পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দন্ডিতের সাজা স্থগিত হলে নির্বাচনে যেতে পারবেন, হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যাওয়া জরুরি ছিল বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর সে কারণে ছুটির দিনেও আদালতে যাওয়া ও জরুরি ছিল বলে জানান তিনি। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা হিসেবে এ ব্যাপারটা সর্বোচ্চ আদালতের গোচরে নেওয়া ও নিষ্পত্তি করা তার দায়িত্ব বলেও তিনি জানান।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ছুটির দিনেও তড়িঘড়ি করে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালত বসিয়েছে, বিএনপির আইনজীবী জয়নুল আবেদীনের এমন বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, তাদের (বিএনপির আইনজীবী) মুখে এসব কথা শোভা পায়না। তার কারণ বিচারপতি খায়রুল হক যখন পঞ্চম সংশোধনীর রায় দিয়েছিলেন। তারা তখন বিচারপতির বাসায় গিয়ে রাত দু’টায় স্থগিতের আদেশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবারের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যাওয়ার কারণ হলো,এখানে দুই রকম রায় হয়ে যাচ্ছে। দু’টি ডিভিশন বেঞ্চ আদেশ দিয়েছেন দন্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সেই আদেশ আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন। অথচ অন্যদিকে একটি একক বেঞ্চে বসে একজন বিচারপতি ভিন্নতর রায় দেন তাহলে তো দুই রকম রায় হয়ে যায়। এ বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া জরুরি ছিল বলে আপিল করা হয়েছে।
তাহলে তো আপনারা রোববার যেতে পারতেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার নমিনেশন পেপার (স্কুটিনি) যাচাই-বাছায়ের তারিখ। এটা স্কুটিনি যদি হয়ে যায় তখন তো এ আদেশের আর কিছু করার থাকবেনা। সেজন্য আজকে গিয়ে স্থগিতাদেশ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল বলেই আমরা গিয়েছি। আমরা যে যাব এজন্য গতকালই ব্যক্তিগতভাবে টেলিফোনে তাদেরকে (বিএনপির আইনজীবীদের) আমি জানিয়েছি। তারা সকলে উপস্থিতও ছিলেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কোন দন্ডিত ব্যক্তির যদি নৈতিক স্খলন জনিত অপরাধে অন্তত দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য দন্ডিতহন তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। যে আদালতেই দন্ড হোক। কোন ব্যক্তি দন্ডিত হলেই নির্বাচন করতে পারবেন না। সোজা কথা।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমাদের আবেদনটি চেম্বার আদালত হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত করেছেন। আগামীকাল সকালে এটা শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আসার নির্দেশ দেন। এ আদেশের ফলে হাইকোর্টের আদেশটা আর বহাল থাকলো না। তবে আগামীকাল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এটা নিষ্পত্তি করবেন বলে আশা করছি।
গত ২৯ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা ও দন্ড স্থগিত করে বিচারপতি মোহাম্মদ রইসউদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।