত একজন শ্রমিক নেতাও বটে, সংসদ সদস্য হবার মনোনয়ন পেতে পেতে পেলেন না এটা মেনন সাহেবকে কি যে যন্ত্রনা দেয়েছে সেটা উপলব্ধি করা যাচ্ছে কিন্তু কিছু বলা যাচ্ছে না। এতে করে শ্রমিক আঙনে মেনন সাহেবের অবস্থা কি পর্যায় গেছে সেটা আমাদের এখন ভাববার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ